মসজিদ কমিটির মোতায়াল্লি, সভাপতি, মুয়াজ্জিন ও ক্যাশিয়ার একই ব্যক্তি !! পীরগাছায় পাঁচদিন ধরে জামে মসজিদে তালা কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ চায় এনসিপি জাবিপ্রবিতে ইইই বিভাগে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম চীনের সঙ্গে চুক্তি, মোংলা বন্দর পরিণত হবে আধুনিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে ‘জুলাই ঐক্য’র আত্মপ্রকাশ সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ পুলিৎজার পেলেন যারা বড় ধরনের সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া বাস্তবায়ন করা হবে না নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে কিছু প্রতিক্রিয়া আক্রমণাত্মক ঝিনাইগাতীতে ফরমালিনযুক্ত আমের দোকানে অভিযান, ফরমালিনযুক্ত বেশকিছু আম ধ্বংস চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা নওগাঁর বদলগাছির ‘নাক ফজলি আম’ জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া সেই ইউএনওকে রংপুর বিভাগে বদলি আদমদীঘিতে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৬ অভয়নগরের কামকুল বাজারে সামান্য বৃষ্টিতেই জলবদ্ধতা, বেড়ে যায় জনদুর্ভোগ ৬ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর বাকৃবির শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি ভিসি স্বাক্ষর না করায় তিনমাস আটকে আছে পরীক্ষা: ববি শিক্ষক গাইবান্ধা থেকে অপহৃত পল্লীচিকিৎসক তিনদিন পর বগুড়া থেকে উদ্ধার। সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর ২ সহযোগী অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটক সাতক্ষীরায় প্রযুক্তির সহায়তায় নারী প্রকল্পের ফ্রিল্যান্সর প্রশিক্ষণ শেষে ল্যাবটপ বিতরণ নোয়াখালীতে ১১ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

মনের ক্যান্সার

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 17-10-2023 04:17:52 am

© সংগৃহীত ছবি


টেবিলের এক কোনায় থাকা ফুলদানিটি সব সময় পড়ে যায় এবং প্রত্যেকবার একটু একটু করে ভেঙে যাচ্ছে। ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে ফুলদানিটি।

দোষ ফুলদানিটির নয়, যে ফুলদানিটি ব্যবহার করছে দোষ তার। কারণ ফুলদানিটি টেবিলের কোণায় না রাখলে তা ধ্বংসের মুখে পতিত হতো না।

আমি মনের ক্যান্সার হিসেবে তুলনা করছি। বর্তমান প্রজন্মের মোবাইল ফোনের অপব্যবহারকে সময়ের স্বাস্থ্যয়ের জন্য মানুষ আবিষ্কার করেছেন মোবাইল ফোন। অথচ মোবাইল ফোন মানুষের সময়কে ক্যান্সারের মতো তিলে তিলে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আল ফ্রেড নোবেল- উচ্চু পাহাড় সমতল বানানোর জন্য। ডিনেমাইট আবিষ্কার করেছিলো। কিন্তু কয়েক বছর পর ডিনেমাইট এর ব্যবহার হয় মানব হত্যার প্রক্রিয়ায়। ঠিক মোবাইল ফোন আবিষ্কার ও যেন নোবেল এর ডিনেমাইট আবিষ্কারকে হার মানায়।


মানুষের জীবন পরিধির মূল্যবান বিষয়বস্তুর মধ্যে সময় সর্বশ্রেষ্ঠ মূল্যবান। অথচ মানুষ এই সময়কেই বেশি অপব্যবহার করেন। একটু কষ্টে থাকলেই সুখ হিসেবে মনে করেন ফেসবুকের ই স্টোরিকে। কেউ কোন ভাবে যথার্থ কথা বললেই সুখ খুঁজতে যায় tiktok এর ইমোশনাল ভিডিওতে। আসলেই কি জীবনে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ সবাই ফেসবুক মেসেঞ্জার আর টিকটক এর মধ্যে?

উত্তরেঃ হ্যাঁ।

সুখ সেখানে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদেরকে দাস বানিয়ে রেখেছে। প্রত্যহ ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুক এর নোটিফিকেশন চেক দিতে হবে। মেসেঞ্জারে কয়টা হাই-হ্যালো এসেছে সেগুলা রিপ্লাই দিতে হবে। বন্ধুদের ছবিতে কমেন্ট করতে হবে। লাইক দিতে হবে একটু বাড়াবাড়ি করতে হবে। নিজের ছবিকে সুন্দর ভাবে এডিট করে অন্যের সামনে তুলে ধরতে হবে। এইতো হল আমাদের বাস্তবতা। আসলে এর মাঝে কি কোন বাস্তবতা আছে?

পাঁচ বছর আগে যে বড় ভাই টা দিনে দুইটা ছবি আপলোড দিত সে বাস্তবতার সন্ধান পেয়ে ভুলে গেছে ফেসবুক নামের শব্দটি কে। যে মেয়েটা messenger এ রিপ্লাইয়ের পর রিপ্লাই দিত আজ সে সংসারের চাপ ও সন্তানদের ঝামেলায় বড্ড ব্যস্ত। এখন ওই বড় ভাই আর আপু বলে জীবনটা তখন প্রাণহীন খেলনার পুতুল ছিল। জীবনটা বড়ই আশ্চর্যের। ফোনের চার্জ শেষ না হলে যেমন ফোনে চার্জ দিতে চায়না ঠিক তেমনি মনটা ক্যান্সারে আক্রান্ত না হলে বুঝতে পারি না কোনটা ভালো ছিল কোনটা মন্দ ছিল। কোনটা ছিল ওষুধ কোনটা ছিল বিষ।

দিনশেষে নিজের হিসাব নিজেই খুজলাম, বের করলাম ফলাফল।

নিজের গলায় নিজে দড়ি লাগিয়ে বললাম হাস লাগলো কেনো?

নিজের বুকে নিজে অস্ত্র চালিয়ে বললাম কলিজা চিরে যায় কেন?

নিজের শ্বাসনালী নিজেই বন্ধ করে বলিলাম দম নিতে পারছি না কেন?

নিজের পায়ে নিজেই শিকল লাগিয়ে বললাম সামনে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল কেন?


লেখক: নাজমুস সাকিল