বর্তমান বিশ্বে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হল রেলগাড়ী। রেলগাড়িতে ভ্রমণ আনন্দদায়ক ও নিরাপদ। সেই রেলের টিকিট ক্রয় যেন এক মহা ভোগান্তির নাম। একদিকে কর্মকর্তা দৌরাত্ম্য অন্যদিকে কালোবাজারি ফলে এই বৃহত্তম পরিবহনটির টিকিট সংগ্রহ যেন দূরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২১ শে মে ঈদ যাত্রার টিকিট ছাড়ে সকাল ৮ টায় টিকিট ছাড়ার পর পরবর্তী আধা ঘন্টার মধ্যে ৩৩ , ৩১৫ টি টিকিটের বিপরীতে ৪২ লাখ আবেদন পড়ে যা বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যারতুলনায় খুবই নগণ্য।
সড়ক ও রেলপথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মধ্য পছন্দের শীর্ষে রয়েছে রেলপথ। এ লক্ষ্যে বাংলায় ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হতে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের মাধ্যমে রেল যুগে প্রবেশ করে। কিন্তু ১৬০ বছরেও রেল সেবাটি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। প্রতিবছর এ খাতে সরকারকে লোকসান দেখানো হয়। ১ টাকা আয় করতে, ২ টাকা ৫৮ পয়সা ব্যয় করতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেলে লোকসানের মূল কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিত প্রকল্প। যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। নতুন রেলপথ নির্মাণে যে ব্যয় হচ্ছে, তা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। ক্রয় থেকে শুরু করে পরিচালনা—সব দিকেই সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি। তবেই লাভের মুখ দেখা সম্ভব হবে।
রেলওয়ের লোকসানের অন্যতম কারণ দুর্নীতি এবং অপরিকল্পিত ব্যয়। এছাড়া, বিনা টিকিটে ভ্রমণ এবং অধিকাংশ ট্রেনে অর্ধেকেরও কম কোচ নিয়ে চলাচলও লোকসান বাড়িয়েছে। যদি ট্রেনগুলো পূর্ণ কোচ নিয়ে চলত এবং জনপ্রিয় রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হতো, তাহলে অপারেটিং রেশিও কমানো সম্ভব হতো। পণ্য পরিবহনের পরিমাণ বাড়ালে আয়ও বাড়ানো সম্ভব হতো।
বর্তমানে পণ্য পরিবহনে যে পরিমাণ আয় হয়, দুইটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়েও তা অর্জন করা যায় না। ১৯৯৯-৯৮ অর্থবছরে দেশের মোট আমদানি-রফতানি পণ্যের ১২ শতাংশ রেল দ্বারা পরিবহন।
অন্যতম জনপ্রিয় রুট ঢাকা -যশোর - বেনাপোল যাত্রীবাহী ট্রেনে কোচের সংখ্যা খুবই সীমিত । এরুটের মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে সুতরাং জনপ্রিয় রুটগুলোতে কোচের সংখ্যা বাড়ানো গেলে ও পরিকল্পিত প্রকল্প গ্রহণ করলে এ খাত থেকে আয় বাড়ানো সম্ভব।
লেখক : মো তুহিন হোসেন
৯ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
১৬ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
২৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
১ দিন ৭ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
১ দিন ১০ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
১ দিন ১০ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
১ দিন ১০ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে