জোবাইদার ৪ ধরনের নিরাপত্তা চেয়ে আইজিপিকে চিঠি বিএনপির গাজায় একদিনে আরও ৪৩ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে উদ্বেগ দেখছে না বিসিবি অন্যায়ভাবে কারও সম্পদ দখল করলে যে গুনাহ গরমে ঘামাচির সমস্যা দূর করবে আমলকি পাংশায় মাছের সাথে এ কী শত্রুতা পাংশায় নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস মুগ্ধতা ছড়ালেন জয়া আদমদীঘিতে শ্রমিক দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত খামারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঘাটাইল উপজেলা বিএনপি,র কার্যালয় উদ্বোধন ও আলোচনা সভা নাগেশ্বরী সরকারি কলেজ হলরুমে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় জাবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার উৎসবমুখর পরিবেশের প্রশংসা সর্বমহলে অভয়নগরে শরীফ হজ গ্রুপ বাংলাদেশের হজ প্রশিক্ষণ ২০২৫ অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ উপজেলার ৫৪টি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনকে হাজী সেলিম ফাউন্ডেশনের সম্মাননা শৈলকূপায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত বিএনপি নেতা বাবুল হোসেন মোল্লাকে দেখতে গেলেন নায়েব আলী মণ্ডল মোংলায় বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘ চত্বরে মে দিবস পালন হলোনা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী নিশ্চিত করতে পেরেছে কি আর কোন শামীম ওসমান যেন মাথা চাড়া দিয়ে না উঠতে পারে: ভিপি নুর তিনবার আবেদনেও সাড়া মেলেনি, ক্যান্সারে হার মানলেন ববি শিক্ষার্থী জিমি

নারী দিবসের প্রত্যাশা নারীর অগ্রগামিতা



আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আলোচনার শুরুতেই প্রথম এ দিবসের আয়োজন সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যেতে পারে। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন শুরু করে। যাকে আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল । ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে "তাদের ঐতিহাসিক এবং জাতীয় ঐতিহ্য এবং রীতিনীতি অনুসারে, বছরের যে কোনো দিনকে নারী অধিকার এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য জাতিসংঘ দিবস হিসেবে ঘোষণা করার" আমন্ত্রণ জানায়। বেশিরভাগ দেশের সাথে মিল রেখে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ কর্তৃক নারী অধিকার এবং বিশ্ব শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঐতিহ্যগতভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ।


তখন থেকে জাতিসংঘ এবং বিশ্বের বেশিরভাগ অংশ এটি প্রতি বছর উদযাপন করে আসছে প্রতি বছর নারী অধিকারের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট থিম বা বিষয়কে কেন্দ্র করে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “ অধিকার, সমতা, ক্ষতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন”। অন্যান্য দিবসের চেয়ে এ দিবসটি আলাদা গুরুত্ব বহন করে থাকে। যদিও দিবস পালনের ব্যাপারটি কেবল রাষ্ট্রীয়ভাবেই সীমাবন্ধ থাকে। দিবসের দিনই কেবল কিছু মাত্র আলোচনা হয়ে থাকে এ নিয়ে তারপর আবার সেই পূর্বের অবস্থানে চলে যাই সবাই। এই দিবস পালনের জন্য প্রশ্ন দেখা দেয় যে পুরুষদের জন্য যেহেতু আলাদা দিবস নেই সেই ক্ষেত্রে নারীদের জন্য আলাদা দিবস কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরের জন্যই আমাদের জানতে হবে দিবস কেন পালন করা হয় ?


মোট কথা হলো একটি বিশেষ দিনকে স্মরণীয় বা ব্যবস্থাকে জনগণের সামনে নিয়ে এসে এর গুরুত্বকে অনুধাবণ করানো বা এর মাধ্যমে নতুন দিনের সূচনা করানোর জন্য সামাজিক, রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে একটি দিনকে বেছে নিয়ে দিবস পালন করা হয়ে থাকে। যা বিশেষ অনুষ্ঠান মালার মাধ্যমে পালিত হয়ে থাকে রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ি। বিশেষ করে যেসব বিষয়ে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বা আমরা সেভাবে গুরুত্ব দিতে পারি নাই তার জন্যই মূলত দিবসের এ আয়োজন। তার প্রেক্ষাপটেই আজকের নারী দিবসের এ আলোচনা। নারী দিবসের আলোচনা করতে গেলেই বুঝা যায় নারী শব্দটি মনে হয়ে মানুষের চেয়ে ভিন্ন। আসলেই তাই, কারন আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষরা যেভাবে বেড়ে উঠে নারীরা একটু ভিন্নতায় তাদের জীবন সাজায়।


