জিয়া-এরশাদ-খালেদা সবই তো ভোট চোর বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ভোট চুরি করেছে তাদের কাছ থেকে এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের মুখে নিরপেক্ষ ভোটের কথা মানায় না। দেশের মানুষ জানে, নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নতি হয়েছে। মানুষের দারিদ্র বিমোচন হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবাই তো ভোট চোর। এদেশের মানুষ জানে, নৌকায় ভোট দিলে মানুষ স্বাবলম্বী হয়। দারিদ্রসীমা ৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছি। কেউ ঘরবাড়ি ছাড়া থাকবে না। সন্দেহ হয় সেজন্যই।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে অগ্নিসংযোগ, মানুষহত্যাসহ এমন কিছু নেই তারা করেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে এসে শেষমেষ তারা সরে গেল। আগামী নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে। মিথ্যা বলা বিএনপির অভ্যাস, দেশবাসীকে কান না দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলে তখন বলতে হয়, ‘সন্দেহ হয় রে’। যারা ভোট পাবে না, যাদের জনসমর্থন নেই। যাদের কোটি কোটি টাকা আছে, তারা বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যখন দেশে স্বৈরশাসন ছিল, আমরা সংগ্রাম করেছি। নির্বাচন ব্যবস্থার যে সংস্কার। ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। এটা আওয়ামী লীগই করেছে। আমাকে শেখাতে হবে না। একটানা আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের উন্নয়নটা সম্ভব হয়েছে।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন কোন বিবেচনায় দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, সেটাই আমরা বিবেচনায় দেখব, বিবেচনা করব। প্রতি ছয় মাস পর পর আমি কিন্তু সার্ভে করি। কারো পজিশন খারাপ হলে সরাসরি মুখের ওপর বলে দিই। আমরা প্রপার সচেতন বলে নির্বাচনে জনগণের আস্থা পাই, ভোট পাই এবং নির্বাচনে জয়ী হই।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা বেশি, যারা সংসদ সদস্য আছেন তারা কতটুকু জনগণের জন্য কাজ করেছেন, জনগণের আস্থা, বিশ্বাস কতটুকু অর্জন করেছেন, আমরা সেটাকেই বিবেচনা নিই। সেটা বিবেচনায় নিই বলে আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে পারি। আমাদের সংসদ সদস্য, মন্ত্রীরা যদি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ না করত, তাহলে বাংলাদেশের এত পরিবর্তন হতো না।
১ দিন ৯ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
২ দিন ৪ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
২ দিন ১৬ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৩ দিন ১২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৪ দিন ৪ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৪ দিন ১৩ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৮ দিন ৮ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে