নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবৈধ পার্কিংয়ে বাড়ছে জনদুর্ভোগ।দক্ষিণবঙ্গের মানুষের রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর বেড়ে উঠেছে আরো গতিশীল যানবাহন। পদ্মা সেতু ঘিরে তৈরি হয়েছে পর্যটকদের অপার সম্ভাবনাসহ অর্থনৈতিক খাতগুলো। ঢাকা থেকে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় যেতে সময় সাশ্রয় হয়। কুয়াকাটা, তালতলীর টেংরাগিরি, শুভসন্ধ্যা, বরগুনা, পাথরঘাটাসহ আশপাশের একালা। এমনকি সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনশিল্প বিকশিত হবে। খুলে গেছে সারা বাংলাদেশব্যাপী যোগাযোগের দ্বার। কিন্তু এসবের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে কৃত্রিম যানযট। নথুল্লাবাদ নামক স্থানে এ মহাসড়ক দখল করে রেখেছে সিএনজি- আলফা ড্রাইভাররা। পকেট রাস্তার পরে এবার শহরের প্রধান সড়কও তাদের দখলে। ৫৮ বর্গকিমি এর শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি আলফা-সিএনজি। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে ব্যাটারী চালিত রিক্সা-ভ্যান। মহানগরে নির্দিষ্টসংখ্যক থ্রীহুইলার চলার অনুমতি দিলেও বাকি গুলো চলছে নিজ ক্ষমতার বলে।কোন রকম নিয়ম নীতির বলয় না থাকায় ইচ্ছামত বিচরণ করছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা, সেই সাথে শান্ত শহরে যানজট লেগেই থাকে। দুর্ভোগ আর পরিবেশ দূষণের মত ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে শহরে। দক্ষিণ বঙ্গের সাধারণ গনমানুষের ভরসার স্থল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রুগীদের স্বজনরা জানান, অসহায়ের মতো দীর্ঘ সময় জ্যাম উপেক্ষা করে হাসপাতালে পৌছাতে হয় আমাদের। তাই কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে আমাদের তাড়াতাড়ি পৌঁছানো সম্ভব হয়। যানজট নামের এই দুর্ভোগ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোড বিবি পুকুর পারে সিএনজি পার্কিংয়ের নামে চলছে স্টান্ড, নেয়া হচ্ছে ওখান থেকে পদযাত্রী। গুরুত্বপূর্ণ নথুল্লাবাদ মহাসড়কে চলছে স্টান্ডের নামে বাস দিয়ে সড়ক দখল। বস্তুত যানজটের কারণে প্রতিনিয়ত নানান সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন নগরবাসী। শিক্ষার্থীরা সময়মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। পরীক্ষার সময় যানজটের কারণে হলে ঢুকতে দেরি হচ্ছে। আবার অফিস-আদালতসহ নানান কাজে কর্মজীবীরা সময়মতো পৌঁছাতে পারছেন না। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে যানজট। স্বল্প দূরত্বের পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অকারণে দীর্ঘ সময় রাস্তায় বসে ধৈর্যের ব্যাঘাত ঘটছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ফুটপাত দখল, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে না চলা, ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি, অপ্রশস্ত সড়ক, ফিটনেসবিহীন গাড়ির অবাধ চলাচল এবং গণ পরিবহনের বদলে সিএনজি হলুদ অটোর রাজত্ব বরিশালকে যানজটের নগরীতে পরিণত করেছে।এ বিষয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) জানান, সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহ সবাই মিলে কাজ করতে হবে। সিটি করপোরেশনের সাথে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যে মেয়রকে জানানো হয়েছে, অতি শীগ্রই পার্কিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে আশাকরি
৩১ দিন ১৯ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৩৮ দিন ১০ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
৪১ দিন ১০ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৪৪ দিন ১৫ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
৫০ দিন ৬ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৫০ দিন ৭ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৫৬ দিন ৬ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৫৭ দিন ৭ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে