মিরসরাইয়ে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে ছাত্র সমাবেশ গলায় লিচু আটকে প্রাণ গেল শিশুর অবশেষে বদলি হলেন ৫ যুবককে হেনেস্তাকারী ইসলামপুর সার্কেলের সেই এএসপি বানিয়াচংয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক সাতক্ষীরায় বিজিবি’র অভিযানে কাটাগ্রা ট্যাবলেট, ১০ বোতল মদসহ ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল আটক হাসনাত আব্দুল্লাহর উপর হামলার প্রতিবাদে মোংলায় বিক্ষোভ শামীম ওসমান পরিবারের দুই সহযোগী সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মধুপুরে বিএনপি নেতর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল মধুপুরে সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল নালিতাবাড়ীতে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীতে দুর্নীতি বিরোধী বিষয়ক ফোকাল পার্সনদের দুর্নীতি ও এর প্রতিরোধ এবং তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ডোমারে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)-কে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইয়াবাসহ স্বামী-স্ত্রী আটক আশাশুনি সদরের হাটবাজার ও আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে বন্দোবস্তের আবেদনকৃত প্রস্তাবিত খাস জমি পরিদর্শন ঝিনাইগাতীতে পেট্রোলের দোকানে অভিযান, ৪টি দোকানে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা কুলিয়ারচরে ঔষধ প্রশাসন এর জনসচেতনতা মূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে ব্যতিক্রম আয়োজন মধুপুরে ‘বর্ণমেলা’ অনুষ্ঠিত পীরগাছায় জিয়া পরিষদের আহবায়ক কমিটির তালিকা প্রকাশ লালপুরে আরসিসি ঢালাই কাজে অনিয়ম, ২৪ ঘন্টা না যেতেই রাস্তায় ফাঁটল

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে জোংগৈর


হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ হস্ত শিল্পের একটি নমুনা জোংগৈর।সময় পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে এসেছে নানা পরিবর্তন,পাল্টে গেছে মানুষের জীবন যাত্রা,এই পরির্বতনের ধারায় পিচনে পড়ে গেছে এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় জোংগৈর।

গরমে হাসফাস অথবা বৃষ্টিতে থই থই শহরের মানুষের একমাত্র ভরসা ছাতা। আর গ্রামের গরিব কৃষকদের একমাত্র ভরসা হলো জোংগৈর। গ্রাম বাংলার গরম আর বর্ষায় ফসলের মাঠের ভরসার সাথি ছিলো ছাতা। যার আঞ্চলিক নাম জোংগৈর। গ্রাম বাংলায় জোংগৈর চিনবে না এমন লোক পাওয়া মুশকিল। ছাতার বিপরীতে ব্যবহার করা হতো এই জোংগৈর। জোংগৈর তৈরি করা হয় মূলত বাশঁ, পলিথিন বা তাল পাতা দিয়ে। গ্রাম বাংলায় এই জোংগৈর ছিলো বেশ প্রচলিত। কমপক্ষে ঘরে ২-৪ টা জোংগৈর থাকতো। কালের বিবর্তনে এখন জোংগৈরের কথা বল্লে হয়তো অনেকে চিনবে না। তারা বলবে এটা কি জিনিস?

জানা যায়, বাশঁ পলিথিন ও তালপাতা দিয়ে তৈরি ডোঙা আকৃতির একটি গ্রামীণ উৎপাদন। গরীব মানুষের বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচানোর সস্তা উপায়। গ্রামীণ এলাকার লোকেরা বর্ষাকালে ছাতার বিকল্প হিসেবে এই “জোংগৈর” ব্যবহার করতো। তাল পাতা ও বাকলের দড়ি দিয়ে বানানো ছাতার বিকল্প হিসেবে কাজ করে। মাঠে বর্ষার সময় কৃষি কাজের জন্য খুবই উপযোগী। যদি ও আধুনিক যুগে এর ব্যবহার নাই বললেই চলে। যা বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতিতে ‘চাষীর বর্ষাতি নামে পরিচিত ছিল । একসময়ে গরমে পাখা আর বর্ষার জোংগৈর ছিল গ্রামীন জীবনের অঙ্গ। বিশেষ করে চাষী পরিবার গুলোতে এর কদর ছিল খুব। গ্রামে জোংগৈর ছিল চাষী পরিবারগুলোর গৃহস্থালির অন্যতম উপকরণ। বাড়ীর দেয়ালে বা দুয়াারে খুঁটিতে পেরেকে ঝোলানো থাকতো এই জোংগৈর ঝমঝম করে বৃষ্টি হচ্ছে আর ডোঙার মতো জোংগৈর মাথায় দিয়ে চাষিরা চাষ করছেন, এ দৃশ্য ধানের জমিতে খুব পরিচিত ছিল। এখন তা বিরল।

গ্রামের বৃদ্ধরা জানান, বাড়ীতে অন্যান্য আসবাব পত্রের অন্যতম ছিল জোংগৈর। এখন শীতকাল এলে যেমন বৈদ্যুতিক পাখা গুছিয়ে রাখা হয় তেমনি বর্ষার শেষে গুছিয়ে রাখতে হত জোংগৈর । আর সে দায়িত্ব নিতে হতো বাড়ীর মহিলাদের। একান্নবর্তী পরিবারে পেখার দায়িত্ব নিতেন প্রবীণা। বর্তমানে এগুলো এখন দেখা ও যায় না। সবাই আধুনিক যুগে এসে ছাতা ব্যবহার করছে। জোংগৈর যেমনে বিলুপ্ত ঠিক তেমনি বিলুপ্ত এই গ্রামীন শব্দটা ও। বর্ষায় আর কদর পায় না  জোংগৈর। বর্ষা এলেই একসময় জোংগৈর কেনার জন্য গ্রামে গ্রামে হুড়োহুড়ি পড়ে যেত । বিশেষ করে চাষী পরিবার গুলোতে এর কদর ছিল খুব। তবে নতুন প্রজন্মের কাছে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দেয়া উচিত নতুবা কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাবে এসব গ্রামীন সংস্কৃতি ও হস্ত এবং কুটিরশিল্প।

আরও খবর