সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে চলছে প্রকাশ্য ঘুষ বাণিজ্য। দলিল লেখা থেকে শুরু করে যেকোনো কাজে ঘুষ ছাড়া এগোয় না কোনো কাগজ। অফিস সহকারী মহসিনকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে শক্তিশালী এক সিন্ডিকেট, যার ছত্রছায়ায় চলছে দুর্নীতির মহোৎসব। অভিযোগ উঠেছে, মহসিনের পেছনে জেলা রেজিস্ট্রারের প্রত্যক্ষ আস্থা রয়েছে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, মহসিনকে কেন্দ্র করে টিসি সহকারী হাবিব, অফিস সহায়ক বাচ্চু ও জাহিদসহ কয়েকজন মিলে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তারা জেলা অফিসের নামে নিয়মিত টাকা সংগ্রহ করে থাকে। দলিল লেখক ও সেবা গ্রহীতারা অভিযোগ করেছেন—অফিসে ঢুকলেই আগে ঘুষ দিতে হয়, নইলে কাজ হয় না।
দলিলের পর্চার ফটোকপি করতে ১৫-২০ হাজার টাকা। জমি হস্তান্তরে ১০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত।
প্লট আকারে জমি বিক্রি-বিক্রয়ে শতকরা ৫% রাজস্ব আদায়ের নিয়ম থাকলেও মহসিন তা ঘোষণা করতে দেন না। ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।
মহসিন নিয়মিত দলিল লেখকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অভিযোগ রয়েছে, সাব-রেজিষ্ট্রার অমায়িক বাবুও মহসিনের কথায় কাজ করতে বাধ্য। ফলে সাধারণ মানুষকে বারবার ঘুষ দিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস এখন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
জেলা রেজিস্ট্রারের আস্থাভাজন হওয়ায় মহসিন দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে বহাল আছেন। শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলায় তিনি হয়ে উঠেছেন দুর্নীতির মূল চালিকা শক্তি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমর্থন থাকায় অভিযোগের কোনো সুরাহা হচ্ছে না।
খুলনা বটিয়াঘাটা থেকে বদলি হয়ে সদ্য আসা সাব-রেজিষ্ট্রার অমায়িক বাবু জানান, অফিসে আসলে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলব।
অন্যদিকে জেলা রেজিস্ট্রার হাফিজা খাতুন রুমা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ ও সংবাদ প্রকাশের পরও সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না। দলিল লেখক, সেবা গ্রহীতা ও সাধারণ মানুষ মহসিন সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। সাতক্ষীরাবাসী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
২ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
১ দিন ১৬ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
২ দিন ২ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
২ দিন ৯ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে