নির্বাচনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত এনসিসি গঠনে এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ সুনামগঞ্জ গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালেহ আল হেলাল কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের অর্ধযুগ পূর্তি শ্রীপুরে মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। জয়পুরহাটে সামাজিক ও রাজনৈতিক সহনশীলতা বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে সার ও চাল খালাস বন্ধ পরিবেশ রক্ষায় ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বেগমগঞ্জে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ ফরিদপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ গ্রেপ্তার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে তীব্র বিতর্ক! জাগো মুসলমান - আর. এম. কারিমুল্লাহ আমরা খামেনিকে এখনই হত্যা করব না: ট্রাম্প যে কারণে পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা জরুরি জানভির মিউ মিউ লুকে লন্ডনের ফ্যাশন সন্ধ্যায় ঝলকানি লাখাইয়ের গোপিনাথ লিবিয়ায় অপহরণের শিকার ; শোনালেন নির্যাতনের কাহিনী শান্তিগঞ্জে জামায়াতের সাংগঠনিক ও বায়তুলমাল পক্ষের প্রস্তুতি সভা ক্ষেতলালে সরকারি পুকুর লীজকে কেন্দ্র করে নারী উদ্যোক্তাকে মারধর কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই

উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

Md Nazmul Hasan ( Contributor )

প্রকাশের সময়: 05-12-2023 03:04:26 am

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী

উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে তিনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন প্রতিভাবান রাজনীতিক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ এমনকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করতে ১৯২৬ সালে ইনডিপেনডেন্ট মুসলিম পার্টি ও ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 


হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাঙালির স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাবক। যদিও সেটা বিভিন্ন কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। বাংলার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৪৭ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অবিভক্ত এবং স্বাধীন বাংলার ধারণার প্রস্তাব তুলে ধরেন। ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারতবর্ষ বিভক্ত করে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে ভাগ করার পরিকল্পনা করছিলেন। তখন তিনি এ প্রস্তাব দেন। বাংলা, আসাম ও বিহার অঞ্চলের কয়েকটি জেলা নিয়ে ‘বৃহৎ বাংলা’ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্ক্ষা ছিল তাঁর।

পূর্ব বাংলায় মুসলিম লীগের অনেক নেতা এর বিপক্ষে ছিলেন।


ভারত বিভক্তির পর থেকে মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রতিবাদী নেতা ছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, তিনি পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। 


১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পরে বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটে, সে ক্ষেত্রেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।  


তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণেই ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্টের অনবদ্য বিজয়েও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।


তাঁর প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়।


বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর যে অসাধারণ প্রভাব ছিল, তা স্পষ্ট হয় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটিতে। এই বইয়ে অনেকের মতো সবচেয়ে বেশি কথা এসেছে সোহরাওয়ার্দীকে নিয়ে। বইটিতে বঙ্গবন্ধু তাঁকে ‘শহীদ সাহেব’ বলে সম্বোধন করেছেন।


সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একাধারে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে আসার প্রেরণা ও নেতা।


হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ৮ সেপ্টেম্বর ১৮৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দী এবং খ্যাতনামা উর্দু সাহিত্যিক খুজাখা আখতার বানুর কনিষ্ঠ সন্তান। তার পরিবারের সদস্যবর্গ তৎকালীন ভারতবর্ষের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের প্রথা অনুসারে উর্দু ভাষা ব্যবহার করতেন। কিন্তু সোহরাওয়ার্দি নিজ উদ্যোগে বাংলা ভাষা শিখেন এবং বাংলার চর্চা করেন। কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করার পর যোগ দেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। সেখান থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে তিনি স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি তার মায়ের অনুরোধে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আরবি ভাষা এবং সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯১৩ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক অর্জন করেন। এছাড়া এখানে তিনি আইন বিষয়েও পড়াশোনা করেন এবং ‘ব্যাচেলর অব সিভিল ল’ (বি. সি. এল.) ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯১৮ সালে গ্রে'স ইন থেকে বার-এট-ল ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯২১ সালে কলকাতায় ফিরে এসে আইন পেশায় নিয়োজিত হওয়ার মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী কর্মজীবন শুরু করেন। 


১৯২০ সালে তিনি বেগম নেওয়াজ ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বেগম নেওয়াজ ফাতেমা ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্যার আবদুর রহিমের কন্যা। ১৯২২ সালে তিনি মারা যান। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন পোলিশ বংশোদ্ভূত রাশিয়ান অভিনেত্রী বেগম বীরা সোহরাওয়ার্দী। আইন ব্যবসার পাশাপাশি তিনি ব্রিটিশ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। ১৯২২ সালে চিত্তরঞ্জন দাশের স্বরাজ পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।


তিনি ১৯৬২ সালের ৩১ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯৬৩ সালের ১৯ মার্চ লেবাননের রাজধানী বেরুতে যান। সেখানে তিনি আরোগ্য লাভের পর লন্ডনে তাঁর ছেলে রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর কাছে যান ও ৬ মাস কাটান। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে একটি হোটেলে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান।পরে তাকে ঢাকায় আনা হয় ও ৮ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের কবরের পাশে তিন নেতার মাজারে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।


তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আরও খবর



deshchitro-6833f89dd90e7-260525111405.webp
Successful Expert Session on BAETE Accreditation and BAC Standards

২৩ দিন ৯ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে


deshchitro-681f700fbf928-100525092607.webp
প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪ প্রদান

৩৮ দিন ২২ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে


deshchitro-67f43796540e1-080425023742.webp
তরুণ কবি আল আমিন- বিদ্রোহী

৭১ দিন ১৭ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে


deshchitro-67e191a7116bc-240325110855.webp
স্বপ্ন আমার

৮৫ দিন ২১ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে