রাজশাহী কলেজে ভাইভা দিতে এসে ছাত্রলীগ কর্মী আটক মিরসরাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্থ ও দুস্থ্য পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান সুন্দরবনে হরিণ মারার ফাঁসদড়ি ও দুটি নৌকা উদ্ধার শান্তিগঞ্জে পিক-আপের ধাক্কায় শিশু নিহত,গুরুতর আহত-১ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ফরমালিনযুক্ত আমের দোকানে অভিযান, ফরমালিনযুক্ত আম ধ্বংসসহ ২টি দোকানে জরিমানা ঝিনাইদহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম বার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মসজিদ কমিটির মোতায়াল্লি, সভাপতি, মুয়াজ্জিন ও ক্যাশিয়ার একই ব্যক্তি !! পীরগাছায় পাঁচদিন ধরে জামে মসজিদে তালা কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ চায় এনসিপি জাবিপ্রবিতে ইইই বিভাগে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম চীনের সঙ্গে চুক্তি, মোংলা বন্দর পরিণত হবে আধুনিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে ‘জুলাই ঐক্য’র আত্মপ্রকাশ সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ পুলিৎজার পেলেন যারা বড় ধরনের সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া বাস্তবায়ন করা হবে না নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে কিছু প্রতিক্রিয়া আক্রমণাত্মক ঝিনাইগাতীতে ফরমালিনযুক্ত আমের দোকানে অভিযান, ফরমালিনযুক্ত বেশকিছু আম ধ্বংস চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা নওগাঁর বদলগাছির ‘নাক ফজলি আম’ জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া সেই ইউএনওকে রংপুর বিভাগে বদলি আদমদীঘিতে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৬ অভয়নগরের কামকুল বাজারে সামান্য বৃষ্টিতেই জলবদ্ধতা, বেড়ে যায় জনদুর্ভোগ

ছড়িয়ে পড়ছে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’!

পার্থ কুমার ( Contributor )

প্রকাশের সময়: 06-05-2023 09:07:32 pm

ছড়িয়ে পড়ছে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’!

খুলনা: খুলনায় অভিনব কৌশলে ছড়িয়ে পড়ছে নানা প্রতারণা ও ছিনতাই। প্রতারণার নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে একটি ভয়ংকর অপরাধী চক্র।
অপরাধ সংগঠিত করতে তারা ব্যবহার করছেন ভয়ংকর মাদক স্কোপোলামিন। অপরাধ জগতে যার পরিচিতি 'ডেভিলস ব্রেথ' বা 'শয়তানের নি:শ্বাস' নামে।
শয়তানের নিঃশ্বাস মাদক একটি হেলুসিনেটিক ড্রাগ।
পাশ্চাত্যের এই ভয়ংকর মাদক এখন খুলনার সংঘবদ্ধ একটি অপরাধী চক্রের হাতে।
এই চক্রটির টার্গেট হয়ে স্বেচ্ছায় নিজেদের মূল্যবান মালামালসহ টাকা পয়সা তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাদের মূল টার্গেট ইজিবাইক ছিনতাই ও যাত্রীদের মালামাল লুট।
বর্তমানে ছিনতাই ও লুটের নতুন এ পন্থায় খুলনার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ পন্থায় একজন প্রতারক কিংবা ছিনতাইকারী ভুক্তভোগীকে চাইলেই কাবু করে নিজের ইশারায় নাচাতে পারেন। প্রতারক যে নির্দেশনাই দেবেন, তা-ই অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন সেই নিরীহ ভুক্তভোগী। বিষয়টি জাদু-টোনার মতোই কাজ করে।
খুলনায় প্রায় ১০টি এমন ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার এক ঘটনায় ভুক্তভোগী খালিশপুরের ইজিবাইক চালক মো. রাতুলের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ১১ এপ্রিল জীবন বীমা করপোরেশনের সামনে থেকে আমার ইজিবাইকটি নিয়ে গেছে। ওইদিন সাতরাস্তা মোড় থেকে একজন যাত্রী ইজিবাইকে ওঠেন। তেঁতুলতলা মোড়ে আসতেই তিনি ইজিবাইকটি থামাতে বলেন। এ সময় পেছন থেকে একটি সাদা প্রাইভেটকার আসলে ইজিবাইকে থাকা যাত্রীটি নেমে যান ও প্রাইভেটকারে থাকা এক ব্যক্তি আমার ইজিবাইকে ওঠেন। ওই যাত্রী আমাকে চেনা চেনা লাগছে বলে তার হাত দিয়ে আমার মুখে থাকা মাস্কটি টেনে খুলে দেন। এরপর থেকে আমি বেহুশ হয়ে পড়ি। তিনি আমাকে যেদিকে যেতে বলেছেন, আমি সেদিকেই গিয়েছি। একপর্যায়ে আমাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে ইজিবাইক নিয়ে যান।
গত ৮ এপ্রিল এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন খুলনার লবণচরা এলাকার বাসিন্দা আকলিমা আক্তার আঁখি।
তার চাচাতো ভাই আল-আমিন সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, তিনটা চেইন ও এক জোড়া কানের দুল নিয়ে আঁখি হেলাতলে যাচ্ছিল ইজিবাইকে। জাতিসংঘ পার্কের সামনে থেকে অপর এক যাত্রী ওঠেন। ইজিবাইকে থাকা ওই যুবক একটি কাগজ বের করে অপর একজনকে বলেন, এই কাগজে কি লেখা আছে, আপনি কি পড়ে আমাকে জানাতে পারবেন? তখন তিনি বলেন আমি লেখাপড়া জানি না। এরপর আমার বোন আঁখিকে বলে এই কাগজে কি লেখা আছে? আপনি একটু পড়ে দেবেন। তখন কাগজ হাতে নিয়েই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তারা তাকে বলে কাছে যা আছে দিন। আঁখি তার কাছে থাকা তিনটি স্বর্ণের চেইন ও এক জোড়া কানের দুল তাদের হাতে তুলে দেন। তারা আঁখিকে শহীদ হাদিস পার্কের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যান।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি বিএল কলেজের এক ছাত্রী আযম খান কমার্স কলেজে পরীক্ষা দিতে আসার সময় পথে তার সঙ্গে থাকা অন্য এক যাত্রী মুখের সামনে রুমাল ধরেন। এতে তিনি নিজের হুশ হারিয়ে তার কথা মতো স্বেচ্ছায় গলার চেইন ও কানের দুল খুলে দিয়ে দেন প্রতারকদের।
'ডেভিলস ব্রেথ' বা 'শয়তানের নি:শ্বাস' থেকে বাঁচতে মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। অচেনা বা সন্দেহজনক ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো জিনিস খাওয়া বা পান করা যাবে না। রাস্তায় বা হোটেলে খাবার খাওয়ার সময় খাবার উন্মুক্ত রেখে কোথাও যাওয়া যাবে না। অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে হ্যান্ডসেক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অচেনা ব্যক্তি গ্লাভস পরা থাকলে কোনো মতেই হ্যান্ডসেক করবেন না। ভ্রমণের সময় অচেনা বা সন্দেহজনক ব্যক্তির ব্যবহার করা কোনো বস্তু নিজে হাত দিয়ে ধরা যাবে না। অচেনা কেউ ঠিকানা বা প্রেসক্রিপশন দেখে দিতে বললে এড়িয়ে চলতে হবে।

আরও খবর