জয়পুরহাটে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীর বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট শেরপুরে নাগরিক প্লাটফর্ম সক্রিয়করণ বিষয়ক ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে নিখোঁজের একদিন পর ৪ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার ‎জাতীয় ফল মেলা ২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে সিরাজদিখানে মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ‎ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে চোরকে চিনে ফেলায় নৃশংসভাবে নারীকে হত্যা; ঘটনার ২০ ঘন্টার মধ্যে ক্লু-লেস এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন মধুপুরে বিএনপি'র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত ঘাটাইলে বৃদ্ধ মহিলাকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুট বেগমগঞ্জে চুরি করতে এসে নারীকে জবাই করে হত্যা,গ্রেপ্তার-২ কিশোর নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার টাঙ্গাইল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শামীম, মহব্বত সাধারণ সম্পাদক অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, ঐক্যবদ্ধভাবে পাশে থাকব: ফখরুল বরিশালে যানজট নিরসন ও অতিরিক্ত ভাড়া জবাবদিহিতার দাবিতে এনসিপির আবেদন এশিয়া কাপ আর্চারিতে স্বর্ণপদক জিতলেন আলিফ একজোট নয় ইসলামী দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করছে জামায়াত ইসরায়েল ‘সন্ত্রাস’ ছড়াচ্ছে, মুখ ফসকে বলে ফেললেন মার্কিন দূত অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা মোংলায় কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর মৃত্যু বার্ষিকী পালিত ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব ও মার্কিন যুদ্ধনীতি: ইতিহাসের আলোকে একটি বিশ্লেষণ করোনার চোখ রাঙানি সত্ত্বেও পিছোবে না এইচএসসি পরীক্ষা বরিশালে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

বিশ্ব অণুজীব দিবসে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

ফাইল ছবি

গত ১৭ সেপ্টেম্বরে পালিত হয়েছে বিশ্ব অণুজীব দিবস। অনুজীব হলো বিজ্ঞানের এমনই একটি শাখা,যেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, ছত্রাক ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।প্রকৃতিতে তাদের বিস্তৃতি, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক, অন্য প্রানীদের সাথে সম্পর্ক, মানুষ প্রানী এবং উদ্ভিদের উপর তাদের প্রভাব, পরিবেশে ভৌত ও রাসায়নিক এজেন্টদের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া- ইত্যাদি সবকিছু জানার নামই হল অণুজীব বিজ্ঞান।বিশ্ব অণুজীব দিবসে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের ভাবনা,মতামত ও প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন মো.লিমন আহমেদ


◾অণুজীব গবেষণার গুরুত্ব


ভাইরাসের মতো অণুজীবগুলো বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্যে এক বড় চ্যালেঞ্জ। তাই অণুজীব গবেষণায় বিশ্বকে বেশি মনোযোগী ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।কারণ বিভিন্ন সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের জীবাণু শনাক্তকরণ, রোগের প্রতিষেধক তৈরি, অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি, ওষুধের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল গুণগত মান নির্ণয় ইত্যাদি বিষয়ে সাফল্য অর্জন নির্ভর করে অণুজীববিজ্ঞানে গবেষণার উৎকর্ষের উপর।তাই অণুজীব গবেষণা ও মহামারী মোকাবিলায় সুদূরপ্রসারী কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণই একমাত্র বিশ্ববাসীকে করোনাভাইরাস মহামারীর মতো অনাগত ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে পারবে।


নাফসান বিন নাসিম প্রান্ত

মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ


◾অণুজীব জগতের রহস্য


অনুজীব থেকে ভ্যাক্সিন ও অ্যান্টিবায়োটিক, প্রোটিন, ভিটামিন ও বিভিন্ন এনজাইম তৈরীর পদ্ধতি জানা,আবার কোন সংক্রামক রোগ কোন জীবাণুর আক্রমনে হয়, কিভাবে এরা জীবদেহে রোগ সৃষ্টি করে, কিভাবে এরা মৃতদেহ পঁচিয়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে,এরা কিভাবে খাবারে পঁচন ধরায় বা খাবার নষ্ট করে, এবং কোন খাবারকে কিভাবে জীবাণুর আক্রমন থেকে রক্ষা করা হয় এসব কিছু জানার নামই হল অনুজীববিজ্ঞান।সারা বিশ্বে অনুজীবদের সংখ্যা হল ৫ মিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন। অর্থাৎ এই অনুজীবরাই গোটা পৃথিবীকে ঢেকে রেখেছে। যেমন এরা ছড়িয়ে আছে বাতাসে, নদীতে, পুকুরে, মাটিতে, বৃক্ষ-বনে। আপনার হাতে পায়ে নাকে চুলে, ফুসফুস-পাকস্থলী তথা আপনার শরীরের স্কিনের ভিতরে ও বাইরে সর্বত্র এদের আধিপত্য। এমনকি আপনার কাপড়ে, মানিব্যাগে, টাকার গায়ে, এটিএম বুথ, কার্ডেও এদের রাজত্ব।