প্রকৃত পক্ষে একটা সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষকে যে চোখে দেখা হয় নারীদের সে চোখেই আলাদা মূল্যায়ণ করা হয়। একসময় নারীরাও এ দিবসের প্রতি খুব একটা সোচ্চার ছিল না। ধীরে ধীরে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং তাদের অধিকার সচেতন হওয়ার ফলে জেগে উঠছে নারীরাও। তবে এতসব আয়োজনের পরও নারীরা তাদের প্রাপ্যতা কতটুকু অর্জন করতে পেরেছে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। তবে হতাশ হওয়ার কোন কারন থাকতেই পারে আবার হাল ছেড়ে দেওয়ার কারন থাকতে নেই। তবে একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, নারীরা অনেক কিছুই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় একটা ধারা পরিবর্তন করে আরেকটা ধারার সূচনায় অনেক সমস্যা তৈরি হবে এটা স্বাভাবিক। পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই এ নারী দিবস পালনের এখনও অনেক তাৎপর্য বহন করে। আমরা শুধুমাত্র আমাদের দেশের দিকে তাকিয়ে না থেকে ভিন্ন দেশের দিকে নজর দিলে পার্থক্য সুস্পষ্ট পরিলক্ষিত হবে। এবছরের প্রতিপাদ্যের প্রথম শব্দ নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ অধিকার’। শব্দটি ছোট হলেও এর গুরুত্ব অনেক বেশি। যখন অধিকার শব্দের সাথে যুক্ত হচ্ছে নারী শব্দ তখন এটি আরো ভার হয়েছে। কারন আদায়ের সাথে থাকে অধিকার প্রদান। কারন রাষ্ট্র ও সমাজ নারীকে অধিকার প্রদান করবে অন্যদিকে নারীরা তাদের অধিকার আদায় করবে। এই যে আদান প্রদান এখানেই ফাঁকি বা সমতার হীনমন্যতা রয়েছে। আদান প্রদানের বেলায় আমরা পক্ষ বিপক্ষ হয়ে উঠছি। যতক্ষণ পর্যন্ত পক্ষ বিপক্ষ মনোভাব দূর না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত মালিক পক্ষর সাথে এ খেলা চলবে কারন পুরুষ এখন মালিক পক্ষের ভূমিকায় রয়েছে। অন্যদিকে অধিকার আদায়ের জন্য আমরা নারীকে সেভাবে গড়ে তুলতে পারছি না। এখনও অনেক জায়গায় আমরা নারীকে ব্যবহারের পণ্য হিসেবেই দেখছি। আর আলোচ্য অংশের দ্বিতীয় যে শব্দটি এসেছে তাহলো ‘সমতা’। এই শব্দটি নারীর বেলায় উচ্চারণ হয় খুব কঠিন ভাবে কিন্তু সমাজ ব্যবস্থায় সমতা শব্দটি চরমভাবে অবহেলিত। যেটা নারীর বেলায় আরো বেশি সত্য। এই সমতা তখনই পরিপূর্ণভাবে অর্জন সম্ভব যখন এই পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় রাষ্ট্র, সমাজ ও ধর্মীয় রীতিনীতি সঠিকভাবে কাজে লাগবে। আর ক্ষমতায়নের বিষয়টি ক্রমান্বয়ে সামনের দিকে আসছে। সেই ক্ষেত্রে কেবল আইনের দ্বারা সকল ক্ষমতায়ন অর্জন সম্ভব নয়। কারন আইন দিয়েই কেবল সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয় চাই আপনার আমার সচেতনতা। শুধু আইনের দিকে চেয়ে থাকবে নারীরা তাহলে ক্ষমতায়নের বিষয়টি অন্ধকারে থেকে যাবে। রোকেয়া, সুফিয়া কামাল কিংবা প্রীতিলতার মতো সাহসি নারীর জন্ম নাহলে কেবলমাত্র ঘরে বসে থেকে ক্ষমতায়ন অর্জন করা সম্ভব না। তবে সমাজের উচিত হবে এইযে ক্ষমতায়নের কথা বলছি তার ধাপটা তৈরি করে দেওয়া। শেষে নারীর সাথে যে শব্দটিকে যুক্ত করা হয়েছে তা হলো কন্যা। এই কন্যাই হলো নারীর প্রাথমিক ধাপ। আসল বিষয়টি হলো এইযে কন্যার কথা আমরা বলছি তা থেকেই কিন্তু গঠন করার সময়। কন্যা যেন বুঝতে না যে আমি কন্যা বলেই পরিবার বা সমাজের অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত। তাহলে না শব্দটি এই কন্যার মাঝে চরমভাবে আঘাত করতে থাকবে। যা একসময় বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে কন্যা থেকে যখন সে নারীতে পরিণত হবে। তখন সে সমাজ ব্যবস্থাকেই বারবার দায়ী করবে। সুতরাং নারীর ক্ষমতায়ন বা অধিকার যাই বলি না কেন তা সূচনা করতে কন্যা থেকেই। কন্যার পরিবর্তন মানেই নারীর পরিবর্তন কারন কন্যা থাকা অবস্থায় বিষয়টিকে যেভাবে রুপান্তর করা যায় পরবর্তী সময়ে সেটা আর সম্ভব হয় না। তবে সমাজের মানুষের একথা মনে রাখতে হবে যে, অধিকার, সমতা, ক্ষতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন হলে পুরুষের কোন ক্ষতি নেই বরং সমাজ ব্যবস্থারই উন্নয়ন ঘটবে। কারন নারীকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে রেখে একলা চলো নীতি অনুসরণ করা কাম্য নয়। কারন মনে রাখতে হবে দুইয়ে দুইয়ে চার হয়। এই মূল মন্ত্রে অর্জিত হোক নারীর অগ্রগামিতা।   



আরও খবর
deshchitro-6801d6dae401c-180425103642.webp
Take early steps to resolve waterlogging in Dhaka

১৪ দিন ২৩ ঘন্টা ১ মিনিট আগে




deshchitro-67f32034a3e9c-070425064540.webp
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক

২৬ দিন ২ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে


67f00c4be906d-040425104355.webp
অবহেলার পাত্র নাকি সভ্যতার স্থপতি?

২৮ দিন ১০ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে


deshchitro-67e77b5f5d7ad-290325104727.webp
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঈদ ভাবনা

৩৪ দিন ২২ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে


67e68cb231674-280325054906.webp
ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বার্তা

৩৫ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে