বগুড়ার নন্দীগ্রামে অপচিকিৎসা এবং সিজারের সময় যথাযথ নিয়মনীতি না মেনেই সেবা হসপিটাল স্পেশালাইড ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে চলছে সেবার নামে হয়রানি প্রতারনা। এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে হয়রানি ও প্রতারণার বাস্তবচিত্র।
জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর সকাল ১১ টায় উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের বীরপলি গ্রামের মতিউর রহমান মুসা তার প্রসূতি স্ত্রী সিমা খাতুন (২৬) কে সিজার করানোর জন্য ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ভর্তি করে। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় প্রসুতি কে সিজার করে রেখে নিজের ব্যক্তিগত কাজ দেখিয়ে চলে যান ডাঃ মোছাঃ শারমিন সুলতানা।
সিজারের ২দিন অতিবাহিত হলেও উক্ত হসপিটালে ৮জন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা বলা হলেও তেমন কাউকে চিকৎসা সেবা দিতে দেখা যায় না। মতিউর রহমান মুসা অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ নভেম্বর দিবাগত রাত্রি দেড় ঘটিকায় নবজাতকের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে এমতাবস্থায় ক্লিনিকের নার্স সুমি খাতুনকে ডেকে বলেন নবজাতকের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য সেই মুহূর্তে সুমি খাতুন উপস্থিত হয়ে বলেন এই মুহূর্তে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না কারণ আমাদের মেডিকেল অফিসার একজনও নেই।
মতিউর রহমান মুসা তৎক্ষণাৎ ক্লিনিক এর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য নার্স সুমি খাতুনকে অনুরোধ করেন। সুমি খাতুন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করে খারাপ আচরণ করেন এবং রাগান্বিত হয়ে যান। তখনো নবজাতক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। মতিউর রহমান মুসা নার্সের দুর্ব্যবহার দেখে হতাশ হয়ে পড়েন।
এরকম আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাত অতিবাহিত হয় ওই প্রসূতি ও নবজাতকের । পরের দিন সকালে ঘড়ির কাঁটায় ১টা বাজলেও কোন ডাক্তারকে ওই সেবা হাসপাতালে চোখে পড়েনি। মতিউর রহমান মুসা আরো বলেন, দুই মাস হয়েছে এই হাসপাতালের বয়স তাতেই এদের এমন আচরণ, সেবার নামে এরা হয়রানি করছে রোগীদের সাথে।
জানতে চাইলে বেসরকারি সেবা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষ আইয়ুব আলী জানান, আমি রাতে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলাম না। যেই নার্সের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তাদের কোন লাইসেন্স নাই , তাদেরকে বারবার সিজার করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে যদি কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস আগে সিংড়ায় একই অভিযোগে সেবা ক্লিনিক সিলগালা করে দিয়েছে সিংড়া উপজেলা প্রশাসন। এর পরে সেখান থেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে নন্দীগ্রামে ভাড়াটে ডাক্তার দিয়ে নতুন ভাবে শুরু করেছে চিকিৎসার নামে সিজারের ব্যবসা। নন্দীগ্রামের এসব ভুয়া ক্লিনিক ও হসপিটালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ জনগন।
২১ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
২ দিন ১৩ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
২ দিন ১৩ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
৩ দিন ১৯ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৩ দিন ১৯ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৩ দিন ১৯ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৩ দিন ২৩ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৪ দিন ১৫ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে