এবার নতুন করে জন্ম দিয়েছে ‘গণভোট’ নিয়ে বিতর্ক। যার দিনক্ষণ ঠিক না হলে যার প্রভাব, জাতীয় নির্বাচনেও পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি জনগনের অংশগ্রহণ ছাড়া গণভোট সফল হওয়া নিয়ে শঙ্কাও দেখছেন কেউ কেউ।
দীর্ঘ সংলাপ আর জুলাই সনদ স্বাক্ষর আশায় জাগিয়েছিল রাষ্ট্র সংস্কারের। কিন্তু, দু'সপ্তাহ না ঘুরতেই আবারও তীব্র সংকট রাজনীতিতে। এবারের বিষয় গণভোট।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে গণভোট হয়েছে তিনবার। প্রথম দুটি ১৯৭৭ ও ১৯৮৫ সালে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রশাসনিক ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে। আর সবশেষ গণভোটটি ছিল ১৯৯১ সালে। যার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থার বদলে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয় সংসদীয় গণতন্ত্র।
অতীতের প্রতিটি গণভোটেই জনগণের সামনে একটিমাত্র প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। কিন্তু এবার ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে তা একাধিক সাংবিধানিক বিষয়ের ওপর জনতার রায় চাওয়া হবে। যা নিয়েই চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ ছিল না জনগণের। তাই প্রস্তাবিত গণভোটকে খুব সহজভাবে নাও দেখতে পারে মানুষ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ মোহাম্মদ শাহান বলেন, কমিশন গঠন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা এই পুরো প্রক্রিয়ায় জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সবাই ধরে নিচ্ছেন মানুষ ‘হ্যাঁ’ ভোট দেবে। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের ধারণা সবসময় সঠিক হয় না। অনেক সময় জনগণ বিষয়টি বোঝে না, অথবা ভোট দিতেই যায় না।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, গণভোট নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা বাড়বে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে গণভোট ইস্যুতে একমত হবার তাগিদ এই নির্বাচন বিশ্লেষকের।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম বলেন, গণভোট যখন হোক না কেন সেটা নভেম্বর, ডিসেম্বর বা ফেব্রুয়ারিতে হোক প্রতিটি দলকে এক জায়গায় আসতে হবে। তাদেরকে বুঝতে হবে যে একটা নির্দিষ্ট তারিখ আমাদের দরকার। সেই তারিখটা না হলে পুরো প্রক্রিয়াটা স্থবির হয়ে যেতে পারে।
গণভোটের প্রক্রিয়া, সময় এবং সাংবিধানিক বৈধতা। এই ত্রিমুখী জটিলতা নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
৭ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১ দিন ১৩ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
১ দিন ১৭ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে