◾ নিউজ ডেস্ক
কর আদায়ে মানুষকে কোনো ভয়-ভীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলা যাবে না। জোর জুলুম করা যাবে না। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের জানাতে হবে আপনার কর, আপনাদের কাজেই লাগে। সরকারের উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে জনগণ। যারা সুফল ভোগ করছে তাদের তো কিছু দিতে হবে। রাষ্ট্র এমনি এমনি দিতে পারে না। আর অন্যের কাছে আমরা হাত পাতবো না। কথাগুলো বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাজস্ব সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
এসময় ঘরে বসে করদাতাদের কর দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় রাজস্ব বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটার আরও ব্যাপক প্রচার দরকার। তাহলে রাজস্ব আহরণে খুব বেশি অসুবিধা হবে না। অনেকেই যেতে হবে, দিতে হবে- এই ঝামেলাটা নিতে চান না।
তিনি বলেন, এখন যেহেতু মূল্যস্ফীতি বেশি, প্রত্যেক মানুষের উপর অতিরিক্ত চাপ। এক্ষেত্রে করহার বৃদ্ধি না করে করহার যৌক্তিক করতে হবে। করজাল বাড়াতে হবে, ই-টিআইএন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা খুবই কম। অনেক ঝামেলার মধ্যে করতে হয়, বা সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমি মনে করি, এখানে কোনো জোর খাটবে না। কর ফাঁকি দেওয়ার যাদের প্রবণতা আছে, সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম হয়ে গেলে কেউ আর ফাঁকি দিতে পারবে না। আয়করের পরিমাণ এমন রাখা, প্রত্যেকেই যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে দিতে পারে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এখন কেউ আর কুঁড়েঘরে বাস করে না। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় ঘর দিচ্ছি, দুই কাঠা করে জমি দিচ্ছি। জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন করদাতার সক্ষমতা কিন্তু উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আছে। সেখানে রাজস্ব বোর্ডের প্রচারণা দরকার। যাদের কর দেওয়ার সামর্থ আছে, আপনারা দয়া করে দেবেন। যেটা আপনাদের সেবায় সরকার কাজে লাগাবে।
১৮ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
১ দিন ১৮ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
২ দিন ১৪ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৩ দিন ১ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৩ দিন ২১ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৪ দিন ১৩ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৪ দিন ২২ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৮ দিন ১৭ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে