মাঘের শীতে কাবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষজন। জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢেঁকে গেছে গোটা জনপদ। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না।
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেইসঙ্গে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে চলছে শীত কষ্ট। শীত কষ্টে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষজন।
ঘন-কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র ঠান্ডায় মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট,সর্দি কাশিসহ শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নীচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের হোসেন আলী বলেন , ২২ দিন থাকি ঠান্ডা, কাজ কামাই করতে পারছি না। আমরা যারা দিন করি দিন খাই, আমারগুলার সমস্যা হইছে। ওই এলাকার মোক্তার আলী নামের এক শ্রমিক বলেন, সকালে যখন বোরো ধানের বীজতলায় কাজ করি, তখন হাত পা বরফ হয়ে যায়। অনেকদিন থাকি ঠান্ডায় অবস্থা খারাপ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৮ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
১৯২ দিন ১৬ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
১৯৪ দিন ২৩ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
১৯৬ দিন ১৭ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
১৯৯ দিন ১২ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
২০০ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
২০০ দিন ২৩ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
২০৫ দিন ১৯ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
২০৫ দিন ২২ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে