পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল শক্তিশালী এক মুসলিম দেশ রাজশাহী কলেজে ভাইভা দিতে এসে ছাত্রলীগ কর্মী আটক মিরসরাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্থ ও দুস্থ্য পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান সুন্দরবনে হরিণ মারার ফাঁসদড়ি ও দুটি নৌকা উদ্ধার শান্তিগঞ্জে পিক-আপের ধাক্কায় শিশু নিহত,গুরুতর আহত-১ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ফরমালিনযুক্ত আমের দোকানে অভিযান, ফরমালিনযুক্ত আম ধ্বংসসহ ২টি দোকানে জরিমানা ঝিনাইদহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম বার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মসজিদ কমিটির মোতায়াল্লি, সভাপতি, মুয়াজ্জিন ও ক্যাশিয়ার একই ব্যক্তি !! পীরগাছায় পাঁচদিন ধরে জামে মসজিদে তালা কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ চায় এনসিপি জাবিপ্রবিতে ইইই বিভাগে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম চীনের সঙ্গে চুক্তি, মোংলা বন্দর পরিণত হবে আধুনিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে ‘জুলাই ঐক্য’র আত্মপ্রকাশ সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ পুলিৎজার পেলেন যারা বড় ধরনের সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া বাস্তবায়ন করা হবে না নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে কিছু প্রতিক্রিয়া আক্রমণাত্মক ঝিনাইগাতীতে ফরমালিনযুক্ত আমের দোকানে অভিযান, ফরমালিনযুক্ত বেশকিছু আম ধ্বংস চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা নওগাঁর বদলগাছির ‘নাক ফজলি আম’ জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া সেই ইউএনওকে রংপুর বিভাগে বদলি আদমদীঘিতে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৬

চিলমারীতে শূন্য পদ না থাকায় বেগার খাটলেন ৯ বছর এক শিক্ষিকা।

চিলমারীতে শূন্য পদ না থাকায় বেগার খাটলেন ৯ বছর এক শিক্ষিকা।

হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে শূণ্য পদ দেখিয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছর পরে ঐ শিক্ষিকা জানলেন তার নিয়োগটি বিধি মোতাবেক হয়নি। ঐ বিদ্যালয়ে তার পদে একজন চাকুরি করিতেছেন, তার পদটি শূণ্য নয়। ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষিকা নাম, মোছাঃ শামীমা আক্তার সরদার। তিনি চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা (সমাজ বিজ্ঞান) পদে নিয়োগ নিয়েছিলেন। মোছাঃ শামীমা আক্তার সরদারের অভিযোগ, শূণ্য পদ দেখিয়ে তাকে সমাজ বিজ্ঞান পদে সহকারী শিক্ষিকা পদে নিয়োগ দেয়া হলেও এখন তাকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে নিয়োগ নিতে বলছেন ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় মোছাঃ শামীমা আক্তার সরদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাদুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিনহাজুল ইসলাম। জানাযায়, ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট তারিখে স্থানীয় দৈনিক কুড়িগ্রাম খবর ও দৈনিক খবরপত্র পত্রিকায় শূণ্য পদ দেখিয়ে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। পরে আবেদনকৃতদের ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর তারিখে একটি বোর্ড বসিয়ে লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। সে সময় নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মরহুম সাদেক হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান ও বোর্ডের মনোনিত প্রতিনিধি ছিলেন। মোছাঃ শামীমা আক্তার সরদার লিখিত অভিযোগে বলেন, সহকারী শিক্ষিকা (সমাজ বিজ্ঞান) পদে যোগদান পেতে তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নেয়া হয়েছে। সে সময়ে ৩ মাসের মধ্যে নিজ দায়িত্বে এমপিও ভুক্ত করে দিবেন মর্মে আশ্বস্ত করেছিলেন প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান। কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাকে এমপিও ভুক্ত করাতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। কেননা সমাজ বিজ্ঞান পদটি শূণ্য দেখানো হলেও পদটি শূণ্য ছিলো না। ওই পদে মোছাঃ  সালমা আক্তার বানু নামে একজন চাকুরি করিতেছেন। পরে তাকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে পূন:নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রস্তাব করেন প্রধান শিক্ষক। তিনি অভিযোগে আরো বলেন, দীর্ঘ ৯বছর প্রতারিত হয়ে এমপিও ভূক্তির আবেদনের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তাহের আলীর স্বরনাপন্ন হলে তিনি ফাইলে স্বাক্ষর করতে ৫ হাজার টাকা উৎকোচ নেন। অতি কষ্টে ৫ হাজার টাকা জোগার করে ফাইলে স্বাক্ষর করিয়ে চলতি বছরের জুন মাসে অনলাইনে বিল প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন। আবেদনটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালকের দপ্তর থেকে পরিত্যক্ত হয়। পরে জানতে পারেন (সহকারী শিক্ষিকা-সমাজ বিজ্ঞান) এমপিও ভুক্ত শিক্ষক থাকায় আমি ঐ পদের জন্য অতিরিক্ত শিক্ষক। ফলে আমার বেতন বিল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।সহকারি শিক্ষিকা মোছাঃ সালমা আক্তার বানু বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে সমাজ বিজ্ঞান পদে যোগদান করে অদ্যবদি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি।নিয়োগের বিষয়ে চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ঐ শিক্ষিকার নিয়োগটি বিধি মোতাবেক হয়েছে। স্কুলে আসেন এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা হবে বলে জানান তিনি ।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তাহের আলী  টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, স্কুলটি নিম্ন মাধ্যমিক ছিল এখন মাধ্যমিক হয়েছে। ঐ শিক্ষিকার বিল হওয়ার কথা, তাই এমপিও ভূক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিনহাজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

আরও খবর