জুনে নৌপথে মিলবে অন অ্যারাইভাল ভিসা ডিজিটাল হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেফতার ৫ সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, ৩৬ সেনা নিহত ভুটানের রাজার আমন্ত্রণে ভুটানে যাচ্ছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ছুটির দিনেও বায়ুদূষণের শীর্ষ তিনে ঢাকা বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোন আশা নেই: রুশ রাষ্ট্রদুত গাজার জন্য জরুরি ত্রাণ পৌঁছে দিতে ইসরাইলকে নির্দেশ বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালতের সমস্যায় জর্জরিত ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কঠিন হয়ে পড়েছে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সাময়িক বন্ধ ঢাকা আরিচা মহসড়ক বেরোবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন শাজাহানপুরে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বহন করার অপরাধে মোবাইল কোর্টে অর্থদণ্ড দাগনভূঞা জমজমে সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির ইফতার পলাশবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাসে পুলিশের অভিযান একশ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক জনকে আটক। গোদাগাড়ী পৌর সেচ্ছাসেবক দলের দোয়া ও ইফতার মাহফলি ৭ বছর পর নজরূল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি বিয়ের মেহেদির রং শুকিয়ে যাওয়ার আগেই দুর্ঘটনা তরুণের মৃত্যু পাটগ্রামে অবৈধ পাথর ভাঙা মেশিনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২৮ হাজার টাকা জরিমানা UITS Civil Engineering Department is going to organize a workshop titled ‘Addressing Complex Engineering Problem through Capstone Project’ লাহুড়িয়া পুলিশের অভিযানে ০১ বছর সাজাপ্রাপ্ত ০১ জন আসামি গ্রেফতার

সাতক্ষাীরার তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলায় বিক্ষোপ সমাবেশ অনুষ্টিত

দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলায় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামের একটি জঙ্গি সংগঠন পরিকল্পিতভাবে দেশের ৬৩ জেলায় একই সময়ে বোমা হামলা চালায়। মুন্সীগঞ্জ ছাড়া সব জেলায় প্রায় ৫০০ পয়েন্টে বোমা হামলায় দু’জন নিহত ও অন্তত ১০৪ জন আহত হন।

এরই প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ৭৩ জেলায় একযোগে সিরিস বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোপ মিছিল ও সমাবেশ সকাল ১০টা তালা উপজেলা চত্তরে অনুষ্টিত হয়েছে। প্রতিবাদ সমাবেশে তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ (তালা কলারোয়া) মনোনয়ন প্রত্যাশী শহীদ পরিবারের সন্তান জননেতা শেখ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি প্রকোশলী মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক ফিরোজ কামাল শুভ্র, তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার,জেলা উপপ্রচার সম্পাদক প্রনব ঘোষ বাবলু, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেন,স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, তালা উপজেলা পরিষদের ভাইচ- চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান,মহিলা ভাইচ- চেয়ারম্যান মুরশীদা পারভীন পাপড়ী,সাবেক ভাইচ- চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিলন রায়,সাধারন সম্পাদক দীপ্ত প্রমুখ।এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক ও সহযোগী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক মীর জাকির হোসেন।


তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সারাদেশে ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ডিএমপিতে ১৮টি, সিএমপিতে ৮টি, আরএমপিতে ৪টি, কেএমপিতে ৩টি, বিএমপিতে ১২টি, এসএমপিতে ১০টি, ঢাকা রেঞ্জে ২৩টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১টি, রাজশাহী রেঞ্জে ৭টি, খুলনা রেঞ্জে ২৩টি, বরিশাল রেঞ্জে ৭টি, সিলেট রেঞ্জে ১৬টি, রংপুর রেঞ্জে ৮টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৬টি ও রেলওয়ে রেঞ্জে ৩টি। যারমধ্যে ১৪২টি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বাকি ১৭টি মামলায় ঘটনার সত্যতা থাকলেও আসামি শনাক্ত করতে না পারায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিল ১৩০ জন। এবং গ্রেফতার করা হয় ৯৬১ জনকে। ১ হাজার ৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশে ১৫৯টি মামলার মধ্যে ৯৪টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এসব মামলায় ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। এখন ৫৫টি মামলা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। যার আসামি সংখ্যা হচ্ছে ৩৮৬ জন। এই সিরিজ বোমা হামলার রায় প্রদান করা মামলাগুলোর ৩৪৯ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২৭ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেয়া হয়। এরমধ্যে ৮ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এসব মামলায় খালাস পেয়েছে ৩৫৮ জন আর জামিনে রয়েছে ১৩৩ জন আসামি। এছাড়া ঢাকায় বিচারাধীন ৫টি মামলা সাক্ষ্য গ্রহণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ঝালকাঠি জেলার দুই বিচারককে হত্যার জন্য ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ ছয় জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, চিন্তাবিদ আব্দুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ এবং সালাউদ্দিনকে ফাঁসি দেয়া হয়। বিএনপি জামায়াতের শাসন আমল (২০০১ থেকে ২০০৬) এ সরকারি এমপি মন্ত্রীদের মদদে সারাদেশে শক্ত অবস্থান তৈরি করে জঙ্গিরা। ২০০৫ সালের পরবর্তী সময়ে কয়েকটি ধারাবাহিক বোমা হামলায় বিচারক ও আইনজীবীসহ ৩০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ শতাধিক। ওই বছরের ৩ অক্টোবরে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর এবং লক্ষীপুরের আদালতে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত এবং বিচারকসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। এর কয়েকদিন পর সিলেটে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিপ্লব গোস্বামীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় তিনি এবং তার গাড়িচালক আহত হন। ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে বিচারক বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। এতে নিহত হন ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের বিচারক জগন্নাথ পাড়ে এবং সোহেল আহম্মদ। এই হামলায় আহত হন অনেক মানুষ। সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে ২৯ নভেম্বর গাজীপুর বার সমিতির লাইব্রেরি এবং চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে। গাজীপুর বার লাইব্রেরিতে আইনজীবীর পোশাকে প্রবেশ করে আত্মঘাতী এক জঙ্গি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এই হামলায় আইনজীবীসহ ১০ জন নিহত হন। নিহত হয় আত্মঘাতী হামলাকারী জঙ্গিও। একই দিন চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে জেএমবির আত্মঘাতী জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে রাজিব বড়ুয়া নামের এক পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন সাধারণ মানুষ নিহত হয়। পুলিশসহ আহত হয় প্রায় অর্ধশত।

Tag
আরও খবর