জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় রফিকুল ইসলাম (১৬) নামে শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতেরচর সুতারপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তবে ওই শিশুর মৃত্যু রহস্যঘেঁরা। কীভাবে সে মারা গেছে, তা নিয়ে চলছে চুঁচেরা বিশ্লেষণ।
সোমবার (৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বসতঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে বসতঘরে গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করে রফিকুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলামের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন তাঁর বাড়িতে ভিড় জমায়। প্রথমে রফিকুলের মৃত্যুর বিষয়ে পরিবারের পক্ষে কেউ মুখ না খুললে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিরূপক্রিয়া দেখা দেয়। পরে খবর পেয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান মোড়লের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে থাকে নানা তথ্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, লাশের সৎকাজে আয়োজন চলছে। এমন সময় একদল পুলিশ বাড়িতে হাজির। পুলিশ কড়াকড়ি জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জয়নাল আবেদীন জানান, মাঝে মধ্যেই নানা জনের বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করায় তাঁর ছেলে রফিকুল। এনিয়ে সোমবার বিকেলে শাসন করে সে। এক পর্যায়ে ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে গলায় উড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে রফিকুল। পরে ছেলে লাশ ঝুলন্ত লাশ জয়নাল আবেদীন একাই ঘরের মেঝেতে নামান। এ কথায় শোনে মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ সন্দেহের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এক পর্যায়ে স্ত্রী সুন্দরী বেগম লাশ নামাতে সহযোগিতা করার কথা জয়নাল আবেদীন জানালেও স্ত্রী তা অস্বীকার করে।
সবদিক বিবেচনা করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
ইসলামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান মোড়ল বলেন, 'রফিকুলের মৃত্যুর বিষয়ে নানাবিধ প্রশ্ন দেখা দেওয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, 'ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া তদন্ত চলমান রয়েছে।'
রফিকুল ইসলামের মা সুন্দরী বেগম বলেন, 'রফিকুল ফ্যানের সঙ্গে গলায় উড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ দেখে ভয় পাওয়ায় তা ভালো করে পুলিশকে বলতে পারিনি।'
জয়নাল আবেদীন বলেন, 'ছেলে রফিকুল মাঝে মধ্যে আশেপাশের মানুষের নানা জিনিসপত্র চুরিটুরি করতে। এনিয়ে কথায় শাসন করেছি। পরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ছেলে শোকে বিধ্বস্ত হওয়ায় এ ঘটনা ভালো ভাবে বলতে না পারায় ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে নানা সন্দেহ পোষণ করেছে।'
৫ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৭ দিন ৩ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
১১ দিন ৬ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১৬ দিন ৯ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
২০ দিন ৮ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
২০ দিন ১৭ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
২১ দিন ৫ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
২১ দিন ৯ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে