লাখাইয়ে কোরবানির জন্য এ বছর প্রস্তুত ৪৭৭৮ টি পশু। খামারিদের হরমোন স্টেরিয়ট জাতীয় খাদ্য না খাওয়ানোর আহবান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার।
লাখাইয়ে কোরবানির জন্য এ বছর প্রস্তুত ৪৭৭৮ টি পশু। খামারিদের হরমোন স্টেরিয়ট জাতীয় খাদ্য না খাওয়ানোর আহবান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার।
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করণ ও বিশুদ্ধ মাংস উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন লাখাই উপজেলার খামারিরা। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবারের ওপর ভিত্তি করে এসব খামারে কোরবানির পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। বাজারমূল্য ঠিক থাকলে এবারও লাভের মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পুরনের আশা খামারিদের। দেশের সব খামারে চলছে কোরবানির পশুর বাড়তি যত। তবে গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে গরুর দাম নিয়ে শংকিত লাখাই উপজেলার খামারীরা। দেশের বাইরে থেকে যেন দেশে গরু না আসে সে বিষয়েও জোর দাবী তাদের। আসন্ন ঈদুল আজহা কেন্দ্র করে এবার চাহিদার তুলনায় অধিক পশু পালন করা হয়েছে বলে জানায় প্রানিসম্পদ বিভাগ। লাখাইয়ের প্রায় প্রতিটি গ্রামে মোটাতাজাকরণের লক্ষে গড়ে উঠেছে গরুর খামার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খামারগুলোতে এখন চলছে বিক্রি করার প্রস্তুতি । দেশি গরুর সাথে এবার শাহিওয়াল জারসি,ফিজিয়ান, ব্রাহাম প্রজাতির গরুকে প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে গরু পালন করলেও এই সময় বাজারের কেনা খাবার দিয়ে গরুগুলোকে হৃষ্টপুষ্ট করতে ব্যাস্ত খামারীরা। সামান্য অযত্নে যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে বিষয়ে এখন সতর্ক খামারীরা। তবে গেলো বছরের তুলনায় গোখাদ্যের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় এবং চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশু বেশি থাকায় এবার গরুর দাম নিয়ে শংকিত তারা। এবারের কোরবানিতে দেশী গরুর বিক্রি বাড়াতে ভারতীয় গরুর সীমান্ত প্রবেশ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন খামারীরা। খামারী কামাল জানান, আমরা প্রতি বছর ২০-৩০ টা গরু পালন করলেও এবার বাছুরের মূল্য ও খাদ্য মূল্য বেশী হওয়ায় গরু পালন কমিয়ে দিয়েছি। পুর্ব বুল্লা গ্রামের খামারী শাহাব উদ্দিন জানান ভালোজাত ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোরবানীর ষাঁড় পালন করছি লাভের আশা করা যায়। বামৈ গ্রামের করিম জানান, প্রাকৃতিকভাবে গরু বড় করে আমরা বিক্রি করে আসছি। প্রায় ৩ একর জমিতে উন্নত জাতের কাঁচা ঘাসের চাষ করেছেন। গরুর খাবারের দাম বেশি হওয়ায় চিন্তায় আছি আর যদি ভারতীয় গরু আসে তাহলে তো শেষ। লাখাই উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সাইফুল আজম জানান, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এখন থেকেই নিয়মিত খামার পরিদর্শন, ভ্যাকসিন দেয়া, প্রশিক্ষন প্রোগ্রামসহ নানা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং খামারিদের হরমোন স্টেরিয়ট জাতীয় খাদ্য না খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান। তিনি আরো জানান, লাখাই উপজেলায় এবছর কোরবানি যোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে ৪৭৭৮টি. এসব পশুর মধ্যে গরু ৩৮৩৯টি, ছাগল ৬১৫, ভেড়া ৩১৪টি , মহিষ ১০টি.. উপজেলাবাসীর কুরবানি চাহিদা মিটিয়েও অবশিষ্ট থাকবে।