দৌলতদিয়া - পাটুরিয়া নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়লেও নেই ভোগান্তি
দৌলতদিয়া - পাটুরিয়া নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়লেও নেই ভোগান্তি
ঈদ ঘনিয়ে আসতেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিদিন সকাল থেকেই ফেরিঘাট এলাকায় কর্মজীবী মানুষ ও যানবাহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এবার যাত্রীদের মধ্যে যেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, তেমনি ভোগান্তির চিত্র নেই বললেই চলে।
আজ (৫ জুন) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি ফেরি একযোগে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে। বাইকারদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা গেছে। তাদের বেশিরভাগই পরিবার নিয়ে ফিরছেন গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ নাহিদুর রহমান এ বিষয়ে বলেন,
“সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঘাট এলাকায় নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। প্রতিটি ফেরি যাতে দ্রুত এবং নিরাপদে পার হতে পারে সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। আমরা শুধুমাত্র লোকাল যাত্রীদের জন্য তিনটি অতিরিক্ত ফেরি দিয়ে যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু আবহাওয়া খারাপ হতে পারে সেই দিক চিন্তা করে এ কাজটি করা হয়েছে যাত্রীরা যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে ”
এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক পরিচালক মোঃ সালাউদ্দিন বলেন,
“যাত্রী ও যানবাহনের চাপ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। তবে আমরা আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। বর্তমানে ১৭টি ফেরি সার্বক্ষণিক চালু রয়েছে, ফলে যাত্রীদের তেমন কোন দুর্ভোগ হচ্ছে না। গতকাল পানি বৃদ্ধির কারণে ৭ নং ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। ঘাটটি ঠিক করে এখন নিয়মিত ফেরি পারাপার করা হচ্ছে”
ঢাকা থেকে আগত যাত্রী মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন,
“প্রতিবার ঈদের সময় অনেকটা ভোগান্তি হতো। কিন্তু এবার দ্রুত ফেরি পাচ্ছি। ধন্যবাদ প্রশাসনকে।”
একইভাবে ঢাকা থেকে ফেরা যাত্রী মিসেস রোকেয়া বেগম বলেন,“আমি শিশু সন্তান নিয়ে যাচ্ছি গ্রামের বাড়ি। ভেবেছিলাম অনেক কষ্ট হবে, কিন্তু ঠিকমতোই পার হয়ে যেতে পারছি। পুলিশের ব্যবস্থাপনাও ভালো।”
সাধারণ যাত্রীদের এমন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে এ বছর ঈদে ফেরিঘাট ব্যবস্থাপনায় সুষ্ঠু ও সুচারু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।