কুরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে এসেছে যে, একজন মুসলিমের রাজনীতি, নেতৃত্ব, আইন প্রণয়ন—সবকিছু আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য হতে হবে। যদি কেউ আল্লাহর দ্বীন বাদ দিয়ে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে রাজনীতি করে, তাহলে সেটা গুনাহ, বিচ্যুতি এমনকি কখনও কুফর পর্যন্ত হতে পারে—কারণ এতে আল্লাহর হুকুমকে ফেলে মানুষের বানানো হুকুমকে গ্রহণ করা হয়।
১️. কুরআনের সতর্কবাণী
আল্লাহর হুকুম ছেড়ে অন্য আইন মানা
“যারা আল্লাহ যা নাজিল করেছেন তা অনুযায়ী বিচার করে না, তারাই কাফের।”
(সূরা মায়েদা ৫:৪৪)
“তারা কি জাহেলিয়াতের হুকুম চায়? আল্লাহর চেয়ে উত্তম বিধানদাতা আর কে আছে তাদের জন্য, যারা দৃঢ় ঈমান রাখে?”
(সূরা মায়েদা ৫:৫০)
অর্থ: যদি রাজনীতি আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে চালানো হয়, সেটা জাহেলিয়াতি রাজনীতি।
ক্ষমতা শুধু আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য
“যদি আমরা তাদেরকে পৃথিবীতে ক্ষমতা দেই, তারা সালাত কায়েম করবে, যাকাত দিবে, সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে।”
(সূরা হজ ২২:৪১)
অর্থ: আল্লাহর দেয়া ক্ষমতা মানে দ্বীন প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব, ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়।
২️. হাদিসের সতর্কবাণী
নেতৃত্ব আমানত
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“নেতৃত্ব একটি আমানত, আর কিয়ামতের দিন তা লাঞ্ছনা ও আফসোসের কারণ হবে—যদি না তা যথাযথভাবে পালন করা হয়।”
(সহিহ মুসলিম ১৮২৫)
অর্থ: রাজনীতি দায়িত্ব, নিজের স্বার্থে করলে কিয়ামতে আফসোস।
রাজনীতি দুনিয়ার লোভে করা যাবে না
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি নেতৃত্ব চায়, তাকে নেতৃত্ব দিও না। আর যে ব্যক্তি নেতৃত্বের জন্য লোভ করে, আল্লাহ তাকে তার উপর ছেড়ে দেন।”
(সহিহ বুখারি ৭১৪৯, সহিহ মুসলিম ১৭৩৩)
অর্থ: রাজনীতি আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা ছাড়া করলে সেটা নফসের লোভ।
৩️. ইসলামের মূলনীতি
রাজনীতি = ইবাদতের অংশ (যদি আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য হয়)
অন্যথায় = পাপ বা শিরক-সদৃশ অন্যায়, কারণ এতে আল্লাহর হুকুম ছাড়া মানুষের হুকুম মানা হয়।
৭ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৪ দিন ২০ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৯ দিন ১৭ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
২১ দিন ৩ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
২৫ দিন ১৬ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
২৮ দিন ১৩ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৫৮ দিন ১২ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৬৬ দিন ২০ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে