শার্শায় বাজারজাতকরনের সময়ের আগেই পেঁকে ঝরে যাচ্ছে হিমসাগর আম,বিপাকে চাষী গলাচিপায় নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজার সীমান্তে আরও ৪৪ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ অতীতের দিকে তাকিয়ে দেখেন সংস্কারের দলই হচ্ছে বিএনপি’-ডা: জাহিদ হোসেন লাখাইয়ের পরিদর্শিকা সুচিত্রার নেশা শুধু টাকা ,সেবা নিতে আসা রোগীদের নানা ভোগান্তি। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলো জামায়াত নেতা, সাড়ে তিন বছর পর আদালতে রায় কাজী এহসানুল হক জিহাদের লেখা কবিতা "নতুন করে" সাম্য হত্যাকান্ডে ঢাবি প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে সভা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আশাশুনিতে বিএনপির দলীয় সদস্য পদ নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন উলিপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা পুলিশের হামলায় কলার বোন ভাঙলো সাংবাদিকের বস্তা বন্দী করে শিশুকে নদীতে ফেলার সময় দুজন আটক জাবিতে মানোন্নয়ন পরীক্ষা চালু করাসহ চার দফা দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সারিয়াকান্দিতে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান-চাল সংগ্রহ উদ্বোধন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যায় তার গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম ড. ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি দিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা জবি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের, পুলিশের বিচার দাবি হাটহাজারী-কর্ণফুলীতে দুটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে - স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সিরাজগঞ্জে জাতীয় সংগীত গেয়েই ‘অবমাননার’ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবাদ জানালেন সাইদুর রহমান বাচ্চু গোয়ালন্দে ৪৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ যুবক গ্রেফতার

শেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে আনন্দ র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

৭ ডিসেম্বর শেরপুর মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে শেরপুর শহীদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেরপুর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উপ-সচিব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোক্তাদিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আতিথি ছিলেন শেরপুর জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল-খায়রুম। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তোফায়েল আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নূরুল ইসলাম হিরো, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোখলেসুর রহমান আকন্দসহ আরও অনেকে। উলেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহায়তায় শেরপুর অঞ্চলকে শত্রু মুক্ত করেন বাংলার সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। এদিন ভারতীয় সেনা বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ও মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে অবতরণ করেন। এ সময় শেরপুরের মুক্তিকামী ছাত্রজনতা জেনারেল অরোরাকে এক সংবর্ধনা দেন। তিনি সংবর্ধনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেরপুরকে হানাদারমুক্ত বলে ঘোষণা দেন। ওইসময় মুক্ত শেরপুরে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। জানা যায়, ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার ডাক দেওয়ার পর দেশের অন্যান্য স্থানের মত শেরপুরবাসী পুরোপুরি যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ হয়। স্বাধীনতাকামী ছাত্রজনতা যেকোন কিছুর বিনিময়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে মোকাবেলা করার দৃঢ় প্রত্যয়ে দৃপ্ত হয়। এদিকে ২৬ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে পাক হানাদার বাহিনী ব্যাপক মর্টারশেলিং এর মাধ্যমে শেরপুর শহরে শনিবিগ্রহ মন্দিরের পুরোহিতকে গুলি করে হত্যা করার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে। পাক সেনারা স্থানীয় দালালদের সহায়তায় শহরের দোকান-পাট লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দখল ও নির্মমভাবে হত্যাসহ ধর্ষণ প্রভৃতি অত্যাচার চালায়। ১১নম্বর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্র বাহিনীর সহায়তায় লড়াই চালিয়ে আসছিল এবং ২৪ অক্টোবর কামালপুর অবরোধ শুরু হয়। এছাড়াও ওই আক্রমণের রণ-কৌশল ছিল ভিন্ন ধরনের। ১৩ নভেম্বর কর্নেল তাহের কামালপুরের উপর পূর্ণ আক্রমণের নির্দেশ দেন। কারণ কর্ণেল তাহেরের নেতৃত্বাধীন ১১নম্বর সেক্টরের মূল পরিকল্পনা ছিল কামালপুর, শেরপুর, জামালপুর এবং টাঙ্গাইলের ওপর ক্রমানুযায়ী আক্রমণের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া, যাতে করে ঢাকায় চূড়ান্ত আঘাত হানা যায়। ১৪ নভেম্বর ভোরে আবার যুদ্ধ শুরু হলে শেরপুর-বকশীগঞ্জ সড়কের মাঝপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে দুই প্লাটুন সৈন্যসহ পাকবাহিনীর মেজর আইয়ুব আহত হন। এদিন বিজয়ের মাঝামাঝি সময়ে তুমুল সম্মূখযুদ্ধে পাকসেনাদের কামানের গোলার আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের আহত হয়ে একটি পা হারান। কর্নেল আবু তাহের আহত হবার পরও মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল একটুও দমেনি। কামালপুর যুদ্ধ যখন তুঙ্গে, ঠিক ওই সময়ে অর্থাৎ ২৪ নভেম্বর শেরপুর সদর থানার কামারিয়া ইউনিয়নের সুর্যদী গ্রামে পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাসহ ৪৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের অব্যাহত অবরোধের মুখে ৪ ডিসেম্বর কামালপুর ঘাঁটির পাক সেনারা আত্মসর্মপণ করে। এদিকে কামালপুর দুর্গ পতনের পর পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়ে। সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীর শালচূড়া ক্যাম্প ও আহাম্মদনগর ঘাটির পাকসেনারা পিছু হটতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে শেরপুর থেকে পিছু হটে জামালপুর পিটিআই ক্যাম্পে গিয়ে জমায়েত হয়। এভাবে রাতের আধারে শেরপুর পাকবাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় এবং ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে শেরপুর মুক্ত হয়। ওইদিন মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক লেঃ জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারে পৌর পার্কে অবতরণ করেন। সেইসাথে একইদিন সকাল ১০টায় বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে হাজারো জনতার উদ্দেশ্যে জেনারেল অরোরা বলেন, ‘আপনাদের দেশ স্বাধীন হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা আপনাদেরকে সহযোগিতা করছি, দেশ রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের। জয়বাংলা।

Tag
আরও খবর







শেরপুরে বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান

৬ দিন ৬ ঘন্টা ০ মিনিট আগে