নাটোরের সিংড়া উপজেলার সাতপুকুরিয়া গ্রামে আদালতের রায় অমান্য করে প্রভাবশালী মহলের জোরপূর্বক জমি দখল ও মারধরের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জমি সংক্রান্ত রায়ের পরও শান্তিপূর্ণ ভোগদখল করতে না দিয়ে হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের রকিব ও ইমারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম মাগুরা গ্রামের মৃত লৎফর রহমানের ছেলে শাহাদত হোসেন (৫৩) ও তার ছোট ভাই মো. মিলন দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছিলেন। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ আতাহার আলীর পরিবার মামলা (নং-৪০১/০৯) দায়ের করে। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় শাহাদত হোসেনের পক্ষে আসে।
রায়ের পর স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক বসে এবং উভয় পক্ষ শর্ত মেনে নেয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আতাহার আলীর দুই ছেলে রকিব (৪০) ও ইমারুল ইসলাম (৪৫) সালিশের চুক্তি অমান্য করে আদালতের রায়ের পরোয়া না করে জবরদখলের চেষ্টা চালায়। অভিযোগ রয়েছে, তারা প্রভাব খাটিয়ে ভূমি অফিসের নথিপত্রে কাটাকুটি করে সংশ্লিষ্ট খতিয়ান নিজেদের নামে খারিজ করে নেয়।
ঘটনার সর্বশেষ ধাপ ঘটে গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে। এদিন শাহাদত হোসেন ও তার ছোট ভাই মিলন উক্ত জমির চারপাশে বেড়া দিচ্ছিলেন। এ সময় রকিব ও ইমারুল ঘটনাস্থলে এসে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে তারা মিলনের উপর লোহার হাতুড়ি, বাঁশের লাঠি ও কিল-ঘুষি নিয়ে হামলে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় মিলনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসা দেন।
এই নৃশংস ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাবু আলী (৩৫) ও আশপাশের বহু মানুষ। পরে ভুক্তভোগীরা আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর পরামর্শে সিংড়া আর্মি ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, আদালতের স্পষ্ট রায় থাকার পরও যদি প্রভাবশালীরা এভাবে জোরপূর্বক জমি দখল ও হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে, তবে সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি আস্থা হারাবে। তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনা ইতোমধ্যেই এলাকায় আলোচনার ঝড় তুলেছে। আদালতের রায় উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে দখলদারিত্ব ও হামলা—এ যেন সিংড়ায় আইনের শাসনের প্রতি প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ।
৫ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে