ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশা বন্ধে উৎপাদন ওয়ার্কশপ ও চার্জিং পয়েন্ট বন্ধ করা হবে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে চিংড়ি চাষে আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা লালপুরে বিএডিসির সেচ প্রকল্পে ভাগ্য খুলেছে কৃষকের।। ঝিনাইগাতীতে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতীতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত শুধু পাঠদান নয়, তাদেরকে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখাতে হবে--এ্যাডঃ আসলাম মিয়া ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছে বাকৃবি শিক্ষাথীরা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা বিভাগীয় শিক্ষার্থী সমিতির নেতৃত্বে লিমন-সৌরভ সাতক্ষীরায় মান্দারবাড়িয়া চরে বিএসএফ কর্তৃক পুশ ইন ৭৮ জন, উদ্ধার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর জবিতে সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলনের ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ নোয়াখালীতে ১৩ মামলার আসামি যুবলীগ কর্মিকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২ অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে জাবি ছাত্রদল নেতা হিরন বুধবার চট্টগ্রাম আসছেন প্রধান উপদেষ্টা সুন্দরবনের চরে পুশইন ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর, তিনজন কারাগারে ১১ মাস বয়সী শিশুর করুণ মৃত্যু: বালতির পানিতে পড়ে প্রাণ গেল মরিয়মের চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু আন্দোলনের নামে জবির মেডিক্যাল দখল শিক্ষার্থীদের শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ভারতীয় মদ উদ্ধার, পিকআপ আটক অনশনের ১৮ ঘন্টায়ও নেই প্রশাসনের সাড়া,অসুস্থ একাধিক শিক্ষার্থী নতুন বাজেটে বাস্তবভিত্তিক এডিপি গ্রহণ করা হবে: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

আজ ঝিনাইগাতীর ঐতিহাসিক কাটাখালি যুদ্ধ দিবস

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঐতিহাসিক কাটাখালি যুদ্ধ দিবস আজ (৬ জুলাই)। ১৯৭১ সনের এইদিনে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে ৩ মুক্তিযোদ্ধাসহ ১২ জন শহীদ হন। শহীদ হন একই পরিবারের ৩ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাজমুল আহসান, মোফাজ্জল হোসেন ও আলী হোসেন।
স্বাধীনতা অর্জনের পর শহীদ নাজমুলের নামে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল, নালিতাবাড়ীতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আর মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সালে শহীদ নাজমুলকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ‘অপারেশন কাটাখালি’ ও রাঙ্গামাটিয়া যুদ্ধের সরকারি স্বীকৃতি মিলেছে। ইতিমধ্যেই শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের নির্দেশনায় কাটাখালিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ইউএনও ফারুক আল মাসুদ শহীদ নাজমুলের স্মৃতিস্তম্ভ ও নাজমুল চত্ত্বর নির্মাণ করেছেন। এছাড়া স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও চেতনা ভাস্বর করে রাখার জন্য স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৯ বছর পর হলেও পুরোনো সেই সেতুটি সংরক্ষণে ইতোমধ্যে সংস্কারসহ একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। সেইসাথে শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি কাটাখালি ব্রিজ অঙ্গনে স্বাধীনতা উদ্যান প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, ৫ জুলাই রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কোম্পানী কমান্ডার নাজমূলের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ডিনামাইট ফিট করে ঝিনাইগাতী-শেরপুর সড়কের কাটাখালি ব্রিজ উড়িয়ে দেয়। সফল অপারেশন শেষ করতে ভোর হয়ে যাওয়ায় পাশ্ববর্তী রাঙ্গামাটি গ্রামে আশ্রয় নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। ওই গ্রামের আশ্রয়দাতারা মুক্তিযোদ্ধাদের খাসি জবাই করে খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছিলেন। দিনের আলো ফুটে ওঠায় কোথাও বের হওয়া নিরাপদ মনে না করে পরিশ্রান্ত মুক্তিযোদ্ধারাও সেখানেই ঘুমিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কিন্তু ওই গ্রামের দালাল জালাল মিস্ত্রী পাক বাহিনীর স্থানীয় হেড কোয়ার্টার আহাম্মদনগর ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের খবরটি পৌঁছে দেয়। সংবাদ পেয়ে পাক হানাদার বাহিনী ৬ জুলাই সকালে রাজাকার, আল-বদরদের সাথে নিয়ে রাঙ্গামাটি গ্রাম তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে গুলিবর্ষণ শুরু করে। কোম্পানী কমান্ডার নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি ছুড়ে জবাব দেয়। শুরু হয় সন্মুখ যুদ্ধ। পাকি বাহিনী অবিরাম গুলি বর্ষণ শুরু করে। ওই গ্রামের তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাওয়ার একমাত্র পথ খোলা ছিল রাঙ্গামাটি বিলের দিকে। বিলটিও পানিতে তখন টইটুম্বুর ছিল। এমন অবস্থায় ওই বিলের পানিতে নেমে কভারিং ফায়ার করতে করতে কোম্পানী কমান্ডার নাজমুল আহসান মুক্তিযোদ্ধাদের রাঙ্গামাটি বিলের পানি সাঁতরিয়ে চলে যাবার পথ তৈরী করে দেন। সকলে চলে যাওয়ার পর হঠাৎ পাকিদের ব্রাশ ফায়ারে কমান্ডার নাজমুলের বুক ঝাঁঝড়া হয়ে যায়। কমান্ডার নাজমুলের লাশ আনতে গিয়ে তার চাচাতো ভাই মোফাজ্জল হোসেন ও আলী হোসেনও শহীদ হন পাকিদের গুলিতে। এদিন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে রাঙ্গামাটি বিলের পানি রাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে পাকি বাহিনী রাঙ্গামাটি গ্রামে হানা দিয়ে খুঁজে খুজেঁ বের করে ৬০/৭০ জন গ্রামবাসীকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ য়ায়ার করে। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন শহীদ হন। এদের মধ্যে একজন গুলি খেয়েও মৃতের মতো পড়ে থাকেন। মৃত ভেবে পাক বাহিনী তাকে ফেলে চলে যায়। পায়ে বিদ্ধ গুলি নিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা সেদিনের বিভীষিকা নিয়ে আজও বেঁচে আছেন রাঙ্গামাটি গ্রামের ইউনুছ আলী। এছাড়া গ্রামের বেশ কয়েকজন নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় হানাদার বাহিনী। শহীদ পরিবারের সদস্যরা বুকফাটা কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছেন। ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের ৩ নারীকে সরকার বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু শহীদ পরিবারগুলোর কোন স্বীকৃতি মেলেনি। গ্রামবাসীদের প্রত্যাশা, তাদের দ্রুত স্বীকৃতি দেওয়া হোক, উন্নয়ন হোক গ্রামটির।
Tag
আরও খবর







শেরপুরে বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান

৫ দিন ১০ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে