জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়: ড. আলী রীয়াজ সুধীজনদের সাথে মত মতবিনিময় সভা করলেন সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আজ বিশ্ব মুক্ত গনমাধ্যম দিবস পুরস্কার মিলবে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ফাঁদ জমা দিলে টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল জয়পুরহাটে নাগরিক পার্টির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গী পরিদর্শন সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ৬ বস্তা ফাঁদ, বরফসহ ট্রলার জব্দ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাটি চাপায় পড়ে বাড়ীয়ালার মৃত্যু বরিশালে সাংবাদিক নির্যাতন-চাকরিচ্যুত প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শ্যামনগরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত পাঁচ দফা দাবিতে ববির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম নালিতাবাড়ীতে দুর্নীতি বিরোধী বিষয়ক ফোকাল পার্সনদের দুর্নীতি ও এর প্রতিরোধ এবং তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকরণ (প্রতিবন্ধিতা) তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীর বাঘবেড় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকরণ (প্রতিবন্ধিতা) তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গ্রেফতার। প্রায় দেড়শ বছর ধরে চলে আসছে নাপাইচন্ডী মেলায় গাজী সাহেবের দরগাহে মান্নতি প্রথা রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৫৩ পুরিয়া হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

ও আর হ্যাঁ মা, সাথে এও বলো, আমি আছিয়া বলছি...!

সংগ্রহীত

ও আর হ্যাঁ মা, সাথে এও বলো, আমি আছিয়া বলছি...!


জানো তুমি মা!

আমার জন্ম তোমার বুকে।

ঐ যে ঐখানে আমার জন্ম;

যেথায় ভাঙা বেড়ার ফাঁকে সূর্যির কিরণ ছড়ায়।

পাশে থাকা পঁচা পাঠ ভড়া ডোবার গন্ধে ছেয়ে যায়;

সে-যে মা-গো অজপাড়াগাঁয়ের হতদরিদ্রের মেয়ে তুমি,

তোমার কি আর ভাগ্যে সাজে সজ্জিত করবে তোমার মেয়ে'!

সে আ__র থাক; ভাগ্যলিপি সেতো তুমি হাসি মুখেই বরণ করেছিলে!

দুমুঠো ডাল আর ভাত মেয়ের মুখে তুলে দিবে বলে দিনের পর দিন কাটিয়েছো পড়সিবাড়িতে!

সাড়ি, গহনাগাঁটি আর হাতের বালা; সে না হয় শোভা পাক উঁচু বাড়ির মাসি মাদের হাতে!

তোমার যে ভাগ্যলিখন চিরসত্য; চাইলেও কি আর তা মুছা যায়?

আচ্ছা, মা! তবুও কি তুমি কখনও তোমার মেয়ের মুখে বিষণ্নতার ছাপ দেখতে চেয়েছিলে?

চেয়েছিলে কি দেখতে?- তোমার মেয়ের বিভৎস করে দেওয়া ছেঁড়াফাঁড়া এক নিথর দেহ...!


জানি, মা তুমি আজ নির্বাক!

ছলছল আঁখিজলে আজ তোমার আঁচল ভেজা।

বুকে চেপে থাকা প্রশ্নেরা তোমায় খুঁড়েখুঁড়ে খাচ্ছে।

কিন্তু তোমার এ ভূমি; সে তো তোমার মাতৃভূমি!

তোমার মায়ের মাটি সে কি জবাব দিবে, বলো নাগো মা! চুপচাপ তোমার মায়ের মাটি তোমার নারিছেঁড়া রত্ন মেয়ের তপ্ত রক্তে ভেজে চুপচুপে!

জানো, মা! তোমার মেয়ের তপ্ত রক্ত সেথায় শুকিয়ে গেছে। কেউ হয়তো কাছেও যায়না। কেন জানো?

হা-হা-হা...! সেখান থেকে গন্ধ আসছে। রক্তে ভেজা মাটিপঁচা গন্ধ!

এটা তোমার মায়ের মাটি।

তোমার জন্মভূমি।

মাতৃভূমি।

আঁচল পেতে স্বামী আর আমার ভাইয়ের জিবন বিলিয়ে যে মাটির স্বাধীনতা কেঁড়ে এনেছিলে;

মুক্ত স্বাধীনতা। তোমার স্বাধীনতা। তোমার মেয়ে আছিয়ার স্বাধীনতা।

তুমি হয়তো স্বপ্ন বুনেছিলে, এ মাটিতে আমার মেয়ে আমার হয়ে বাঁচবে; কিন্তু দেখেছো মাগো, এই মাটি তোমার মেয়ের রক্তচোষা খেগো।


মা! ও মা!

আমার বড্ড কষ্ট হচ্ছে!

কষ্ট হচ্ছে হায়নাদের থাবায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া ছোট্ট দেহটা নড়াতে!

লজ্জা হওয়ার আগেই মাগো আমার মুখে লজ্জা মেখে দিলো!

এ লজ্জা নিয়ে এ মুখ যে আর দেখাতে মন চায় না;

তাই তো দেখো না মা, দু-তিন দিন হয়ে গেলো তবুও চোখ খোলে তাকাইনি!


মা, আমার দিব্যি মনে আছে, বুবুকে যখন বিয়ে দাও তখন খুব ভাতের অভাব ছিলো। বাবা যখন অসুস্থতার চাদর গায়ে তখন তুমি বুবুর সুখের খোঁজে হাত পেতেছিলে তোমার মাটির মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে।


বুবুকে সেদিন তোমার ঘাম মাখা টাকায় সাজিয়েছিলে।

সজ্জিত করেছিলে বুবুর হবু বরকে। যেথায় বুবুর শশুরবাড়ি সেথায় তুমি দিয়েছিলে নামিদামি গাড়িবাড়ি; ঘাম শেষে যেন রক্তবেঁচা টাকায়!


মা-গো তুমি আমার হাতটি ধরে বলেছিলে, হাসি ছিলো বেস তোমার মুখে 'ওরে আছিয়া! এ তুর আরেক বাপ। বাপ ডাকলে পরে হোদায় কিনে দিবেয়ানে!'

জানো, মা তোমার মেয়ে সত্যি সেদিন বাবার আসনেই বসিয়েছিলো। অবুঝ মনে বাবার চেহেরা অঙ্কন করেছিলো...!

কিন্তু তোমার এ ছোট্ট আছিয়ার ভাগ্য বছর ৮ থাকতেই পঁচন ধরেছে! বাবার মুখোশে লজ্জার আগেই লজ্জা কেঁড়েছে।


ভুলে গেছো মা?

ঐ যে বুবুর বিয়ের দিন;

আমার হাত টেনে বুবুর বরের কাছে গিয়ে বলছিলে, 'আছিয়া এ তোগো বড় ভাই। বাবা, এ তোমারে ভাই বলে ডাকবোয়েনে।'

 অবুঝ তোমার মেয়ে আছিয়া বড় ভাই বলেই বিশ্বাসে গেঁথেছিলো। ভাইয়ের স্নেহ বড্ড আশা করেছিলো!


কিন্তু দেখেছো মা?

তোমার এ ছোট্ট মেয়ের মন আর ছোট্ট দেহে বিষাদের বিষ ঢেলেছে!

যে বিষ আমায় আমাকে আমার শরীর নড়াতে দিচ্ছে না! এ বিষাদ তোমার মেয়ের চোখ খোলতে দিচ্ছে না!

লজ্জা আর কালো অধ্যায় মা-গো তোমার আছিয়াকে হাসপাতালের বেডের সাদা কাপড়ে গুটিয়ে রাখছে।


মা, সত্যি তুমি জানো?__ বেঁচেও যদি যায় তবুও মা তুমি দেখবে, নিত্যদিনের খেলার ছোটছোট বান্ধবীদের সাথে খেলতে গেলেও তোমার মাটির মানুষেরা তাদের ছোট মেয়েদেরকে আমার থেকে দূরে রাখবে।

তুমি মা এ সত্যকে কখনও অস্বীকার করতে পারবে না! তোমার মাতৃভূমির মানুষ এমনই....!


আচ্ছা, মা! মা-গো!

বড্ড কষ্ট হচ্ছে আমার!

হায়নাদের আঁচড় আমার গায়ে খুব খু-ব যন্ত্রণা দিচ্ছে।

তবুও বলি, মা! তোমার  মাতৃভূমির বাকি মেয়েদের দেহে মানুষের মুখোশধারী পিশাচের আঁচড় লাগতে দিও না! এ যে শুধু বেঁচে থাকার নামান্তরের পিছনে কালো আরো একটা দীর্ঘ অধ্যায় রয়েছে। তোমার দেশের মানুষকে বলে দিও, তোমার মেয়েদেরকে মা-গো যেন লজ্জার আগেই লজ্জা আর বিষ ঢেলে না দেয়!


ও আর হ্যাঁ মা, সাথে এও বলো, আমি আছিয়া বলছি...!

✍️মুদ্দাসির বিল্লাহ

আরও খবর