নাগেশ্বরীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরাধীন আইসটি কম্পিউটার এ্যান্ড নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন। রংপুর অঞ্চল অচল করে দেয়ার হুমকি দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা লাখাই ডি সি রোডে শুকানো হচ্ছে গরুর খাদ্য খড়,যানচলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। ইলিশ ধরা শুরু,জেলে পল্লীতে উৎসবের আমেজ ঋণ আর দাদনের আতংক শ্যামনগরে তিন বখাটের ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদণ্ড শ্রীপুরে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মাগুরায় শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ইভটিজিং করায় ৩ বখাটে কারাগারে আশাশুনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কালিপদ রায় আর নেই গাড়িতে হামলা, আহত হাসনাত ঝিনাইগাতীতে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় নকলের দায়ে ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার পদ্মায় জেলের জালে আটক দুই কাতল ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে হেরোইনসহ ইউপি সদস্য গ্রেফতার । রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকার কোনো চুক্তি করেনি: ড. খলিলুর রহমান এবার কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ ভিসির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সারিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরই মিয়ানমারে ফিরবে রোহিঙ্গারা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ডোমারে স্কাউট ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

কলারোয়ায় ১৭৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহিদ মিনার




মহান ভাষা আন্দোলনের ৭৩ বছরেও সাতক্ষীরা কলারোয়ায় বেশিরভাগ স্কুল-কলেজে গড়ে ওঠেনি শহিদ মিনার। স্বীকৃত ২১৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোনো শহিদ মিনার। এছাড়া উপজেলার কোনো মাদ্রাসায় নেই একটিও শহিদ মিনার।

সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টি ইউনিয়নের কোথাও আজও স্থাপন করা হয়নি একটি শহিদ মিনার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলারোয়া পৌরসভা ও উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে শহিদ মিনার রয়েছে ৩৪টি।

এর মধ্যে কলারোয়া ফুটবল ময়দানে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, কলারোয়া সরকারি কলেজ, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুল, কলারোয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুল, তুলসীডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুল, গোপিনাথপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল এই ৮টি শহিদ মিনার কলারোয়া পৌরসভাধীন।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত শহিদ মিনারগুলো হলো: হেলাতলা ইউনিয়নের দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হেলাতলা আইডিয়াল হাইস্কুল, কাজীরহাট হাইস্কুল, ঝাঁপাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়নগর ইউনিয়নের সরসকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরসকাটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জয়নগর বদরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়, ধানদিয়া হাইস্কুল, দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো হাইস্কুল, দেয়াড়া হাইস্কুল, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের পানিকাউরিয়া হাইস্কুল, কেরালকাতা ইউনিয়নের কেকেইপি হাইস্কুল, চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া বাজার, চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজ, চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর, বয়ারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দুড়িয়া কেসিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হিজলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনাবাড়িয়া সোনার বাংলা ডিগ্রি কলেজ ও বিবিআরএনএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের কেএল হাইস্কুল, যুগিখালি ইউনিয়নের বামনখালি হাইস্কুল প্রাঙ্গণ। উপজেলার কয়লা ও জালালাবাদ ইউনিয়নে কোনো শহিদ মিনার নেই বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, উপজেলায় ২৭টি এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদ্রাসার কোথাও গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়নি একটিও শহিদ মিনার। তবে হতাশার বিষয় হলো, উপজেলার ১২টি বেসরকারি কলেজের মধ্যে ৭টি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা হয়নি কোন শহিদ মিনার।

কলারোয়া সরকারি কলেজ, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজ ও সোনাবাড়িয়া সোনার বাংলা ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে কেবলমাত্র শহিদ মিনার রয়েছে। এ প্রজন্মের অনেক শিক্ষার্থী কলেজে এসে ক্যাম্পাসে শহিদ মিনার দেখছে না।

এদের অনেকেই তাদের স্কুল প্রাঙ্গণে শহিদ মিনার দেখে এসেছে। শহিদ মিনারবিহীন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহিদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে পারে না।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বেসরকারি কলেজের চেয়ে শহিদ মিনার নির্মাণের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কেননা, উপজেলার এমপিওভুক্ত ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭টিতে শহিদ মিনার রয়েছে। অপরদিকে উপজেলার ১২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার রয়েছে ৭টি: কলারোয়া, তুলসীডাঙ্গা, গোপিনাথপুর, রঘুনাথপুর, ঝাঁপাঘাট, হিজলদি ও বয়ারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

কলারোয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এইচএম রোকনুজ্জামান জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনারের গুরুত্ব অপরিসীম। ইতোমধ্যে শহিদ মিনারের সংখ্যা জানতে চেয়ে পত্র দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পত্রে দেওয়া তথ্য আমরা প্রদান করেছি।

সাতক্ষীরা জেলার ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব ভাষা সৈনিক প্রয়াত আলহাজ্ব শেখ আমানুল্লাহ তাঁর জীবদ্দশায় অনেক অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার গড়ে তোলার কথা বলতেন। তিনি প্রয়াত হয়েছেন ৮ বছর। কিন্তু তাঁর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে প্রয়াত এই ভাষা সৈনিকের প্রতি আমরা প্রকৃত শ্রদ্ধা দেখাতে পারি।

এর জন্য প্রয়োজন উদ্যোগ ও সমন্বিত প্রয়াস। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ও নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম-ভাষাপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে সকল শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা করা দরকার শহিদ মিনার-এমনটি মনে করেন ভাষাপ্রেমী মানুষ।


Tag
আরও খবর

সাতক্ষীরায় মহান মে দিবস পালিত

৩ দিন ৭ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে