জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সংক্রান্ত বিরোধে আহত চিকিৎসাধীন আব্দুল আজিজ (৪৮) মারা গেছেন। তিনি উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের চরদাদনা গ্রামের মো. আব্দুল মতিনের ছেলে।
গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি। পরদিন রোববার রাতে চরদাদনা গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে আজিজের লাশ দাপন করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ মে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের চর চাড়িয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে আব্দুল আজিজ গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাঁকে ইসলামপুর উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে জামালপুর জেনারেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় তাঁকে। সেখানে শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান আব্দুল আজিজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৭ একর ২৩ শতাংশ কৃষিজমি নিয়ে চর চাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বাক্কার আলী এবং জামাল উদ্দিনের পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। জামাল উদ্দিনসহ তাঁর পক্ষের লোকজন জমি ভোগদখল করে আসছেন। এনিয়ে জামালপুর আদালতে দুই পক্ষের মামলা চলছে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর সম্প্রতি আদালত থেকে রায় পান বাক্কার আলী এবং তাঁর লোকজন। রায় স্থগিত চেয়ে আদালতে আপিল করেছেন প্রতিপক্ষ জামাল উদ্দিন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১৯ মে বেলা ১১টার দিকে জমিদখল করতে যান বাক্কার আলীসহ তাঁর পক্ষের লোকজন। এনিয়ে বাধা দেন জামাল উদ্দিনসহ তাঁর পক্ষের লোকজন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে
বাক্কার আলীর আত্মীয় আব্দুল আজিজসহ ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল এবং ইসলামপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। ঘটনাস্থল থেকে জমি দখল করতে যাওয়া ছয় ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
জমির মালিকানা দাবিদার বাক্কার আলী বলেন, 'আমাদের জমি দীর্ঘদিন ধরে জামাল উদ্দিনসহ তাঁর লোকজন ভোগদখল করছে। জমি উদ্ধারে আমরা আদালতে মামলা করেছি। আদালত থেকে রায় পেয়েছি। জমিতে গেলে আমাদের ওপর হামলা করে।'
মৃত আব্দুল আজিজের পরিবারে দাবি, আব্দুল আজিজকে পরিকল্পিতভাবে আহত করা হয়েছে। আমরা দোষিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করছি।'
জমি ভোগদখলে থাকা জামাল উদ্দিন বলেন, 'জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছি। কিন্তু বেআইনিভাবে আমাদের দখলে থাকা জমিতে ঘর উত্তোলন করতে যায় প্রতিপক্ষ। এতে প্রতিবাদ করলে আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রে হামলা চালায়। এ সময় আমাদের লোকজন গুরুতর আহত হন।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, 'সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের তরফ থেকে দুইটি মামলা হয়েছে। চিকিৎসাধীন আহত আব্দুল আজিজের মৃত্যুবরণের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। দোষিদের ছাড় দেওয়া হবে না।'
২ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে