“ঈদের আনন্দ হোক সবার জন্য”-এ স্লোগানকে সামনে রেখে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন পরিচালনা করেছে ব্যতিক্রমী একটি কোরবানি কার্যক্রম। সংগঠনটি চলতি বছরে ‘রক্তসৈনিক সবার জন্য কোরবানি-২০২৫’ প্রকল্পের আওতায় শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গোমড়া গুচ্ছগ্রামের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করেছে। কোরবানি নম্বর ০১’ শিরোনামে পরিচালিত এই কার্যক্রমে স্থানীয়ভাবে একটি গরু কোরবানির জন্য গুচ্ছগ্রামবাসীকে দেওয়া হয়। পরে সেটির মাংস গুচ্ছগ্রামের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও স্থানীয় যুবসমাজ ও রক্তসৈনিক ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ নেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা বলেন, “আমরা চাই সমাজের প্রত্যেক মানুষ ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা তা বাস্তবে রূপ দিতে পেরেছি, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই মহতী কার্যক্রম সবার মাঝে মানবিকতা ও সহমর্মিতার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।” উল্লেখ্য, গুচ্ছগ্রামবাসী এক যুগ ধরে কোরবানির মাংস পাচ্ছে না। এমন খবর এবছর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশের পর স্থানীয় রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওই গ্রামের গুচ্ছগ্রামবাসীদের জন্য একটি গরু কোরবানি দেওয়া হয়। এবার তারা সরাসরি এ কোরবানির মাংস পেয়ে আনন্দিত ও উচ্ছ্বাসিত হয়ে পড়ে। গুচ্ছগ্রামের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, “আমাদের এলাকার অনেক গরিব মানুষ আছে যারা কোরবানি দিতে পারে না। এই উদ্যোগ আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আমরা সংগঠনটির কাছে কৃতজ্ঞ।” এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “গুচ্ছগ্রামের দুঃস্থ মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে কোরবানির মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা সামাজিক সংগঠনগুলোর সাথে কাজ করে সবাইকে কোরবানির মাংসের আওতায় আনার চেষ্টা করব। আমাদের বিভাগীয় কমিশনার স্যারও মাংস পাঠাচ্ছেন। যদি কোনো অসহায় মানুষ কোরবানির মাংস না পেয়ে থাকে, আমরা নিশ্চিত করব যেন তারা মাংস পায়।”
৮ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১৯ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
২০ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
২১ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
১ দিন ৪ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
১ দিন ১৫ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে