লাখাইয়ের গোপিনাথ লিবিয়ায় অপহরণের শিকার ; শোনালেন নির্যাতনের কাহিনী শান্তিগঞ্জে জামায়াতের সাংগঠনিক ও বায়তুলমাল পক্ষের প্রস্তুতি সভা ক্ষেতলালে সরকারি পুকুর লীজকে কেন্দ্র করে নারী উদ্যোক্তাকে মারধর কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে দু'জনের মৃত্যু ইশরাকের বিরুদ্ধে ‘ক্রিমিনাল অফেন্সের’ অভিযোগ আসিফ মাহমুদের শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরি, চালকের আসনে বাংলাদেশ তেহরানে দূতাবাসের ৪০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ চলছে: পররাষ্ট্রসচিব সুন্দরবন রক্ষায় কনক্রিট অ্যাকশন প্ল্যান করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৪৪ জন অবশেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলো জিল্লুর রহমানকে দিনাজপুরে পুকুরে ডুবে দুই কন্যা শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স১০০ শয্যায় দাবীতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদন রাজশাহী কলেজ পাঠকবন্ধুর ঈদ পুনর্মিলনী ও আম উৎসব অনুষ্ঠিত লালপুরে ভেজাল আইসক্রিম তৈরির দায়ে ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দুই মিষ্টি ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা শিক্ষার্থীদের ঈদুল আজহা আনন্দের স্মৃতিচারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির জরুরি নির্দেশনা আদমদীঘিতে যাত্রীবাহী বাস থেকে দুই কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেপ্তার আদমদীঘিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঈদ পূর্ণমিলনী ও জন সমাবেশ

কুবির মিডিয়া ল্যাবে সরঞ্জাম নেই, তবু পরিশোধ পুরো বিল

বি এম ফয়সাল, কুবি প্রতিনিধি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মিডিয়া ল্যাবের সরঞ্জাম না থাকা সত্ত্বেও পুরো বিল পরিশোধের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের মধ্যে নানা মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।


জানা গেছে, ২০২৩ সালে ‘ফুয়ানা ইনফো টেক লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে মোট ২৯টি সরঞ্জাম কেনা হয়। তবে ল্যাবের কাজ শুরুর সময় দেখা যায়, দুটি ট্রাইপড ও একটি ভিডিও এডিটিং পিসির ক্যাবল অনুপস্থিত। এসব সরঞ্জামের মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ টাকা। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের রিসিভ কপিতে সব মালামাল বুঝিয়ে দেওয়ার স্বাক্ষর থাকলেও বাস্তবে এসব সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ল্যাব স্থাপন কমিটির সদস্য এ এম এম সাইদুর রসিদ জানান, ট্রাইপড না পাওয়ার বিষয়টি কমিটির আহ্বায়ককে জানানো হয়েছিল এবং তার সম্মতিতেই রিসিভ কপিতে স্বাক্ষর করেন তিনি। কমিটির তৎকালীন আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, তিনি দায়িত্ব ছাড়ার আগে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আমি এখন বাধ্যতামূলক ছুটিতে রয়েছি। ডকুমেন্টস না দেখে মন্তব্য করতে পারছি না।" তবে বিভাগের পক্ষ থেকে কোম্পানিকে জানানো হলেও তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।



অন্যদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান দাবি করেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সময় সব সরঞ্জাম বুঝে পাননি। ফুয়ানা ইনফোর প্রজেক্ট ম্যানেজার মোফাজ্জল হোসেন বলেন, “আমরা তিনবার মাল ডেলিভারি দিয়েছি এবং প্রতিবারই যাচাই করে দিয়েছি। তবে আবারও কাগজপত্র দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করব।” বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “এটি বিভাগের জন্য একটি বড় ক্ষতি। যদি বিভাগ লিখিত অভিযোগ দেয়, প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।” ঘটনার গভীরে তদন্ত না হওয়ায় এখনো প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ধরনের অনিয়মের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও খবর