দিনাজপুর সদর উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি পুকুর লীজ প্রদানে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় সমবায় কার্যালয় রংপুর এর উপনিবন্ধক তদন্ত সম্পন্ন করেন।
গত ১০ জুলাই দিনাজপুর জেলা সমবায় কার্যালয়ের প্রধান কার্যালয়ে বাদী এবং বিবাদীর উপযুক্ত প্রমান ও দুপক্ষের ৪জন করে ব্যক্তির কাছ থেকে মৌখিক ও লিখিত সাক্ষ্য গ্রহনের মাধ্যমে তদন্ত সম্পন্ন করেন রংপুর বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের উপনিবন্ধক মোঃ শাহীনুর ইসলাম।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১০ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দাখিল করা হবে।তবে কোন যৌক্তিক এবং উপযুক্ত তথ্যাদি ছাড়া একটি ভাউচারের উপর লিখিত তথ্যাদি দ্বারা উৎকোচ গ্রহনের বিষয়টি কতটা আইনসিদ্ধ সেটাই ব্যাপার।
উল্লেখ্য দিনাজপুর সদর উপজেলার ৯নং আশ্করপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া সোনাকুড়ি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি নশনদীঘি সরকারি পুকুরের লীজ প্রদানে দিনাজপুর সদর উপজেলার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার ও সাট মুদ্রাক্ষরিক মোঃ আসাদুজ্জামান এবং উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের সমবায় অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান উৎকোচ গ্রহন করে সরকারি পুকুর লীজ দিয়েছেন এমন অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের উপনিবন্ধক মোঃ শাহীনুর ইসলাম সরেজমিনে এসে উক্ত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোঃ মোশারফহোসেন ,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনসুর আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ,বীর মুক্তি যোদ্ধা মোঃ খায়রুল সহ একাধিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপকালে তারা তদন্ত কর্মকর্তাকে জানান তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা, ভীত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার কৌশল মাত্র।যা বাস্তবে এর কোন সত্যতা নেই। এসময় তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহীনুর ইসলাম উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জানান সবকিছুই উপযুক্ত প্রমানের ভিত্তিতেই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।