দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের ২ প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। ৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে ওই ২ প্রার্থীকে লিখিতভাবে শোকজ করেন ওই নির্বাচনী এলাকার অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সহকারী জজ নুরুল আমিন ভূইয়া। নোটিশে ৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩ ঘটিকার মধ্যে প্রার্থীদ্বয়কে স্বয়ং অথবা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই অনুসন্ধান কমিটির বেঞ্চ সহকারী আবু বকর সিদ্দিক জানান, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮ এর ৬ (ঘ), ৮ (ক) ও ১২ ধারার বিধানসমূহ লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই ২ প্রার্থীর প্রতি শোকজের নোটিশ ইতোমধ্যে প্রার্থীদের স্ব-স্ব থানায় (শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী) পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অনুসন্ধান কমিটির শোকজ নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল আলম ভুইয়া ও শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম খান সিদ্দিকী। তবে শোকজের বিষয়ে অবগত নন বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোন ঘটনা আমার দ্বারা হয়নি। আমি নোটিশ পেলে জবাব দেব। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম একই কথা বলেন। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি সূত্র জানায়, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের পরবর্তীতে শেরপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডিএম শহিদুুল ইসলাম ঝিনাইগাতী বাজারে শোডাউন করাসহ প্রচারণায় ও সংবর্ধনায় অংশগ্রহণ করেন। এতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া একইদিন স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম ঝিনাইগাতী বাজারে শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে শোডাউন করাসহ প্রচারণায় ও সংবর্ধনায় অংশ নেন। ওইসব শোডাউন ও প্রচারণার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়। এ প্রেক্ষিতে ৩ ডিসেম্বর অনুসন্ধান কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে উভয় ঘটনার সত্যতা পায়।
৮ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
১ দিন ৭ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
১ দিন ৮ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
২ দিন ৮ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে