জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন ১৮০ জন পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ হতে ১৫ হাজার ৫১৫ জন হজযাত্রী সৌদী আরব পৌঁছেছেন বিশ্বে উদ্বাস্তু হওয়া মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি: আইডিএমসি ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহতদের ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রাফা ও জাবালিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিতে হামাস-ইসরায়েল তুমুল লড়াই নিজের হারানো প্রেমের গল্প শোনালেন মিঠুন চক্রবর্তী এবার আইসিসি থেকে সুখবর পেলেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার রাবিতে অনুষ্ঠিত হলো মিনি ম্যারাথন সোনাইমুড়ীতে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন কৃতিত্বের সাথে নাজিয়া ইসলাম গ্লোডেন জিপিএ ৫.০০ পেয়েছে স্মরণশক্তিকে মেধা বলে চালিয়ে দেয়ার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী ইসলামপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থার প্রস্তাবের অভিযোগ ফের তদন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথ অভিযানে অস্ত্রগুলি সহ আরসা শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক শেরপুরে ডিবি পুলিশের অভিযানে ১ হাজার ২৯২ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার: গ্রেফতার ১ কুলিয়ারচরে চারটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন ইউএনও ফারজানা আলম হাসপাতালে মেঝে পরিষ্কারের ব্রাশ হাতে নিলেন হুইপ স্বপন কাদের মির্জাকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিলো যুক্তরাষ্ট্র ঝিনাইগাতীতে কিশোর-কিশোরীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী জামালপুরের শ্রেষ্ঠ সার্কেল হলেন এএসপি অভিজিত দাস, শ্রেষ্ঠ ওসি সুমন তালুকদার

পুরনো মামলায় ইসলামপুর উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ নেতা-কর্মী জেলহাজতে

ইসলামপুরে গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির নেতা-কর্মীকে আদালতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।

বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের দায়ের করা পুরনো মামলায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ নেতা-কর্মীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ইসলামপুর থানা পুলিশ  জামালপুর আদালতে হাজির করলে সংশ্লিষ্ট বিচারক তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ইসলামপুর থানা পুলিশ।

জেলহাজতে প্রেরণকৃতরা হলেন, জেলা বিএনপির ত্রাণ-পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাঁধন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা খোকন, জেলা ছাত্রদলের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মাহমুদুল হাসান, পৌর কৃষকদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহান শাহ, সদস্য মোকলেছ, রাছেল এবং শ্রী জয়ন্ত।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের নাশকতার পরিকল্পার পুরনো মামলার আসামী বানিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী না হলেও তারা মামলায় উল্লেখিত ঘটনায় সম্পৃক্ত।'

থানা হাজতে থাকাবস্থায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বলেন, 'বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে রেলওয়ে  স্টেশন রোডে আমার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নেতা-কর্মী সঙ্গে চা পান করতেছিলাম। হঠাৎ আচমকা ভাবে একদল পুলিশ আমাদের ঘিরে ফিরে। এ সময় পুলিশ  জানায়, থানার ওসি সাহেব কথা বলতে আমাদেরকে থানায় নিয়ে যেতে বলেছেন। পরে পুলিশে পিকআপে উঠিয়ে আমাদের থানায় আনে যায় পুলিশ। আমাদের কারোর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।'

থানা হাজতে থাকাবস্থায় পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা খোকন বলেন, 'আমার নামে মামলা না থাকলেও পুরনো মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কিছুদিন আগেও মামলা ছাড়াই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করছিল ।'

থানা হাজতে থাকাবস্থায় পৌর কৃষকদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান বলেন, 'আমার নামে কোনো মামলা নেই। কিন্তু ডেকে এনে পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করেছে।'

ইসলামপুর থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ২৪। ওই মামলায় বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম নবাব, যুবদল নেতা বাঁধন, সোহেল রানা খোকন, জেলা ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে তারা এজাহারভুক্ত আসামী নন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসলামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মাহমুদুল হাসান মোড়ল বলেন, 'এজাহারভুক্ত আসামী না হলেও মামলায় উল্লেখিত ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। সেকারণেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এছাড়া গত ১৪ ফেবু্রুয়ারি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এসআই মাসউদুর রহমানের দায়েরকৃত ১৩ নম্বর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কৃষকদল নেতা মশিউর রহমান, ছাত্রদল নেতা শাহান শাহ, সদস্য মোকলেছ, রাছেল এবং শ্রী জয়ন্তকে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'গ্রেপ্তাকৃতরা অজ্ঞাত আসামী হওয়ায়  তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ইসলামপুর আসনের সাবেক এমপি সুলতান মাহমুদ বাবু বলেন,  'গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির ওইসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নতুন কোনো মামলা নেই। জামিন অযোগ্য পুরাতন গায়েবি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কুনঠাসা করতেই নেতা-কর্মীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।'

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবু আরও বলেন, 'বিএনপির আন্দোলন বন্ধের হীন উদ্দেশ্যে নেতা-কর্মীদের মাঝে এক ধরনের ভয়-ভীতি সঞ্চার করতেই এ গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এলাকায় অবস্থান করছে। মূলত তাঁকে খুশি করতেই মনগড়াভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।'

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, 'অযথা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।'

পুরনো মামলায় ইসলামপুর উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ নেতা-কর্মী জেলহাজতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের দায়ের করা পুরনো মামলায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ নেতা-কর্মীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ইসলামপুর থানা পুলিশ জামালপুর আদালতে হাজির করলে সংশ্লিষ্ট বিচারক তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ইসলামপুর থানা পুলিশ। জেলহাজতে প্রেরণকৃতরা হলেন, জেলা বিএনপির ত্রাণ-পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাঁধন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা খোকন, জেলা ছাত্রদলের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মাহমুদুল হাসান, পৌর কৃষকদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহান শাহ, সদস্য মোকলেছ, রাছেল এবং শ্রী জয়ন্ত। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের নাশকতার পরিকল্পার পুরনো মামলার আসামী বানিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী না হলেও তারা মামলায় উল্লেখিত ঘটনায় সম্পৃক্ত।' থানা হাজতে থাকাবস্থায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বলেন, 'বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে রেলওয়ে স্টেশন রোডে আমার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নেতা-কর্মী সঙ্গে চা পান করতেছিলাম। হঠাৎ আচমকা ভাবে একদল পুলিশ আমাদের ঘিরে ফিরে। এ সময় পুলিশ জানায়, থানার ওসি সাহেব কথা বলতে আমাদেরকে থানায় নিয়ে যেতে বলেছেন। পরে পুলিশে পিকআপে উঠিয়ে আমাদের থানায় আনে যায় পুলিশ। আমাদের কারোর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।' থানা হাজতে থাকাবস্থায় পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা খোকন বলেন, 'আমার নামে মামলা না থাকলেও পুরনো মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কিছুদিন আগেও মামলা ছাড়াই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করছিল ।' থানা হাজতে থাকাবস্থায় পৌর কৃষকদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান বলেন, 'আমার নামে কোনো মামলা নেই। কিন্তু ডেকে এনে পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করেছে।' ইসলামপুর থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ২৪। ওই মামলায় বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম নবাব, যুবদল নেতা বাঁধন, সোহেল রানা খোকন, জেলা ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে তারা এজাহারভুক্ত আসামী নন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসলামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মাহমুদুল হাসান মোড়ল বলেন, 'এজাহারভুক্ত আসামী না হলেও মামলায় উল্লেখিত ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। সেকারণেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া গত ১৪ ফেবু্রুয়ারি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এসআই মাসউদুর রহমানের দায়েরকৃত ১৩ নম্বর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কৃষকদল নেতা মশিউর রহমান, ছাত্রদল নেতা শাহান শাহ, সদস্য মোকলেছ, রাছেল এবং শ্রী জয়ন্তকে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'গ্রেপ্তাকৃতরা অজ্ঞাত আসামী হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।' উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ইসলামপুর আসনের সাবেক এমপি সুলতান মাহমুদ বাবু বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির ওইসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নতুন কোনো মামলা নেই। জামিন অযোগ্য পুরাতন গায়েবি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কুনঠাসা করতেই নেতা-কর্মীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।' বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবু আরও বলেন, 'বিএনপির আন্দোলন বন্ধের হীন উদ্দেশ্যে নেতা-কর্মীদের মাঝে এক ধরনের ভয়-ভীতি সঞ্চার করতেই এ গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এলাকায় অবস্থান করছে। মূলত তাঁকে খুশি করতেই মনগড়াভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।' ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, 'অযথা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।' ইসলামপুরে গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির নেতা-কর্মীকে আদালতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।


আরও খবর