কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডীতে পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ ও বাঁধা দেয়ায় আমান উল্লাহ আমান (৩১) নামের এক লিবিয়া প্রবাসী যুবকের হাত কেটে নিয়েছে ২-৩ জনের এক দুষ্কৃতকারী দল। স্থানীয় সৈয়দ হোসেনের নেতৃত্বেে এ হামলা হয় বলে জানা যায়।
১০ জুলাই (বুধবার) রাত ১০ টায় এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটে ইউনিয়নের মধ্যম রাখাইন পাড়া মাঝের বাজার এলাকায়।
ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
আহত আমান উল্লাহ আমান পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমেদের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহত আমান উল্লাহ আমানের মেজ ভাই শফি আলমের স্ত্রী রোকসানা বেগমের সঙ্গে চায়ের দোকানদার ঘাতক সৈয়দ হোসেনের ৬ বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে আহত আমানুল করিম তাকে পরকীয়া প্রেমে বাঁধা প্রদান করেন, এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে সৈয়দ হোসেনের নেতৃত্বে আরো ২/৩ জন দুষ্কৃতকারী প্রবাসী আমান উল্লাহ আমানকে বেধড়ক মারধর করে, একই সাথে শরীরের থেকে একটি হাত সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
পরে আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। আমানকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, সৈয়দ হোসেনের সঙ্গে রোকসানা বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে ওয়ার্ড মেম্বার শাহজাহানের কাছে কয়েকবার সালিশি বৈঠকও হয়েছিল এবং শপথনামা নিয়েছিল অবৈধ সম্পর্ক না রাখার শর্তে। কিন্তু তাও না মেনে যোগাযোগ রাখায় প্রতিবাদ করেন আমান উল্লাহ আমান।
ঘাতক ছৈয়দ হোসেনে একই এলাকার ছৈয়দ করিমের ছেলে।
আহতের ভাই শফি আলম দাবি করেন, এ ঘটনায় সৈয়দ হোসেনের ছেলেসহ আরো কয়েকজন জড়িত ছিল। ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান শফি আলম।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ঘাতক সৈয়দ হোসেন ও তার ছেলে।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শাহজাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাদের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে বিষয়টি পরিবার থেকে জানানো হলে ৫/৬ বার সালিশি বৈঠকে বসে পরকীয়া প্রেম না রাখার শর্তে মুচলেকা নেয়া হয়েছিল। তারপরও সৈয়দ হোসেন রোকসানা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। মোবাইলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় যোগাযোগের প্রমাণ মেলে।
মামলা দায়ের করলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মসিউর রহমান।
খবর পেয়ে ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
১ দিন ১৯ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
১৮ দিন ১৬ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
২৭ দিন ১৯ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
২৯ দিন ১৯ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৩৩ দিন ২১ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৩৩ দিন ২১ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
৪৯ দিন ৮ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৫১ দিন ২০ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে