ইতালি বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগ করতে আগ্রহী : প্রধান উপদেষ্টাকে মাত্তেও ফের বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকেই কার্যকর উর্দু ভাষায় পাকিস্তান মাতাবে সিয়ামের ‘জংলি’, চলছে ডাবিং কালীগঞ্জে কিশোরী উদ্ধারে এসে হামলার শিকার যশোরের তিন পুলিশ সদস্য ও এক গৃহবধূ মিরসরাইয়ে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে ছাত্র সমাবেশ গলায় লিচু আটকে প্রাণ গেল শিশুর অবশেষে বদলি হলেন ৫ যুবককে হেনেস্তাকারী ইসলামপুর সার্কেলের সেই এএসপি বানিয়াচংয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক সাতক্ষীরায় বিজিবি’র অভিযানে কাটাগ্রা ট্যাবলেট, ১০ বোতল মদসহ ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল আটক হাসনাত আব্দুল্লাহর উপর হামলার প্রতিবাদে মোংলায় বিক্ষোভ শামীম ওসমান পরিবারের দুই সহযোগী সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মধুপুরে বিএনপি নেতর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল মধুপুরে সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল নালিতাবাড়ীতে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীতে দুর্নীতি বিরোধী বিষয়ক ফোকাল পার্সনদের দুর্নীতি ও এর প্রতিরোধ এবং তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ডোমারে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)-কে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইয়াবাসহ স্বামী-স্ত্রী আটক আশাশুনি সদরের হাটবাজার ও আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে বন্দোবস্তের আবেদনকৃত প্রস্তাবিত খাস জমি পরিদর্শন ঝিনাইগাতীতে পেট্রোলের দোকানে অভিযান, ৪টি দোকানে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা

আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন আব্বাস আলী

বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা নেতাদের প্রতি নমনীয় হয়েছে আওয়ামী লীগ। যাঁরা অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চাইছে, তাঁদের কেন্দ্র থেকে ক্ষমা করে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীও রাজনীতিতে মনোযোগ দিয়েছেন।


এক বছর কারাভোগের পর গত বছরের নভেম্বর মাসে জামিনে মুক্তি পান আব্বাস আলী। এরপর থেকে তিনি আবার রাজনীতির মাঠে ফিরেছেন। এদিকে স্থানীয় ছন্নছাড়া নেতা-কর্মীরাও আব্বাস আলীর উপস্থিতিতে সরব হতে শুরু করেছেন।


আব্বাস আলী কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবার তিনি কাটাখালী পৌরসভার মেয়র হন। এরপর ২০২০ সালে নৌকা নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হন তিনি।


কিন্তু ২০২১ সালের নভেম্বরে ঘরোয়া বৈঠকের বিতর্কিত কথোপকথনের দুটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে তাঁর। এতে তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারে যান। এর মধ্যেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাঁকে বরখাস্ত করে। দলীয় পদ থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।


এদিকে আব্বাস আলীর ডাকে তাঁর ঝিমিয়ে পড়া কর্মীরা গত ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় কাটাখালী থেকে প্রায় তিন হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে মাঠে যান। আব্বাস আলী নিজেও  প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন।


স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, কাটাখালী এলাকার প্রভাবশালী জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান হরিয়ান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কাটাখালী পৌরসভার মেয়র হিসেবে টানা ২০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু সবশেষ দুই পৌর নির্বাচনেই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এই মাজেদুর রহমানকে পরাজিত করেছেন আব্বাস আলী।


কাটাখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কাটাখালী একসময় বিএনপি-জামায়াত-অধ্যুষিত এলাকা ছিল। কিন্তু আব্বাস মেয়র হওয়ার পর ২০১৫ সাল থেকে এখানে বিএনপি-জামায়াতের কোনো অস্তিত্ব ছিল না।


আব্বাসের অনুপস্থিতিতে গত এক বছরে বিএনপি-জামায়াত আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। নির্বাচনের আগেই তিনি রাজনীতির মাঠে ফিরবেন বলে মনে করি।


আব্বাস আলী বলেন, কাটাখালীর উন্নয়ন থমকে গেছে। এখানে বিএনপি-জামায়াত আবার উত্থান শুরু করেছে। আমি সক্রিয় থাকার সময় তাঁরা পারেনি।


আব্বাস আলীর ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা জানিয়েছেন, তাঁর বিষয়টি নিয়ে এখনো নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাঁরাও কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন।


আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল বলেন, ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের তো ক্ষমা করা হচ্ছে। তিনি অন্যায় করেছেন, তাঁর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু আব্বাস আলী ক্ষমা চেয়েছেন কি না, তা জানা নেই। ক্ষমা চাইলে নিশ্চয়ই কেন্দ্রীয় কমিটি এটা বিবেচনা করে দেখবে'।


এ বিষয়ে আব্বাস আলী জানান, জেলা আওয়ামী লীগ তাঁকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল; কিন্তু বহিষ্কার করেনি। বহিষ্কারের কোনো চিঠি কেন্দ্র থেকেও পাননি। যেহেতু তাঁকে বহিষ্কার করা হয়নি, তাই তিনি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেননি। এখন হাইকমান্ডের দিকে তাকিয়ে আছেন। দল যেভাবে কাজ করতে বলবে, তিনি সেভাবেই করবেন।

আরও খবর