মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। বুধবার (৮ নভেম্বর) সরেজমিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ জুড়ে সোনালি আমন ধান ফলেছে। আমন ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় আনার কাজও শুরু করেছেন অনেক কৃষক। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই পুরো উপজেলায় ধান কাটা শেষ হবে বলে কৃষকরা জানান। এরপর ধান মাড়াই শেষ হলে কৃষকদের ঘরে ঘরে নবান্নের উৎসব শুরু হবে। এবার আমন ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন চাষিরা। বাজারে চালের দাম চড়া থাকায় এবার লাভও বেশি হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা।
সিন্দুরখান ইউনিয়নের সাইটুলা গ্রামের কৃষক ফজর মিয়া (৪৮) বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছি। পোকার আক্রমণে কিছুটা ক্ষতি হলেও এত বেশি ফলন হবে সেটা কল্পনাও করতে পারিনি। পাকা ধান কাটা শুরু করতে খুব ভালো লাগছে।
আশিদ্রোন ইউনিয়নের টিকরিয়া গ্রামের কৃষক মতিন মিয়া জানান, তিনি ৬ একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। দুই একরে চিনিগুড়া ও চার একরে রঞ্জিত জাত। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। প্রায় ১০ টন ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদি।
উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের খোশবাস গ্রামের কৃষক শাকির আহম্মেদ বলেন, আমি চার একর জমিতে তিন জাতের আমন ধান রোপন করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, এবছর ফলন খুব ভালো হয়েছে। দুই সপ্তাহ পর ধান কাটা শুরু করবো। সবমিলে দেড়শ মনের বেশি ধান পবো বলে আশা করছি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার শ্রীমঙ্গলে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৫ হাজার ৩৬৫ হেক্টর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০ হেক্টর বেশি জমিতে রোপা আমন চাষ হয় অর্থাৎ মোট আমন চাষ হয়েছে ১৫ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে। কৃষি অফিস আরও জানায়, চলতি মৌসুমে শ্রীমঙ্গলে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের বারি হাইব্রিড-৬, হীরা-১০, এজেড-৭০০৬, সুবর্ণ-৮ জাতের ধানের চাষ হয়েছে। এছাড়াও উফশী জাতের বিআর-১১ ও ২২, ব্রি ধান- ৩২, ৩৪, ৪৯, ৫২, ৭১, ৭৫, ৮৭, ৯৩, ৯৪, ৯৫ এবং বিনা-৭, ১১, ১৬, ১৭ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এদিকে স্থানিয় জাতের ধান চাষ করা হয়েছে বিরুইন, বালাম, কালিজিরা ও চিনিগুড়া জাতের ধান।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন বলেন, এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময়মতো বীজ ও সার পাওয়ায় এবার শ্রীমঙ্গলে রোপা আমনের ভালো ফলন হয়েছে। আমরা ক্রপ কাটিং শুরু করেছি। এ সপ্তাহের মধ্যেই প্রকৃত চিত্রটা পাওয়া যাবে। তিনি জানান, গতকাল উপজেলার ভুনবীর এলাকায় ব্রিধান-৮৭ জাতের ক্রপ কাটিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতি হেক্টবে ৫.২৭ মেট্রিক টন ধান পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, রোপা আমন ধানের মাঠে পোকামাকড় ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক আমন ধান উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
২ দিন ৪ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৩ দিন ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৫ দিন ৫ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৫ দিন ৮ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
১২ দিন ৫ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১৬ দিন ১০ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
১৮ দিন ১ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
২৪ দিন ২ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে