শ্রাবণ মানেই আকাশজুড়ে কালো মেঘের ঘনঘটা। আর কদিন পরই শেষ হবে শ্রাবণ মাস। তাই বিদায়ী বর্ষায় যেনো কয়েকদিন ধরে আকাশের বুক জুড়ে মেঘের বিচরণ। সকাল থেকে দুপুর এক করে ঘন কালো মেঘ ছাপিয়ে অবিরাম ঝরছে বৃষ্টি ধারা, আছে দমকা হাওয়াও।
শ্রাবণের এ ঝুম বৃষ্টিই সমুদ্র শহরের মানুষের চলাফেরায় পদে পদে সৃষ্টি করেছে ভোগান্তি। টানা বর্ষণে নতুন সংস্কার হওয়ার শহরের অনেক প্রধান সড়ক এবং উপসড়কের উপর দিয়েই হাঁটু পরিমাণ পানি।
তবে শহরের সড়কজুড়ে পানি আর কাঁদায় শহরবাসীর দুর্ভোগটাও সীমাহীন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য এ বিপত্তি আরও বেশি।
টানা বৃষ্টি আর পূর্ণিমার জোয়ারে কক্সবাজারের চকরিয়া পেকুয়া ঈগদাহ রামু সহ কক্সবাজার সদরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ২লাখের অধিক মানুষ হয়েছে পানিবন্দি।
পানিবন্দি আছে সবচেয়ে বেশি চকরিয়ার ৪৫ হাজার পরিবার , পেকুয়াতে ৮ হাজার , কক্সবাজারে ১ হাজার , টেকনাফে ২০০ , মহেশখালীতে ১০০, ঈদগাহ ১০০ কুতুবদিয়া ৬ টি ইউনিয়নে ৭০ টি পরিবার ,উখিয়ায় ৫০ টি পরিবার।
পানিবন্ধী মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো: শাহীন ইমরান।
সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানায়।
কক্সবাজার ও এর তৎসংলগ্ন এলাকায় সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৬২ মিলিমিটার। বৃষ্টির তীব্রতা ১০ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকার কথা বলছে কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবীদ আবদুর রহমান।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ায় আবহাওয়া বিভাগ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অঝোর ধারার বৃষ্টি প্রকৃতিতে যোগ করেছে নব যৌবনের উচ্ছ্বাস। তাই তো বৃষ্টি অনেকের জীবনের উচ্ছ্বাস বয়ে আনলেও সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টের।
সর্বশেষ কক্সবাজারের চকরিয়ার বরইতলীতে বাড়ির মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের দুই শিশু ,উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পাহাড় ধসে মা-মেয়ে এবং রামুর মৌলভীপাড়ায় বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশু মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
২ দিন ৮ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১৯ দিন ৬ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
২৮ দিন ৮ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
৩০ দিন ৮ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৩৪ দিন ১০ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
৩৪ দিন ১০ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৪৯ দিন ২১ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
৫২ দিন ৯ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে