জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়: ড. আলী রীয়াজ সুধীজনদের সাথে মত মতবিনিময় সভা করলেন সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আজ বিশ্ব মুক্ত গনমাধ্যম দিবস পুরস্কার মিলবে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ফাঁদ জমা দিলে টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল জয়পুরহাটে নাগরিক পার্টির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গী পরিদর্শন সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ৬ বস্তা ফাঁদ, বরফসহ ট্রলার জব্দ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাটি চাপায় পড়ে বাড়ীয়ালার মৃত্যু বরিশালে সাংবাদিক নির্যাতন-চাকরিচ্যুত প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শ্যামনগরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত পাঁচ দফা দাবিতে ববির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম নালিতাবাড়ীতে দুর্নীতি বিরোধী বিষয়ক ফোকাল পার্সনদের দুর্নীতি ও এর প্রতিরোধ এবং তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকরণ (প্রতিবন্ধিতা) তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীর বাঘবেড় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকরণ (প্রতিবন্ধিতা) তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গ্রেফতার। প্রায় দেড়শ বছর ধরে চলে আসছে নাপাইচন্ডী মেলায় গাজী সাহেবের দরগাহে মান্নতি প্রথা রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৫৩ পুরিয়া হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

রংপুরে পুলিশের গুলিতে অটোচালক হত্যা: বাদীর সম্মতি ছাড়াই মামলার আসামী বেরোবি শিক্ষক!

ইবতেশাম রহমান - রিপোর্টার

প্রকাশের সময়: 28-08-2024 10:21:46 am


রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহামুদুল হককে বাদীর সম্মতি ছাড়াই আসামী করার অভিযোগ উঠেছে। 


ওই শিক্ষককের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে জানা যায়, তিনি কোটা আন্দোলনের পক্ষে সরব ছিলেন প্রথম থেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক পোস্টও দিয়েছেন, সরকারী চাকরীতে কোটা বাতিলের জন্য যেমন বিশ্লেষণ হাজির করেছেন, প্রতিবাদ করেছেন সাঈদসহ অনাকাঙ্খিত সব মৃত্যুর। প্রতিবাদী এই শিক্ষককে গত ১৮ জুলাই রংপুরে মডার্ন মোড়ে অটো চালক মানিক মিয়া হত্যাকান্ড মামলায় ১৯ নম্বর "আসামী" করায় সকল মহল হতভম্ভ।   

  

জানা যায়, রংপুর শহরের মডার্ন মোড় এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন মানিক মিয়া। গত ২০ জুলাই পুলিশ বাদী হয়ে মামলাও করে তাজহাট থানায়। তখন মাহামুদুল হকের নাম ছিল না। মামলার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাজহাট থানার ওসি বলেন, ৩১ তারিখে আদালতের আদেশ আসলে নতুন মামলার কাজ শুরু হবে।  


মাহামুদুল হক বলেন " মামলাটি করেছেন নিহতের মা, যিনি আমাকে চেনেন না। আর আমি আদালতে মামলা হওয়ার পর মামলার বিবরণ পাঠ করে জানলাম অটোচালক নিহত হয়েছেন আর আমি নাকি এর জন্য গিয়েছি কোটা বিরোধীদের সঙ্গে। রংপুর শহরের মর্ডানে যে স্থানে পুলিশ গুলি করেছে সে স্থানটি এখনও আমি চিনি না।" 


মামলা অনুযায়ী ১৮ জুলাই ২:০০-৩:৩০ এর মধ্যে মানিককে গুলি করা হয়। মাহামুদুল হক জানান এই পুলিশের গুলির সাথে কীভাবে আমি জড়িত তা আমার মাথায় আসে না। মাহামুদুল হক জানান তিনি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নন, আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করা রাইটস ডিফেন্ডার। পুলিশকে গুলি করানোর মতো তার এখতিয়ার যেমন নেই তেমনি এ ঘৃন্যকাজ করা সম্ভবও নয় বলেও তিনি জানান। 


 মামলার বাদী নিহত মানিক মিয়ার মা মোছা. নুরজাহান বেগম বলেন, বাড়িতে আমার ছেলের বউ ছিল না। ছেলে ছিল না। বেটি-জামাই কেউ ছিল না। আমি মামলা করছি আমি বুঝবার পারিনি। মামলা কিভাবে সাজাইছে তাও আমি জানি নে। আমি তো নামও লেখতে পারিনা বাবা। তাও কলম আমার হাতে দিয়া নাম লেখায়। আমি বলছি সই দিব না, উকিল বলে লেখো তো। 


মাহামুদুল হককে চিনেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, না, আমি চিনি না। আমি খুবই দুঃখিত বাজান।  


কিভাবে মাহামুদুল হকের নাম মামলায় আসলো এ প্রসঙ্গে মামলার আইনজীবী আলাউদ্দিন বলেন, আমি তো এইটা বলতে পারবো না। এইটা বাদী বলতে পারবে। মামলা স্থগিত আছে। মামলার আইনগত ঝামেলা আছে। সাক্ষীরা যাদেরকে দেখেছে তাদের নামটাই এসেছে বলেন বাদীর আইনজীবী। 


বেরোবি বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, উনি যদি ঘটনাস্থলে না থাকে তাহলে তার নাম মামলায় দেওয়া খুবই দুঃখজনক। 


আইনজীবীরা বলছেন, এভাবে নিরাপরাধ ব্যক্তিকে মামলার আসামী করা হলে প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাবেন। এই শিক্ষককে হয়রানি করার জন্যই তাকে আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে।


সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, সঠিক সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকলে মামলার গুরুত্ব কমে যায়। হয়রানির স্বীকার হন নিরপরাধ মানুষেরা।একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে চাওয়া সন্তান হারানোর কষ্ট বা বাবা হারানো কষ্ট মারাত্মক কষ্ট কিন্তু আমাদের মামলা টা যেন এমন না হয় যাতে প্রতিপক্ষকে হয়রানি বা গাইল করা। মামলা টা যেন এমন হয় যাতে সত্য বের হয়ে আসে। মূল অপরাধীরা যাতে সাজা পায়।

আরও খবর


ছাত্র সংসদ নির্বাচন কেন জরুরি?

২৮০ দিন ৯ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে


আমার দেখা কোটা আন্দোলন

২৮৩ দিন ১৪ মিনিট আগে



আমাদের আত্মসম্মানবোধ

৩১৬ দিন ৪ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে