শিবচর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাকির ও সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন ইরানের মিসাইল হামলায় কেঁপে উঠল ইসরায়েল, ভয়াবহ ক্ষতির শঙ্কা সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না: সিইসি মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের অভিযোগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ছাত্রজনতার মানববন্ধন বুধহাটা বিশিষ্ট সমাজ সেবক সুপদ সরকার আর নেই। সমুদ্রসীমার পরিপূর্ণ হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার শ্যামনগরে শিশু অধিকার বিষয়ে এনসিটিএফ সংলাপ দরগাপাশা'র ৬নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জামায়াত নেতা হাজী মো মশিউর রহমান কে সংবর্ধনা মাদক এবং কিশোর গ্যাং বড় সামাজিক সমস্যা ওসি আমিনুল ইসলাম বছরের পর বছর মানুষ এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়েছে-শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানি অনেক গণমাধ্যম জুলাই গণ অভুত্থানকে ধারণ করে না- এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন জয়পুরহাটে সেনাবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অ্যালকোহল ও কাঁচামাল উদ্ধার জবির একটি হলের নাম 'বিশ্বজিৎ দাস হল' রাখার আহ্বান গণ অধিকার পরিষদ নেতার ইরান- ফিলিস্তিনে বর্বর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে লালপুরে বিক্ষোভ জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী দল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শরণার্থীদের বোঝা সবচেয়ে বেশি বহন করতে হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর' আদমদীঘিতে নাশকতা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত চার প্রকল্প ও কর্মসূচিতে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি

বড় জয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 03-09-2023 05:04:03 pm

স্কোরবোর্ড অনুযায়ী আফগানিস্তানের দরকার ছিল ৩৩৫ রান। আর বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য ছিল বড় ব্যবধানের জয়। ৩৩৪ রানের বড় সংগ্রহের পর সমীকরণ ছিল সহজ। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে কেবল জয় পেলেই হতো না, একইসঙ্গে নজর ছিল রানরেটের দিকেও। হাতের নাগাল থেকে প্রায় ছুটে যাওয়া ম্যাচে সেই কাজটাই মনে হচ্ছিল অসম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরেছে। বড় ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেছে সুপার ফোরের অংশগ্রহণ। 


ম্যাচটা যখনই হাতের নাগালে মনে হচ্ছিল, তখনই যেন বাংলাদেশকে এক পশলা স্বস্তি এনে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ফিরিয়েছেন এই স্পিনার। এরপর শরীফুলের বলে মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফিরেছেন হাশমতউল্লাহ শহিদী। এই দুই উইকেটের পর বাংলাদেশকে খুব একটা ভাবতে হয়নি। আফগানদের মিডল অর্ডার আর লোয়ার অর্ডার গুড়িয়ে দিয়েছে দ্রুতই। জয় এসেছে ৮৯ রানে।  


অথচ আফগানদের শুরুটা ছিল একেবারেই মন্থর। দ্বিতীয় ওভারেই বিপজ্জনক রাহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে দেন শরীফুল ইসলাম। রিভিউ নিয়েও পার পাওয়া হয়নি তার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এসেছে ৭৮ রান। রহমত শাহ আর ইব্রাহিম জাদরান আফগানদের রেখেছেন জয়ের পথেই। 


চিন্তায় ফেলে দেওয়া জুটি ভেঙেছেন তাসকিন আহমেদ। রহমতকে ফিরিয়েছেন তিনি সরাসরি বোল্ডে। এরপর অবশ্য স্বস্তি আসেনি। আরও একটা বড় জুটি হতাশ করেছে টাইগার বোলারদের। জাদরান এবং অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদীর জুটি থেকে এসেছে ৫২ রান। 


১৯৩ রানে মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে সুবাদে নাজিবুল্লাহ জাদরান। ফেরার আগে খেলেছেন ৭৪ বলে ৭৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। এরপরেই মূলত ধ্বস নেমেছে আফগান ইনিংসে। তিন রান পরেই উইকেটের পেছনে মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচের সুবাদে সাজঘরে শহিদি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ রান। 


২১২ রানে গুলবাদিন নাইব ফিরেছেন শরীফুলের আরও এক দুর্দান্ত ডেলিভারির সুবাদে। পরের দুই ওভারে এসেছে আরও দুই উইকেট। মোহাম্মদ নবী ফিরেছেন তাসকিনের বলে। আর করিম জানাত ফিরেছেন রান উইকেটের শিকার হয়ে। 


ম্যাচের ৪৫ তম ওভারে দুই উইকেটে আফগানদের ইনিংস শেষ করেছেন তাসকিন। ছয় মারতে গিয়ে হিট উইকেটে আউট হন মুজিব উর রহমান। আর সাকিবকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন রশিদ খান। ২৪৫ রানেই থেমেছে আফগানদের ইনিংস।


এর আগে ব্যাট করতে নেমে লাহোরে দারুণ এক শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের শুরুতেই চমক উপহার দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। শামীম পাটোয়ারীর অভিষেকের ম্যাচে মেহেদী মিরাজকে পাঠানো হয় মেইক শিফট ওপেনার হিসেবে। তাতে অবশ্য ফল এসেছে। নাঈম আর মিরাজের জুটি থেকে এসেছে ৬০ রান। মুজিবের বলে নাঈম বোল্ড হলে ভাঙে তাদের জুটি। 


এরপর উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। ২ বলে ০ করেই ফিরতে হয়েছে তাকে। এরপরেই আসেন নাজমুল হাসান শান্ত। শান্তর সঙ্গে মিরাজের জুটিও গড়েছে রেকর্ড। তৃতীয় উইকেটে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। রেকর্ড গড়া জুটির পথে মিয়াজ-শান্ত দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি।   


তবে সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করা হয়নি কারোরই। মিরাজ মাঠ ছেড়েছেন চোট নিয়ে। টিভি রিপ্লেতে দেখে ধারণা করা হচ্ছে, আঙুলে ক্র্যাম্প হয়েছে। ফিজিওর সঙ্গে এরপর মাঠ ছাড়েন মিরাজ। ততক্ষণে দুজন মিলে যোগ করেছেন ১৯৪ রান। 


প্রাথমিক অবস্থায় চোট কতটা গুরুতর, বুঝা যায়নি। মিরাজ উঠে যান ১১৯ বলে ১১২ রান করে। তাতে ৭টি চারের সঙ্গে ছিল, ৩টি ছক্কার মার। আর শান্ত আউট হয়েছেন ১০৪ রানে। রানআউটের ফাঁদে পড়েছেন তিনি। 


শান্ত-মিরাজের বিদায়ের পর ক্রিজে থিতু হতে পারেননি কেউই। আসা যাওয়ার মিছিলেও অবশ্য সচল ছিল রানের চাকা। সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম খেলেছেন কার্যকরি ইনিংস। সাকিবের স্কোর ৩২ আর মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ রান। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ৩৩৪ রানে।

আরও খবর