২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে দু'জনের মৃত্যু ইশরাকের বিরুদ্ধে ‘ক্রিমিনাল অফেন্সের’ অভিযোগ আসিফ মাহমুদের শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরি, চালকের আসনে বাংলাদেশ তেহরানে দূতাবাসের ৪০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ চলছে: পররাষ্ট্রসচিব সুন্দরবন রক্ষায় কনক্রিট অ্যাকশন প্ল্যান করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৪৪ জন অবশেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলো জিল্লুর রহমানকে দিনাজপুরে পুকুরে ডুবে দুই কন্যা শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স১০০ শয্যায় দাবীতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদন রাজশাহী কলেজ পাঠকবন্ধুর ঈদ পুনর্মিলনী ও আম উৎসব অনুষ্ঠিত লালপুরে ভেজাল আইসক্রিম তৈরির দায়ে ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দুই মিষ্টি ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা শিক্ষার্থীদের ঈদুল আজহা আনন্দের স্মৃতিচারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির জরুরি নির্দেশনা আদমদীঘিতে যাত্রীবাহী বাস থেকে দুই কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেপ্তার আদমদীঘিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঈদ পূর্ণমিলনী ও জন সমাবেশ শ্যামনগরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরীর অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা গলাচিপায়-অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ নগদ অর্থ বিতরণ। সুন্দরবনের ৬০০ হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার ব্রহ্মরাজপুর বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুর রশীদের বিরুদ্ধে সরকারী জমিতে অবৈধভাবে আরসিসি পিলার নির্মাণ করে ছাদ ঢালাইয়ের অভিযোগ

জাতীয় স্লোগানে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করতে হাইকোর্টের রুল

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 03-04-2023 09:33:31 am

‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে জারি করা গেজেট সংশোধন করে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।


আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ফরিদুল ইসলাম।


‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে জারি করা গেজেট সংশোধন করে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৩ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


আদালতের আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ফরিদুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইঁয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।


এর আগে জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে রিটটি করা হয়। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, শিক্ষা সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইঁয়াসহ ১৩ আইনজীবী এ রিট করেন।


এর আগে তারা সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, শিক্ষা সচিব বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়। নোটিশের পরও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এ বিষয়ে রিট আবেদন করা হয়।


নোটিশ পাঠানোর পর গত বছরের ২০ জুন এ বিষয়ে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া জানিয়েছিলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান একইসঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে। একই স্পিরিট নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দুটি আলাদা কোনো স্লোগান নয়। একই স্লোগান।


এছাড়া ২০১৬ সালের ৩ মে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। এ দেশটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তাইতো মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র বাঙালির মুখে মুখে স্লোগান ছিল ‘এক নেতা একদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান আমাদের জাতীয় স্লোগান।


তিনি আরও জানান, চলতি বছরে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে। আমরা চাই ওই গেজেট সংশোধন করে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্ত করতে।


সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলে ‘জয় বাংলা’ কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।


ওইদিন বশির আহমেদ বলেছিলেন, জয় বাংলা হচ্ছে আমাদের জাতীয় প্রেরণার প্রতীক। পৃথিবীর ৬০টি দেশে জাতীয় স্লোগান আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে আমরা আমাদের চেতনার সেই ‘জয় বাংলা’ স্বাধীনতার এতদিন পরেও জাতীয় স্লোগান হিসেবে পাইনি।


তিনি বলেন, জয় বাংলা কোনো দলের স্লোগান নয়, কোনো ব্যক্তির স্লোগান নয়। এটা হচ্ছে আমাদের ন্যাশনাল ইউনিটি। এ স্লোগান দিয়ে একদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।


এরপর রুল শুনানি শেষে ২০২০ সালের ১০ মার্চ রায় দেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান (প্রয়াত) ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।


ওইদিন রায় ঘোষণার সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান ও জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ’


আদালত আরও বলেন, আবেদনকারী সংবিধানের ৩ ও ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করা দাবি করেছেন- এটা এই আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত। কারণ কোনো আইন প্রণয়ন করা এবং সংবিধান সংশোধন করার একমাত্র অধিকার জাতীয় সংসদের।


তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ রুলের সমর্থনে হলফনামা দিয়েছেন উল্লেখ করে আদালত রায়ে বলেন, আইন সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করায় একমত পোষণ করেছেন।


এরপর আদালত রায়ের আদেশ অংশ ঘোষণা করেন। আদেশে আদালত বলেন-

ক. আমরা ঘোষণা করছি যে, জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।


খ. সব জাতীয় দিবসগুলোতে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারীগণ এবং রাষ্ট্রীয় সব কর্মকর্তা সরকারি অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ যেন করেন, সে জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।


গ. সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি সমাপ্তির পরে ছাত্র শিক্ষকগণ যেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করেন, তার জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।


এরপর চলতি বছরের ২ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

আরও খবর