ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না: খামেনি ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৫৫৮ শান্তিগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা এম এ সাত্তারের মতবিনিময় সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজে গণিতে শিক্ষক সংকট : পাঠদানে ধস, হতাশ শিক্ষার্থীরা চবি এলামনাই পুনর্মিলনীর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত লাখাইয়ের মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত চিকনপুর ব্রিজে বর্ষার আগমনে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। নির্বাচনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত এনসিসি গঠনে এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ সুনামগঞ্জ গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালেহ আল হেলাল কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের অর্ধযুগ পূর্তি শ্রীপুরে মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। জয়পুরহাটে সামাজিক ও রাজনৈতিক সহনশীলতা বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভা পীরগাছায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে সার ও চাল খালাস বন্ধ পরিবেশ রক্ষায় ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বেগমগঞ্জে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ ফরিদপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ গ্রেপ্তার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে তীব্র বিতর্ক!

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্য মাছ ধরার "পলো

মোঃ ফরমান উল্লাহ ( Contributor )

প্রকাশের সময়: 17-11-2023 04:30:44 am




মোঃ ফরমান উল্লাহ, বিশেষ প্রতিনিধি
হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্য মাছ ধরার"পলো"।প্রাচীণকালে মানুষ মাছ ধরতো পলো, জাল, কুঁচ,চায় ও আইড়া দিয়ে। এখন আর এগুলো দেখা যায় না। বর্তমানে মাছ ধরার জন্য কারেন্ট জাল, চায়না বাইর আবিস্কার হয়েছে।
কারেন্ট জাল ও চায়না বাইর এর ভেড়াজালে বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছ গ্রামের মাছ ধরার প্রধান মাধ্যম "পলো"। ৭০-৮০ দশকের দিকে শীত শুরু হওয়ার পূর্ব মুহুর্তে খাল-বিলের পানি কমে আসলে এলাকার মানুষ দল বেঁধে খাল-বিলে পলো দিয়ে মাছ ধরতো। গ্রামে এভাবে পলো দিয়ে মাছ ধরাকে পলো বাউয়া বা পলো বাইচ বলা হতো। এখন আর এগুলো চোখে পড়ে না।
কোন দিন কোন খাল বা বিলে পলো বাইচ হবে তা হাটের দিন বাজারে ঢোল পিঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হতো। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ দল বেঁধে পলো নিয়ে চলে আসতো ভোর বেলায়। কেউ কেউ আবার জাল নিয়েও নেমে পড়তো মাছ ধরার জন্য। কোন একজন বড় আকারের মাছ ধরতে পারলে সকলে মিলে সমসূরে চিৎকার দিতো। এই সমসূরে চিৎকারকে গ্রামের ভাষায় ডাক ভাঙ্গা বলা হত।
বর্তমানে কারেন্ট জাল এবং বিভিন্ন প্রকার আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে মাছ ধরার ফলে কমে গেছে প্রাকৃতিক মাছ। এখন খালে-বিলে আগের মত দেশীয় মাছ পাওয়া যায় না। আর দল বেঁধে পলো বাইচও হয় না। আমরা ছোট সময় দেখছি গ্রামের প্রতিটি ঘরে মাছ ধরার পলো,জাল, ছায়, কুঁচ আইড়া ইত্যাদি যন্ত্র পাতি থাকতো। এখন আর এগুলো দেখা যায় না।
গত কয়েক দিন আগে দল বেঁধে পলো দিয়ে মাছ ধরতে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায় নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার তেঘরিয়া বাজার সংলগ্ন বিলে।  হাজার হাজার মানুষ ভোরে পলো, জাল নিয়ে তেঘরিয়া বিলে মাছ ধরতে আসছে। হঠাৎ দেখলে মনে হবে মানুষ কোন যুদ্ধে যাচ্ছে। লাঠির আগায় পলো ঝুলিয়ে কাঁধে করে নিয়ে চলছে কার আগে কে যাবে। এ যেন কোন যুদ্ধ জয়ের লড়াই।
Tag
আরও খবর