রাজশাহী কলেজে ভাইভা দিতে এসে ছাত্রলীগ কর্মী আটক মিরসরাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্থ ও দুস্থ্য পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান সুন্দরবনে হরিণ মারার ফাঁসদড়ি ও দুটি নৌকা উদ্ধার শান্তিগঞ্জে পিক-আপের ধাক্কায় শিশু নিহত,গুরুতর আহত-১ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ফরমালিনযুক্ত আমের দোকানে অভিযান, ফরমালিনযুক্ত আম ধ্বংসসহ ২টি দোকানে জরিমানা ঝিনাইদহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম বার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মসজিদ কমিটির মোতায়াল্লি, সভাপতি, মুয়াজ্জিন ও ক্যাশিয়ার একই ব্যক্তি !! পীরগাছায় পাঁচদিন ধরে জামে মসজিদে তালা কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ চায় এনসিপি জাবিপ্রবিতে ইইই বিভাগে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম চীনের সঙ্গে চুক্তি, মোংলা বন্দর পরিণত হবে আধুনিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে ‘জুলাই ঐক্য’র আত্মপ্রকাশ সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ পুলিৎজার পেলেন যারা বড় ধরনের সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া বাস্তবায়ন করা হবে না নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে কিছু প্রতিক্রিয়া আক্রমণাত্মক ঝিনাইগাতীতে ফরমালিনযুক্ত আমের দোকানে অভিযান, ফরমালিনযুক্ত বেশকিছু আম ধ্বংস চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা নওগাঁর বদলগাছির ‘নাক ফজলি আম’ জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া সেই ইউএনওকে রংপুর বিভাগে বদলি আদমদীঘিতে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৬ অভয়নগরের কামকুল বাজারে সামান্য বৃষ্টিতেই জলবদ্ধতা, বেড়ে যায় জনদুর্ভোগ

আজ আদমদীঘি হানাদার মুক্ত দিবস

ছবি : প্রতিনিধি


আজ ১২ ডিসেম্বর। বগুড়ার আদমদীঘি থানা পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ ৯মাস বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মুহুর্মুহু গেরিলা আক্রমনে পাক হানাদার বাহিনী পালিয়ে যাওয়ায় ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আদমদীঘি থানা সদরকে পাক-হানাদার মুক্ত ঘোষনা করেন। কিন্ত ১২ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবসটি পালনে আলাদা কর্মসুচী গ্রহন করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা দাবী জানিয়ে আসলেও স্থানীয় প্রশাসন তা পালন করেন না।

আদমদীঘি থানা এলাকায় পাক হানাদার বাহিনী এবং এ দেশীয় দোসর রাজাকারদের পাশাপাশি বিহারীদের (অবাঙ্গালী) অত্যাচার ছিল অবর্ণনীয়। ১৯৭১ সালের এপ্রিলের শুরু থেকেই বিভিন্ন গ্রামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, মানুষ হত্যাসহ ধর্ষনের ঘটনাও ঘটিয়েছিল বিহারী ও পাক হানাদাররা। সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরে ৯মাস কোন বাঙ্গালীকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। বাঙ্গালী দেখা মাত্রই চালানো হতো নির্মম নির্যাতন। প্রত্যেক বিহারীই ছিল অস্ত্রধারী। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার মরহুম এল,কে আবুল হোসেন, ফজলুল হক, আজিজার রহমান নান্টু, মেজর আব্দুল হাকিম, মুনছুর রহমান, নাজির হোসেন, আব্বাস আলীসহ অন্যান্য যুদ্ধকালিন কমান্ডারদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদারদের সাথে আদমদীঘির কুসুম্বী গ্রাম, রেল স্টেশান, নশরতপুর, মথুরাপুর গাদোঘাট রেলওয়ে ব্রীজ, সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহর রানীনগনসহ গুরুত্বপূর্ন স্থানে গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে বেশ কিছু পাকসেনা ও রাজাকার নিহত হয়। শুরু থেকে রক্তদহ বিল, বোদলা, পালসা, বিহিগ্রাম, বিষœপুর, গণিপুর, কদমা, বেজার, থলবড়বরিয়া গ্রাম ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদ মুক্ত এলাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের চারিদিকের আক্রমনে পাক হানাদার বাহিনী পর্যুদস্ত হয়ে ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর সকাল থেকেই আদমদীঘি থানা সদর থেকে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরে পালিয়ে একত্রিত হয়। অবশেষে ওইদিন দুপুরে আদমদীঘি থানা সদরে বিজয়ের পতাকা উড়িয়ে আদমদীঘি থানা সদরকে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এর দুইদিন পর ১৪ ডিসেম্বর সান্তাহারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন তীব্রতার কারনে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরে টিকতে না পেরে পাক-হানাদার বাহিনী নওগাঁ অভিমুখে পালিয়ে যাওয়ায় সান্তাহার জংশন শহর মুক্ত হয় ১৪ ডিসেম্বর। মহান স্বাধীনতার পুর্ব মুহুর্তে পাকসেনারা আদমদীঘির শ^শানঘাটিতে চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শারীরিক নির্যাতনের পর প্রকাশ্যে গুলি করে নির্মম ভাবে হত্যাসহ দীর্ঘ ৯ মাসে এই উপজেলায় ২৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাবিল উদ্দিন, তহির উদ্দিনসহ অনেকের দাবী ১২ ডিসেম্বর আদমদীঘি সদর হানাদান মুক্ত দিবসটি পালন করে আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধে এই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা প্রায়োজন। 

Tag
আরও খবর