৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৫৫৮ শান্তিগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা এম এ সাত্তারের মতবিনিময় সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজে গণিতে শিক্ষক সংকট : পাঠদানে ধস, হতাশ শিক্ষার্থীরা চবি এলামনাই পুনর্মিলনীর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত লাখাইয়ের মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত চিকনপুর ব্রিজে বর্ষার আগমনে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। নির্বাচনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত এনসিসি গঠনে এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ সুনামগঞ্জ গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালেহ আল হেলাল কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের অর্ধযুগ পূর্তি শ্রীপুরে মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। জয়পুরহাটে সামাজিক ও রাজনৈতিক সহনশীলতা বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে সার ও চাল খালাস বন্ধ পরিবেশ রক্ষায় ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বেগমগঞ্জে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ ফরিদপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ গ্রেপ্তার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে তীব্র বিতর্ক! জাগো মুসলমান - আর. এম. কারিমুল্লাহ আমরা খামেনিকে এখনই হত্যা করব না: ট্রাম্প

পাকিস্তান প্রেমে মগ্নরা পাকিস্তানেই চলে যাক: প্রতিমন্ত্রী

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 26-03-2023 11:11:28 am

এখনো যারা পাকিস্তানের প্রেমে মগ্ন, তাদের এ দেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাদের পাকিস্তান চলে যেতে বলেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।


রোববার (২৬ মার্চ) রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, যারা ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করে না, যারা বাংলাদেশের সংবিধান ফেলে দিতে বলে, এর মানে কী? এর মানে ৩০ লাখ শহীদ ও দু লাখ নির্যাতিত মা-বোনের সঙ্গে বেইমানি করা।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিশ্বাস করে না, এখনো যারা পাকিস্তানের প্রেমে মগ্ন, তাদের এ দেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। তারা পাকিস্তানপ্রেমী তারা, পাকিস্তানেই চলে যাক।


‘আজ একটি কথা শিশুদের জানা উচিত। সেটা হলো-যখন কোনো দেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়, যখন কোনো দেশ রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে লাখ লাখ প্রাণের বিনিময়ে লাখ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন হয় সে দেশের স্বাধীনতা কোনো অজ্ঞাতনামা মেজরের ডাকে ঘোষণা করা হয় না। এটা পৃথিবীতে হয়নি, হবেও না। এ কথাটা তোমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে।’


অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা সন্তানদের বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাবেন। এটা আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব। এ শিশুরাই দেশপ্রেম, স্বাধীনতার মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। বঙ্গব্ন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। আজ স্বাধীনতা দিবসে এটাই হোক শিশুদের অঙ্গীকার।


তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যে রাষ্ট্রে শিশুরা হবে শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত। জাতিসংঘ শিশু সনদ প্রণয়ন করে ১৯৮৯ সালে, কিন্তু এর ১৫ বছর আগেই বঙ্গবন্ধু শিশু আইন প্রণয়ন করেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন শিশুরা যদি শিক্ষা, সংস্কৃতি চর্চা এবং খেলাধুলায় যথাযথ সুযোগ পায়, তাহলে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ ও মানুষকে ভালোবেসে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।


ফজিলাতুন নেসা বলেন, শিশুরা যাতে সৃজনশীল, মননশীল ও মুক্ত মনের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করেছিলেন। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে বই দিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করেছিলেন।


বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে জানিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুরাই স্মার্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিশালতা, ব্যাপকতা, আকাশচুম্বী উচ্চতা, অতলস্পর্শী গভীরতা শিশুদের হৃদয়ে উপলব্ধি ও অনুপ্রেরণা যোগাবে। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনে প্রাণে ধারণ করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।


অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।


অনুষ্ঠানের শুরুতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও সচিব এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, জয়িতা ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।


অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার প্রদান শেষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শত শিশুশিল্পী পার্থ বড়ুয়া ও নিশীতা বড়ুয়াকে সঙ্গে নিয়ে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটি পরিবেশন করে।

আরও খবর