বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন , বিশ্ব অর্থনীতির এই প্রতিকূল অবস্থা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বর্ষপুঞ্জি শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পূর্বেই ৩ মিলিয়ন কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ক্লাবে প্রবেশ করেছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ সবকথা কথা বলেন ।
তিনি বলেন সম্প্রতি কেউ কেউ আশংকা প্রকাশ করেছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর ৩ মিলিয়ন ক্লাব থেকে ছিটকে পড়বে মর্মে কিন্তু সুখবর হলো যে, চট্টগ্রাম বন্দর বর্ষপুঞ্জি শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পূর্বেই ৩ মিলিয়ন কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ক্লাবে প্রবেশ করেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে আপনাদের জানাতে চাই, চলতি ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর ৩০ লক্ষ ৪ হাজার ৫০৫ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। আশা করা যায় বছর শেষে চট্টগ্রাম বন্দর প্রায় ৩.১ মিলিয়ন টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম হবে, যা গত বছরের প্রায় সমান। তদুপরি চলতি ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর ১১ কোটি ৮৩ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৭৬ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে, যা ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বছর শেষে প্রায় ১২ কোটি মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। ফলে তা পূর্বের কার্গো হ্যান্ডলিং এর রেকর্ড অতিক্রম করবে।
বে টার্মিনাল আর স্বপ্ন নয় উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বে টার্মিনালের মাস্টারপ্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বে টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আবুধাবি পোর্ট গ্রুপ ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব দাখিল করেছে। বে টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল ১ ও ২ নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য পিএসএ সিঙ্গাপুর ও ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে আগামী বছর চুক্তি সই হবে আশা করছি।
তিনি বলেন , দেশের জ্বালানী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বে-টার্মিনালের ৪র্থ টার্মিনাল হিসেবে গ্যাস ও অয়েল টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে উক্ত টার্মিনাল নির্মাণের জন্য একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আগ্রহ ব্যক্ত করে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছে। আশা করা যায় আগামী বছরের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হবে। তাছাড়া, লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ডেনমার্কস্থ বিশ্ব বিখ্যাত টার্মিনাল অপারেটর এপিএম টার্মিনালস প্রস্তাব দিয়েছে যা বর্তমানে পিপিপি প্রকল্প হিসেবে প্রক্রিয়াধীন। আশা করা যায়, আগামী ৩ জানুয়ারী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক যৌথ প্ল্যাটফর্ম সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। এ টার্মিনাল নির্মাণের কাজও আগামী বছর শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দরের প্রকল্প পরিচালক, বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ দিন ২ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
১ দিন ১১ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৩ দিন ২ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৭ দিন ১ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
৭ দিন ১১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
৮ দিন ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
১৩ দিন ৬ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
১৪ দিন ৩৭ মিনিট আগে