দরগাপাশা'র ৬নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জামায়াত নেতা হাজী মো মশিউর রহমান কে সংবর্ধনা মাদক এবং কিশোর গ্যাং বড় সামাজিক সমস্যা ওসি আমিনুল ইসলাম বছরের পর বছর মানুষ এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়েছে-শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানি অনেক গণমাধ্যম জুলাই গণ অভুত্থানকে ধারণ করে না- এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন শরণার্থীদের বোঝা সবচেয়ে বেশি বহন করতে হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর' আদমদীঘিতে নাশকতা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত চার প্রকল্প ও কর্মসূচিতে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি মেডিকেল শিক্ষার্থী প্রার্থনা অনন্য দৃষ্টান্ত সোনাইমুড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধা নারীকে জবাই করে হত্যা রাতভর টানা বৃষ্টিতে সর্বোচ্চ রেকর্ড, নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ কুতুবদিয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন কচুয়ায় মাঠের পানি থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার কুতুবদিয়া সরকারি কলেজে এইচএসসি ২০২৫ ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন চিলমারীতে পানিতে পড়ে যুবকের মৃত্যু আদমদীঘিতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন নিহত ঝিনাইগাতীতে দেশীয় মাছ ধরার ৯৭৫ মিটার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল আটক ও ধ্বংস ৭৫ বছরের পুরনো কলেজ, ১২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য লাইব্রেরিতে মাত্র ৪০টি আসন সুন্দরবন সংলগ্ন মালঞ্চ নদীর চরে বনায়ন তৈরিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঝিনাইদহে অবৈধ স্থাপনা ও সড়ক থেকে দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ

আজ ঝিনাইগাতীর ঐতিহাসিক কাটাখালি যুদ্ধ দিবস

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঐতিহাসিক কাটাখালি যুদ্ধ দিবস আজ (৬ জুলাই)। ১৯৭১ সনের এইদিনে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে ৩ মুক্তিযোদ্ধাসহ ১২ জন শহীদ হন। শহীদ হন একই পরিবারের ৩ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাজমুল আহসান, মোফাজ্জল হোসেন ও আলী হোসেন।
স্বাধীনতা অর্জনের পর শহীদ নাজমুলের নামে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল, নালিতাবাড়ীতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আর মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সালে শহীদ নাজমুলকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ‘অপারেশন কাটাখালি’ ও রাঙ্গামাটিয়া যুদ্ধের সরকারি স্বীকৃতি মিলেছে। ইতিমধ্যেই শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের নির্দেশনায় কাটাখালিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ইউএনও ফারুক আল মাসুদ শহীদ নাজমুলের স্মৃতিস্তম্ভ ও নাজমুল চত্ত্বর নির্মাণ করেছেন। এছাড়া স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও চেতনা ভাস্বর করে রাখার জন্য স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৯ বছর পর হলেও পুরোনো সেই সেতুটি সংরক্ষণে ইতোমধ্যে সংস্কারসহ একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। সেইসাথে শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি কাটাখালি ব্রিজ অঙ্গনে স্বাধীনতা উদ্যান প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, ৫ জুলাই রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কোম্পানী কমান্ডার নাজমূলের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ডিনামাইট ফিট করে ঝিনাইগাতী-শেরপুর সড়কের কাটাখালি ব্রিজ উড়িয়ে দেয়। সফল অপারেশন শেষ করতে ভোর হয়ে যাওয়ায় পাশ্ববর্তী রাঙ্গামাটি গ্রামে আশ্রয় নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। ওই গ্রামের আশ্রয়দাতারা মুক্তিযোদ্ধাদের খাসি জবাই করে খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছিলেন। দিনের আলো ফুটে ওঠায় কোথাও বের হওয়া নিরাপদ মনে না করে পরিশ্রান্ত মুক্তিযোদ্ধারাও সেখানেই ঘুমিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কিন্তু ওই গ্রামের দালাল জালাল মিস্ত্রী পাক বাহিনীর স্থানীয় হেড কোয়ার্টার আহাম্মদনগর ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের খবরটি পৌঁছে দেয়। সংবাদ পেয়ে পাক হানাদার বাহিনী ৬ জুলাই সকালে রাজাকার, আল-বদরদের সাথে নিয়ে রাঙ্গামাটি গ্রাম তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে গুলিবর্ষণ শুরু করে। কোম্পানী কমান্ডার নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি ছুড়ে জবাব দেয়। শুরু হয় সন্মুখ যুদ্ধ। পাকি বাহিনী অবিরাম গুলি বর্ষণ শুরু করে। ওই গ্রামের তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাওয়ার একমাত্র পথ খোলা ছিল রাঙ্গামাটি বিলের দিকে। বিলটিও পানিতে তখন টইটুম্বুর ছিল। এমন অবস্থায় ওই বিলের পানিতে নেমে কভারিং ফায়ার করতে করতে কোম্পানী কমান্ডার নাজমুল আহসান মুক্তিযোদ্ধাদের রাঙ্গামাটি বিলের পানি সাঁতরিয়ে চলে যাবার পথ তৈরী করে দেন। সকলে চলে যাওয়ার পর হঠাৎ পাকিদের ব্রাশ ফায়ারে কমান্ডার নাজমুলের বুক ঝাঁঝড়া হয়ে যায়। কমান্ডার নাজমুলের লাশ আনতে গিয়ে তার চাচাতো ভাই মোফাজ্জল হোসেন ও আলী হোসেনও শহীদ হন পাকিদের গুলিতে। এদিন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে রাঙ্গামাটি বিলের পানি রাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে পাকি বাহিনী রাঙ্গামাটি গ্রামে হানা দিয়ে খুঁজে খুজেঁ বের করে ৬০/৭০ জন গ্রামবাসীকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ য়ায়ার করে। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন শহীদ হন। এদের মধ্যে একজন গুলি খেয়েও মৃতের মতো পড়ে থাকেন। মৃত ভেবে পাক বাহিনী তাকে ফেলে চলে যায়। পায়ে বিদ্ধ গুলি নিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা সেদিনের বিভীষিকা নিয়ে আজও বেঁচে আছেন রাঙ্গামাটি গ্রামের ইউনুছ আলী। এছাড়া গ্রামের বেশ কয়েকজন নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় হানাদার বাহিনী। শহীদ পরিবারের সদস্যরা বুকফাটা কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছেন। ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের ৩ নারীকে সরকার বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু শহীদ পরিবারগুলোর কোন স্বীকৃতি মেলেনি। গ্রামবাসীদের প্রত্যাশা, তাদের দ্রুত স্বীকৃতি দেওয়া হোক, উন্নয়ন হোক গ্রামটির।
Tag
আরও খবর