এই রহস্যের অনুজীবজগতে হারিয়ে যাওয়ার নামই হল অনুজীববিজ্ঞান।


প্রমা জাহান 

মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ


◾বিজ্ঞান প্রসারণে অণুজীববিজ্ঞান


আমরা একসময় ওলাবিবি নামে একটা শব্দের ব্যবহার শুনতাম। যখন কোন পরিবারে ঢুকত তখন সেই পরিবারের কয়েকটা ব্যক্তিকে টার্গেট করে মেরে ফেলত।কিন্তু এখন বিজ্ঞানের প্রসারনের ফলে জানতে পারছি, এটা কোন বিবি বা কারো বউ নয়। এটা একটা জীবাণু ; নাম – vibrio cholerae. এর আক্রমনের ফলে মানুষের কলেরা হত। আর বিজ্ঞানসম্মত যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ তখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত। আর একই পরিবারে এটা হওয়ার কারন হল- জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত একই খাবার পরিবারের সবাই গ্রহন করে, কিংবা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা।এই ওলাবিবিকে আর পাওয়া যায়না। কারন এখন আমরা পেয়েছি ভ্যাক্সিন (টিকা) ও এন্টিবায়োটিক (প্রতিষেধক) সহ নানান ঔষুধ।

এক্ষেত্রে অবদান রেখেছে বিজ্ঞানের যে শাখাটি, তা হলো অনুজীববিজ্ঞান।


সাকিব আল হাসান 

মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ।


◾অণুজীববিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয়তা


আমাদের দেশ এখনো অণুজীববিজ্ঞান গবেষণায় উন্নত দেশের তুলনায় অনেকখানি পিছিয়ে আছে। গবেষণার তহবিলের অপ্রতুলতা, গবেষণার সুবিধার অভাব, এখনো অনেক বায়োটেক প্রোডাক্ট, কেমিক্যাল রিজেন্ট ইত্যাদির জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। আমরা এখনো সংক্রামক ব্যাধি, যেমন—শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের জন্য দায়ী ভাইরাসের জন্য কোনো আলাদা গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারিনি। এ কথা বলার অর্থ হলো,গত কয়েক বছর আগে যেমন সারা বিশ্ব করোনাভাইরাসের কারণে ভুগছে; এই সংক্রমণের ফলে আক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণ, প্রতিষেধক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সঙ্গে অণুজীববিজ্ঞানীরাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।আরও একটি উদাহরণ হলো কৃষি ক্ষেত্র। পৃথিবীর অনেক দেশ তাদের নিজস্ব জৈব কীটনাশক তৈরি করছে এবং তা রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে। কারণ, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ক্যানসারসহ অনেক রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী এবং পরিবেশ দূষণের অন্যতম একটি কারণ। আমার জানা মতে, বাংলাদেশে ল্যাবরেটরি পর্যায়ে কিছু গবেষণা হলেও মাঠপর্যায়ে ব্যবহারের জন্য ব্যাপকভাবে উৎপাদন শুরু করতে আমাদের এখনো অনেক দূর যেতে হবে।


সানজানা ইসলাম

মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ


◾অণুজীববিজ্ঞানীদের কাজের সুযোগ


শুধু আনন্দের জন্য নয়, পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্যও অণুজীববিজ্ঞানে পড়া যেতে পারে। দেশে যেমন বাংলাদেশ শিল্প ও গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (এনআইবি), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর, বি), জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর (আইপিএইচ), নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিমান, বিএসটিআই ইত্যাদি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি ও গবেষণার সুযোগ আছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণাও করা যায়।এ ছাড়া বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওষুধ কোম্পানি, বায়োটেক কোম্পানি, বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ নানা ক্ষেত্রে অণুজীববিজ্ঞানীদের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহজেই উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারেন।


আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ 

মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ।


◾অণুজীব বিজ্ঞানীদের সুযোগ দিন


অণুজীব হল সেই সব ক্ষুদ্র জীব যাদের খালি চোখে দেখা যায় না। অণুজীব নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের অণুজীব বিজ্ঞানী বলা হয়। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল ও ছত্রাক হচ্ছে অন্যতম অণুজীব। প্রতি বছর অগণিত মানুষ এসব অণুজীব দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং মারা যায়। এসব রোগ থেকে বাঁচতে ডাক্তারদের সেবা যেমন দরকার তেমনি দরকার অণুজীব বিজ্ঞানীদের গবেষণা। কারণ একজন অণুজীব বিজ্ঞানীই বলতে পারেন কখন ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে, কী করলে অণুজীব দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং কিভাবে অণুজীবের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।আজকের অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন বা টিকা থেকে শুরু করে ওষুধের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান স্টেরয়েডসহ বংশগতি, বাস্তুসংস্থান, বিবর্তন, পরিবেশ, খাদ্যের গাজন পদ্ধতি, জৈবপ্রযুক্তি, জ্বালানি, খনিজ পদার্থ, কৃষি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, এমনকি ডায়াবেটিক রোগীর এক অত্যাবশকীয় ওষুধ ইনসুলিন- সবকিছুতে অণুজীব বিজ্ঞানীদের অবদান অবিস্মরণীয়।


দিগ্বিজয় আজাদ

মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ।


আরও খবর

68457c2d439f2-080625060357.webp
আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তায় প্লেটো, এরিস্টটল

১৩ দিন ১৩ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে



deshchitro-682b1b69ea61c-190525055209.webp
কারিগরি শিক্ষায় দ্রুত আধুনিকায়ন প্রয়োজন

৩৩ দিন ১৩ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে


681f5098c2db0-100525071152.webp
স্বাধীন গণমাধ্যম: সমাজের আয়না

৪২ দিন ১২ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে


deshchitro-6801d6dae401c-180425103642.webp
Take early steps to resolve waterlogging in Dhaka

৬৪ দিন ২০ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে