সুধীজনদের সাথে মত মতবিনিময় সভা করলেন সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আজ বিশ্ব মুক্ত গনমাধ্যম দিবস পুরস্কার মিলবে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ফাঁদ জমা দিলে টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল জয়পুরহাটে নাগরিক পার্টির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গী পরিদর্শন জোবাইদার ৪ ধরনের নিরাপত্তা চেয়ে আইজিপিকে চিঠি বিএনপির গাজায় একদিনে আরও ৪৩ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে উদ্বেগ দেখছে না বিসিবি অন্যায়ভাবে কারও সম্পদ দখল করলে যে গুনাহ গরমে ঘামাচির সমস্যা দূর করবে আমলকি পাংশায় মাছের সাথে এ কী শত্রুতা পাংশায় নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস মুগ্ধতা ছড়ালেন জয়া আদমদীঘিতে শ্রমিক দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত খামারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঘাটাইল উপজেলা বিএনপি,র কার্যালয় উদ্বোধন ও আলোচনা সভা নাগেশ্বরী সরকারি কলেজ হলরুমে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় জাবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার উৎসবমুখর পরিবেশের প্রশংসা সর্বমহলে অভয়নগরে শরীফ হজ গ্রুপ বাংলাদেশের হজ প্রশিক্ষণ ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আন্দোলনে শিক্ষকদের নিরবতায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বশেফমুবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

শিক্ষার্থীদের ব্যঙ্গ করে মেরুদণ্ডযুক্ত শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি


কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় আহত ও নিহত শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান না নেওয়ায় ফেসবুকজুড়ে নানা পোস্টে জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) শিক্ষকদের নিয়ে নিন্দা জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কেউ আত্মার মাগফিরাত জানাচ্ছেন আবার কেউ মেরুদণ্ড যুক্ত শিক্ষক চেয়ে ব্যঙ্গ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পোস্ট দিচ্ছেন।


গত মঙ্গলবার ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়ানোর পর বশেফমুবিপ্রবি শিক্ষকদের নিশ্চুপতা নিয়ে এ নিন্দা আরো বেড়েছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফেসবুকজুড়ে শিক্ষকদের সমালোচনা করছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করায় কয়েকজন শিক্ষকের প্রশংসা করতেও দেখা গেছে৷ 


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাল কাপড় বেধে করা সমাবেশের ছবি শেয়ার দিয়ে মাহিন আল সৌরভ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘এদিকে আমাদের ক্যাম্পাস ঘুমাচ্ছে।’ একজন লিখেছেন ’বশেফমুবিপ্রবির শিক্ষকদের আত্বার মাগফেরাত কামনা করি'৷  


সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন বিদুৎ কমেন্ট করেন, ‘অনেককেই আমি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ভাবতাম, কিন্তু এখন নিজের রুচির প্রতি ঘৃণা হয়।’ আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, 'এরপর ক্লাস নেওয়ার সময় আমাদের নৈতিক জ্ঞান দিতে লজ্জা লাগবে নাতো?’ ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী আলিম হোসেন সালমান লিখেন 'শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার স্পর্ধা আমার নেই কিন্তু মোরালিটি ইথিক্স বলেও একটা টার্ম আছে তা এ কয়েকদিনে বুঝা হয়ে গেছে৷ শিক্ষা মানুষের চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে ন্যায় অন্যায় পার্থক্য শেখায়৷'৷ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী লিটন আকন্দ লিখেন 'কিছু শিক্ষক সবকিছু বুঝেও না বুঝার ভান করে কথা ঘুরিয়ে নেয় তখন মনে হয় তাদের কাছে শিক্ষা নেওয়াটা কি ভুল ছিলো৷' সিএসই বিভাগের ওয়াকিল আহমেদ অনেকটা আক্ষেপের সূরে লিখেন 'এই যে মেরুদন্ডহীন শিক্ষক মানে যার নিজের শিক্ষাদানে ঘাটতি৷ আপনিই শেখান অন্যায়ে চুপ থাকা অন্যায় করার সমান৷ তাহলে শিক্ষার্থীদের একটু ভালো করে চুপ থাকা শিখাইলেন না কেন? শিক্ষককতা পেশাটা ভালো লাগে৷ অন্তত এই পেশার প্রতি সম্মানটা ছুড়ে ফেলতে বাধ্য করবেন না'৷ মুস্তাফিজ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন 'যে শিক্ষক এখনো নিরব থাকবে সে সেসকল ব্যক্তি আমার শিক্ষক না হোক'


এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল প্যাডের অনুরুপ প্যাড তৈরি করে ‘জরুরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ও বানিয়েছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে শেয়ার করেছেন৷ এতে তারা লিখেছেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, পর্যাপ্ত পরিমান মেরুদণ্ডযুক্ত শিক্ষক -শিক্ষিকা না থাকায় জরুরি ভিত্তিতে মেরুদণ্ড যুক্ত ও শিক্ষার্থী বান্ধব শিক্ষক-শিক্ষিকা আবশ্যক। সিজি একটু কম হলেও হবে তবে বিবেকসম্পন্ন মেরুদণ্ডী মানুষ হতে হবে।‘


এ নিয়ে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক হোসাইন মাহমুদ আপেল দৈনিক দেশচিত্রকে বলেন, ‘আমরা মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনায় জামালপুরে কিংবা দেশের যেকোনো প্রান্তে অবস্থানরত আমাদের সকল শিক্ষার্থীদের পুলিশি হয়রানি সহ যেকোন ন্যায্য নিরাপত্তায় পাশে আছি।


বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিজন শিক্ষক শুরু থেকেই জামালপুরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে প্রশাসনের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে। আমি নিজেও সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের মূল আন্দোলন কোটার সংস্কার হয়েছে, এতে করে অনেকগুলো প্রাণ ঝড়ে গেছে। শিক্ষক হিসেবে আমরা অবশ্যই ব্যথিত। অবশ্যই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার নিশ্চিত করবে সরকার এটা প্রত্যাশা রাখি।


শিক্ষার্থীদের সকল নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে শিক্ষকরা আছেন৷ তবে অবশ্যই সরকার বিরোধী ও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দিয়ে নয়৷’

আরও খবর