রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। এত বিশাল লোকের দায়িত্ব একা বাংলাদেশের পক্ষে নেওয়া সম্ভব না। আর নতুন করে লোক নেওয়াও সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ভয়েস অব আমেরিকার (ভোয়া) বাংলা সার্ভিসের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে হবে যে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের অবশ্যই দেশে ফিরে যেতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। সবাইকে বুঝতে হবে পরিস্থিতি। আমাদের পক্ষে আর কোনো লোক নেওয়া সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফিরে যেতে হবে।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের বারবার আহ্বানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত বিশাল জনসংখ্যার (সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা প্রায়) দায়িত্ব একা একটি দেশের পক্ষে নেওয়া অসম্ভব। শুধু আশ্রয় দেওয়াই নয়, এত বিশাল জনসংখ্যার জন্য জীবিকার ব্যবস্থা করাও একটি বড় দায়িত্ব, যা কোনো দেশ একা বহন করতে পারে না।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এবং চলমান কোভিড-১৯ এর কারণে সমগ্র বিশ্ব এখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হচ্ছে। যা বিশ্ববাসীকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা (রোহিঙ্গাদের) সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিল (স্থানীয় জনগণ) তারা এখন নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য কতটা আর করতে পারে এবং দেশের জনগণের কথাও ভাবতে হবে।’
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ আর কোনো লোক নেওয়ার অবস্থানে নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান কক্সবাজারের বন ধ্বংস করেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্টের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে এবং এলাকার আবাদি জমি ব্যাপকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।’ অনেক রোহিঙ্গা মানবপাচারের পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েছে এবং ক্যাম্পের অভ্যন্তরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে পড়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ১৬ কোটি বাংলাদেশির পাশাপাশি কয়েক লাখ মানুষের (রোহিঙ্গাদের) দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার আবেদনের কথাও স্মরণ করেন।
১ দিন ৮ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
১ দিন ১৮ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
৩ দিন ৬ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৪ দিন ৭ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৪ দিন ১৮ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৮ দিন ৭ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
৮ দিন ১২ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৯ দিন ১৭ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে