বি এম ফয়সাল, কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগে পূর্ববর্তী সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশ না করেই নতুন সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় ৪ নভেম্বর। একইবছর, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হয় ২৩ অক্টোবর এবং শেষ হয় ৩ নভেম্বর। অন্যদিকে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে কোনো ব্যাচেরই রেজাল্ট প্রকাশ না করে এবছরের এপ্রিল মাস থেকে তাদের পরবর্তী সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বিভাগের এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা বলছেন, ফলাফল হাতে না থাকায় নতুন সেমিস্টারে কতটা ভালো বা খারাপ করেছি, তা বুঝে প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে না। এতে শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে।
এই বিষয়ে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোর্শেদ কাজেম বলেন, "এটা আসলেই ঠিক না। আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু বিভিন্ন কারণে সময়মতো দেওয়া সম্ভব হয়নি। বাইরে যে খাতাগুলো যায়, সেগুলো সময়মতো ফিরে আসে না। পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিটিংয়ে তিনি জানান, রেজাল্ট অতি দ্রুত দেওয়া হবে। ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ সেশনের রেজাল্ট আনঅফিশিয়ালি দেওয়া হয়েছে। তবে ২০২২-২৩ সেশনের রেজাল্ট এখনও দেওয়া হয়নি, যদিও আজকের মধ্যে সাবমিট হওয়ার কথা। পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জানতে হবে—এখন পর্যন্ত কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে।"
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নুরুল করিম চৌধুরী বলেন, “আমরা বর্তমান প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা জায়গায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি। এই বিষয়ের দায় আমরাও অস্বীকার করছি না। আইন বিভাগ থেকে অনেক সময় বলা হয় যে, বাইরে থেকে খাতাগুলো সঠিক সময়ে আসে না। এর দায়ভার পরীক্ষা কমিটির যেমন আছে, আমাদেরও তেমন আছে।ভিসি এবং প্রো-ভিসি স্যারের কড়া নির্দেশনা আছে,যে ডিপার্টমেন্ট রেজাল্ট প্রকাশ করবে না, তারা পরবর্তী সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নিতে পারবে না। আমরাও সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। পরীক্ষা কমিটি তাদের জায়গা থেকে স্ট্রং থাকলে, আমাদেরও কাজ করতে সুবিধা হয়।
প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, “আমাদের পরিষ্কার নির্দেশনা আছে রেজাল্ট হাতে না পেয়ে যেন পরবর্তী সেমিস্টারের রুটিন প্রকাশ না করা হয় এবং সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া না হয়। তারপরও আমি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও পরীক্ষার কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলবো।”