মাওলানা রইস উদ্দিন হতাকাণ্ডের বিচার ও ইসলাম বিদ্বেষী নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন তুহিনের মুক্তির দাবিতে ডোমারে তাঁতী দলের বিক্ষোভ ইসলামি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত "পুড়াখালী তা'লিমুল কুরআন মাদ্রাসা"। চোরাই ১২ টি রেল লাইনের পাতের খুঁটির ৬টি ফেরৎ দিলেও বাকীগুলো উদ্ধারের চেষ্টা নেই ★ প্রশাসন চুরি ও উদ্ধার ঘটনাই জানেন না ★ খুঁটি উঠানো ও চোরাই পথে বিক্রয়ের নায়ক মইজুদ্দীন ধরা ছোঁয়ার বাইরে কথা বলতে পারাটা, অধিকার আদায়ের প্রথম ধাপ : পীরগাছায় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ডোমারে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে গ্রেপ্তার-১ জবির দুই হলের প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে:- উপাচার্য লালপুরে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস পালন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়: ড. আলী রীয়াজ সুধীজনদের সাথে মত মতবিনিময় সভা করলেন সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আজ বিশ্ব মুক্ত গনমাধ্যম দিবস পুরস্কার মিলবে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ফাঁদ জমা দিলে টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল জয়পুরহাটে নাগরিক পার্টির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গী পরিদর্শন সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ৬ বস্তা ফাঁদ, বরফসহ ট্রলার জব্দ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাটি চাপায় পড়ে বাড়ীয়ালার মৃত্যু বরিশালে সাংবাদিক নির্যাতন-চাকরিচ্যুত প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শ্যামনগরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত পাঁচ দফা দাবিতে ববির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা কক্সবাজারের ন্যাশনাল পার্ক

বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে যে প্রাকৃতিক বনভূমিগুলোকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান তাদের মধ্যে অন্যতম। এই উদ্যানে দর্শনার্থীদের চিত্ত বিনোদনের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও নানা ধরনের কর্মকাণ্ড চলছে।


কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে অবস্থিত মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান।


অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বন মেধাকচ্ছপিয়া উদ্যান। এ বনভূমিকে ২০০৮ সালে জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতি দেয় সরকার। এই উদ্যানের আয়তন প্রায় ৩৯৬ হেক্টর।


মূলত এই উদ্যান গর্জন গাছের জন্য বিখ্যাত হলেও, গর্জনের পাশাপাশি এই বনে তেলসুর, বৈলাম, গামার, ও চাপালিশ গাছও রয়েছে।


এখানকার উদ্ভিদরাজির কারণে টিকে আছে নানা বন্যপ্রাণী। কীটপতঙ্গ ও প্রজাপতিসহ এখানে বিচরণ করে উভচর, সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বিভিন্ন প্রজাতি।


বর্তমানে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে এই উদ্যান৷ এ জন্য তৈরি করা হয়েছে তোরণ, কৃত্রিম হ্রদসহ নানা অবকাঠামো। এক কিলোমিটার লম্বা এই হ্রদের তীরে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির আড়াই হাজার গাছের চারা। ভবিষ্যতে এই হ্রদ আরও এক কিলোমিটার সম্প্রসারণ করার কথা রয়েছে। তৈরি করা হচ্ছে ঝুলন্ত সেতু। দুই পাড়ে একাধিক বিশ্রামাগারের কাজও চলমান রয়েছে।


স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম সিকদার বলেন, মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের দৃশ্যটা চোখে পড়ার মতো। মহাসড়ক হয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে যে কারো নজর কাড়ছে এ উদ্যানটি। পর্যটকদের সুবিধার্থে উদ্যানের ফাঁকে ফাঁকে নির্মিত হচ্ছে বিশ্রামাগার বা টহলশেড।


উদ্যানে ঘুরতে আসা পর্যটক গিয়াস উদ্দিন ও জমির উদ্দিন বলেন, এই উদ্যান কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের জন্য চমৎকার ভূমিকা রাখতে পারে। যদি এর সঠিক দেখভাল করা যায় তাহলে এই উদ্যান পর্যটকদের জন্যে আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে। বর্তমানে উদ্যানে কৃত্রিম হ্রদ ও বড় বড় গাছগুলো মুগ্ধ করার মত।


ধরিত্রী রক্ষায় আমরা এর কক্সবাজারের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদুল আলম শাহীন বলেন, বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ বিরুপ কর্মকাণ্ডে দিনদিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উদ্যানের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। এছাড়া অধিকমাত্রায় বনজসম্পদ আহরণ ও বনভূমি উজাড় করার ফলেও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ও প্রজননভূমি কমে যাচ্ছে। এছাড়া পর্যটকদের অসচেতন কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্যানের স্বাভাবিক পরিবেশ। ফলে উদ্যানের বেশকিছু প্রাণী এখন বিপন্ন। তাই এই উদ্যানের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রয়োজন কর্যকরী ব্যবস্থাপনা।


এই বিষয়ে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন আহমেদ জানান, এই উদ্যানের প্রধান বৃক্ষরাজির মধ্যে বিশালাকৃতির গর্জন ছাড়াও রয়েছে ঢাকিজাম, ভাদি, তেলসুর ও চাপালিশ। এছাড়াও এই উদ্যানে বাস করেন নানা ধরনের প্রাণী। যেমন মেছো বাঘ, হাতি, বানর, উল্টো লেজ বানর, বনবিড়াল, বনমোরগ, শুশুক, ইগল, সবুজ ঠোঁট ফিঙে, চিল, শ্যামা, গুইসাপসহ নানা প্রজাতির প্রাণী।


তিনি জানান, স্বল্প জনবল নিয়ে বিশাল এই বনাঞ্চল রক্ষা করতে গিয়ে অনেক সময় নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়৷ তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারি সম্পদ রক্ষা করে আসছি আমরা।


কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বর্তমানে উদ্যানে দৃষ্টিনন্দন এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হ্রদ পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। হ্রদের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের অবস্থান। উত্তর পাশে গর্জন বনের ভেতরে রয়েছে হেঁটে বেড়ানোর পথ ও ‘ট্রি অ্যাডভেঞ্চার’ এর ব্যবস্থা। সামনে এই হ্রদ আরও এক কিলোমিটার সম্প্রসারণ করা হবে। হ্রদের ওপর তৈরি করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত সেতু ও একাধিক বিশ্রামাগার। লেকে ভ্রমণের জন্য নামানো হবে নৌকা।

আরও খবর