প্রায় মানুষই গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। তবে কারও সমস্যা বেশি, কারও কম। সাধারণত খাবারের কারণেই গ্যাসের সমস্যা হয় বলে ধারণা করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবার নয় দেহের শক্তির মাত্রা এর জন্য দায়ী।
রিয়েলসিম্পল ডটকম এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, যখন মানুষের কোষ যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি তৈরি করতে পারে না, তখন অন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে যেখানে অক্সিজেন যাওয়ার কথা না সেখানেই হামাগুড়ি দিয়ে চলে যায়। আর ভালো ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে ক্ষতিকরগুলোর মাত্রা বৃদ্ধি করে। ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াগুলো দেহে গেড়ে বসার পর কার্যকরভাবে আঁশ হজম বা ভাঙতে পারে না দেহ। ফলে গ্যাস আর পেটফোলা ভাবের তৈরি হয়।
তাই গ্যাসের সমস্যা দূর করতে শক্তি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আর সেজন্য খাবারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে বিপাক প্রক্রিয়াকে জ্বালানি সরবরাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা যেসব খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন-
পেঁপে: পেঁপেতে থাকা ‘পাপাইন’ হজম উপকারী এঞ্জাইম। যা হজমতন্ত্রে প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হজম না হওয়া খাবার থেকে গ্যাস উৎপন্ন হওয়া প্রতিরোধ করে। তাই নিয়মিত পেঁপে খেলে গ্যাসের সমস্যায় লক্ষণীয় উপকার পাওয়া যায়।
আদা: আদা শুধু স্বাদবর্ধক মসলাই নয়, এতে থাকা ‘জিঞ্জারোলস’ এবং ‘শোগাওল্স’ প্রদাহরোধী ও বায়ুনাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে। এজন্য বেশি খাওয়া দাওয়ার পর এককাপ আদা চা পান করা উপকারী।
শসা: খাবার হজম ও গ্যাসের উৎপাদন কমাতে পারে শসা। কারণ এই সবজি আর্দ্রতা বৃদ্ধিকারী খাবার।
দই: হজম উপকারী স্বাস্থ্যকর ব্যাক্টেরিয়াতে পূর্ণ থাকে দই। নিয়মিত খেলে গ্যাস ও ফোলাভাব কমে।
ভেষজ চা: শুধু হজম উপকারী নয় পাশাপাশি প্রদাহরোধী উপাদানের জন্য সার্বিকভাবে ভালো প্রভাব ফেলে ভেষজ চা। পেপারমিন্ট বা পুদিনা, হিবিস্কাস, লেমনগ্রাস, ক্যামোমাইল এবং গ্রিন টি হল ভালো ভেষজ চায়ের উদাহারণ। এগুলো গ্যাস ও পেটের ফোলাভাব কমায় আর হজম উন্নত করতে সাহায্য করে।
১৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৫ দিন ৫ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
১৩ দিন ৩ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১৭ দিন ৪ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
১৮ দিন ১১ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
২০ দিন ১১ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
২৫ দিন ১৩ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
২৬ দিন ৬ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে