লালপুরে তীব্র গরমে তাল শাঁসের কদর বাড়ছে।
লালপুরে তীব্র গরমে তাল শাঁসের কদর বাড়ছে।
আবু তালেব, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে তীব্র গরমে তাল শাঁসের কদর বাড়ছে,
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ, ঋতুর পালাবদলে এখন গ্রীষ্মকাল, চলছে মধুমাস জৈষ্ঠ্য আর এ মাসেই বাজারে আম, জাম, কঁঠাল, লিচু, ছাড়াও অন্যতম আরেকটি ভিন্নধর্মী বিষমুক্ত ফল তালের শাঁসের চাহিদা লালপুরের গ্রাম-শহরের সর্বত্র। স্থানীয় ভাষায় “তালকুর” নামে পরিচিত এই সুস্বাদু ফল প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে দশ থেকে পনেরো টাকায়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে উঞ্চতম অঞ্চল হিসেবে পরিচিত নাটোরের লালপুর উপজেলায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে তাপদাহ। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। গ্রীষ্মের এই তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে নানারকম ফল খাচ্ছে মানুষ। এসব ফলের তালিকায় রয়েছে তালের শাঁসও। সুস্বাদু তালের শাঁস শরীর-মনকে সতেজ রাখে। তাইতো লালপুর উপজেলায় তাল শাঁসের বেশ কদর বেড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ড ও অলি-গলিতে তালের শাঁস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেক হতদরিদ্র মানুষ।
সরেজমিনে লালপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ সময়ে আম, লিচুসহ সবরকম ফল বাজারে এসেছে। তেমনি এ গরমে বাজারে এসে গেছে কচি তাল। কচি তালের শাঁস পছন্দ করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। তা ছাড়া পুষ্টিগুণে ভরা মানবদেহের জন্য উপকারী তালের শাঁস গরমে মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়, পাশাপাশি মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁস অবদান রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও। যদিও কালের বিবর্তনে উপজেলার গ্রামাঞ্চলে কমে গেছে তাল গাছের সংখ্যা। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে খুচরা বিক্রেতাদের কচি তাল বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে এবারে খুচরা বিক্রেতারা তাল শাঁস চড়া দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তারপরও সুস্বাদু তাল শাঁসের জন্য ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
লালপুর উপজেলা পরিষদ মোড়ে কথা হয় ভ্যানগাড়ীতে ভ্রাম্যমান তাল শাঁস বিক্রেতা বৈদ্যনাথপুর গ্রামের সাগর আলীর সাথে তিনি বলেন, বছরের অন্যান্য সময় অন্য কাজ করলেও এ সময়টাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাল গাছ চুক্তিতে কিনে নিয়ে বাজারে কচি তালের শাঁস বিক্রি করি। আগে তাল গাছ নিতাম কম দাম পরতো, কম দামে বিক্রি করতাম।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রাম-গঞ্জে তাল গাছ কমে যাওয়ায় আগের মতো কম দামে তাল গাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এবার পাইকারি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। একটি তাল বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায় প্রতিদিন ১ থেকে ২ হাজার টাকার তালের শাঁস বিক্রি করি। এতে ৫-৬শ টাকা লাভ থাকে, যা দিয়ে আমার সংসার মোটামুটি ভালোভাবেই চলে যায়।