নাগেশ্বরীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরাধীন আইসটি কম্পিউটার এ্যান্ড নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন। রংপুর অঞ্চল অচল করে দেয়ার হুমকি দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা লাখাই ডি সি রোডে শুকানো হচ্ছে গরুর খাদ্য খড়,যানচলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। ইলিশ ধরা শুরু,জেলে পল্লীতে উৎসবের আমেজ ঋণ আর দাদনের আতংক শ্যামনগরে তিন বখাটের ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদণ্ড শ্রীপুরে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মাগুরায় শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ইভটিজিং করায় ৩ বখাটে কারাগারে আশাশুনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কালিপদ রায় আর নেই গাড়িতে হামলা, আহত হাসনাত ঝিনাইগাতীতে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় নকলের দায়ে ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার পদ্মায় জেলের জালে আটক দুই কাতল ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে হেরোইনসহ ইউপি সদস্য গ্রেফতার । রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকার কোনো চুক্তি করেনি: ড. খলিলুর রহমান এবার কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ ভিসির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সারিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরই মিয়ানমারে ফিরবে রোহিঙ্গারা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ডোমারে স্কাউট ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

সাভার উপজেলায় গত তিন মাসে ২৮ জনের আত্মহত্যা

প্রতিকী ফটো

রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলায় ২৮ জন নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। এ হিসেবে গড়ে প্রায় তিন দিনে একজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে সাভার উপজেলায়। তবে পুলিশের তথ্য অনুসারে ২৮ জন হলেও বাস্তবে এর সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

শিল্প অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় সাভার উপজেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের বসবাস। যাদের অধিকাংশই জীবিকার তাগিদে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই এলাকায় এসেছেন। এখানে বসবাসকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই পোশাক শ্রমিক। যারা গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। লক্ষাধিক মানুষের বসবাসের মাঝে অপ্রত্যাশিত ঘটনার সংখ্যাও অনেক বেশি। এটি সামাজিক অবক্ষয়ের ফল হিসেবে ধারণা করছেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। গত তিন মাসে ঘটে যাওয়া ২৮টি আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে ২৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ফাঁসিতে ঝুলে এবং ৩টি বিষ পানে। ২৮ জন আত্মহত্যাকারীর মধ্যে পুরুষ রয়েছে ১৮ জন ও নারী আছে ১০ জন। 

তিন মাসের মধ্যে চলতি বছরের শুরুর দিকে অর্থাৎ জানুয়ারিতে ১০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে রয়েছে ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। ফেব্রুয়ারিতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৯টি। যার মধ্যে পুরুষ ৬ জন ও নারী ৩ জন। এছাড়া গত মার্চ মাসে আরও ৯টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী রয়েছে। সবগুলো ঘটনায় সাভার ও আশুলিয়া থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এ সকল ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধারসহ মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছে।

বিভিন্ন ঘটনার বরাত দিয়ে থানা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বেশিরভাগ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে পারিবারিক কলহের জেরে। এছাড়াও অভিমান, প্রেমঘটিত কারণ, শারীরিক অসুস্থতা ও ঋণগ্রস্ততার কারণেও কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যার ঘটনাগুলো খুঁজতে গিয়ে আমরা স্ত্রীর সামনে স্বামীর আত্মহত্যা, স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্বামীর আত্মহত্যা, প্রেমিকাকে হত্যার পর প্রেমিকের আত্মহত্যা, অসুস্থ হয়ে পরিবারের বোঝা না হতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার মত ঘটনা দেখেছি।

আত্মহত্যা রোধে আমাদের কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমাম হাসান ভূঁইয়া বলেন, আত্মহত্যার যে মূল কারণ তা হলো তার পারিবারিক, আর্থিক অনটন, বিফলতা অথবা হতাশা। এই থেকেই অনেকে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিচ্ছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে সম্পর্কের অবনতি, অবহেলা এটাও একটা কারণ। আমরা দিনে দিনে পরিবারের সদস্যদের প্রতি উদাসীন হয়ে যাচ্ছি। যার ফলে একে অপরের প্রতি সম্পর্কের অবনতি হয়ে যাচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে যদি সকলের প্রতি সকলে খেয়াল রাখি সম্পর্কটা আরও বাড়িয়ে দেই। তাহলে হয়তো আত্মহত্যার সংখ্যা কমে আসবে।

আত্মহত্যা রোধে পুলিশের কিছু করণীয় আছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, আমরা আত্মহত্যাসহ নানা ধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে জনসাধারণের সাথে কথা বলি। আমরা সামাজিক অবক্ষয়ের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। পাশাপাশি আমি মনে করি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করা উচিত। যাতে করে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীসহ সমাজের সাধারণ মানুষ সচেতন হয়।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, সাভার আশুলিয়া একটি শিল্পাঞ্চল হওয়ায় জীবিকার তাগিদে দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ পরিবার ছেড়ে এখানে বসবাস করেন। যার ফলে পরিবারে যে স্পেশাল কাউন্সেলিং তা কিন্তু তারা পাচ্ছেন না। যখন কেউ বিপদগ্রস্ত হয় তখন তাকে যে আমরা কাউন্সেলিং করি তা কিন্তু তারা পাচ্ছেন না। এটা আসলে সমাজের মধ্যে এ ধরনের সমাজ বিচ্ছিন্নতা। যার ফলে সমাজের মধ্যে থেকে সে নিজেকে অনিরাপদ মনে করে। তারা নিজের হতাশাগুলো শেয়ার করার মত বন্ধু বা স্বজন পাচ্ছেন না। যার ফলে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেন।

আরও খবর


বর্ষবরণ | বিথী রহমান

১৯ দিন ২১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে




দৃঢ়ভাবে আগাও - নূরুল ইসলাম নাযীফ

২৫ দিন ১ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে


ফিলিস্তিন - শাহীন খান

২৫ দিন ১ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে